আশা করি আল্লাহর রহমতে আপনারা সবাই ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি। গতকালের সারাদিনের কাজকর্ম এখন ডাইরি আকারে আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি। তো চলুন শুরু করা যাক।
গতকাল ছিলো পবিত্র জুম্মার নামাজের দিন। সকালে ঘুম থেকে উঠে ফ্রেস হয়ে নাস্তা করে পড়তে বসলাম। টানা ২ঘন্টা পড়ার পর আর মনোযোগ ধরে রাখতে পারলাম না। তাই বাইরে গিয়ে মনটা একটু ফ্রেস করে আনলাম। তারপর ভাত খেয়ে আব্রো পড়তে বসলাম। কিন্তু ১ঘন্টার বেশী পড়তে পারলাম না। তাই বাইরে চলে আসলাম আবারো। এসে দেখি একটি সজিনার কচি ডালে কচি পাতা দেখা যাচ্ছে। পাতাগুলো অনেক সুন্দর দেখা যাচ্ছিলো। তাই ভাবলাম ছবি তুলে আপনাদের সাথে শেয়ার করা দরকার। এজন্য ছবি তুলে নিলাম। ছবি তোলার পর দুপুর হওয়া পর্যন্ত মোবাইল টিপলাম। মোবাইলে ফেসবুক ও মেসেঞ্জারে বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিলাম। তারপর আযান দিয়ে দিলে আমি বাসায় ফিরে আসলাম।
বাড়িতে এসে গোসল করে নামাজে গেলাম। নামাজ থেকে এসে দুপুরের খাবার খেয়ে নিলাম। তারপর হাটতে হাটতে আমাদের বাড়ির পাশের ইট ভাটাটিতে গেলাম মানুষের কয়েকটা ছবি তুলবো বলে। কিন্তু ভাটায় গিয়ে মনে পড়লো যে শুক্রবার তো ভাটার কাজ বন্ধ থাকে। কিন্তু সেখানে গিয়ে দেখলাম যে কেউ হয়তো ইট কিনেছে সেই ইট ডেলিভারি করার জন্য একটি পিক আপ ভ্যানে ইট লোড করা হচ্ছে। সেখানে তাদের ছবি তুলে নিয়ে বাড়িতে ফিরলাম। বাড়িতে এসে শুয়ে শুয়ে প্রিয় গেম ক্যান্ডি ক্রাস খেলা শুরু করে দিলাম। যতক্ষণ না ৫ টা লাইফ শেষ হলো ততোক্ষণ পর্যন্ত গেম খেললাম। গেম খেলার পর শুয়ে পড়লাম।
বিকালে ঘুম থেকে উঠে ফ্রেস হয়ে চলে গেলাম বাইরে। বাইরে গিয়ে ধানক্ষেতের ছবি তুললাম। তারপর গান শুনতে শুনতে ধানক্ষেতের আইল দিয়ে হাটছিলাম। কিছুদূর এগিয়ে আবারো ফিরে আসলাম।
ফিরে আসার সময় এইবার লো এংগেল থেকে ধানগাছ ও সূর্যের ছবি তুললাম। তারপর বাড়িতে এসে সোয়েটার গায়ে দিয়ে চলে গেলাম জমির হাট মাঠে। সেখানে গিয়ে দেখলাম অর্ধেক মাঠে চাইনিজ গোল খেলা হচ্ছে। বসে বসে ফুটবল খেলা দেখলাম। কিছুক্ষনের মধ্যেই আমার বন্ধু তাজউদ্দীন চলে আসলো। তারপর একসাথে আড্ডা দিলাম। আড্ডা দিতে দিতে বিকাল পেড়িয়ে সন্ধ্যা নেমে এলো।
সন্ধার সময় বাজারে গিয়ে দুই বন্ধু মিলে নাস্তা করলাম। নাস্তা করার পর বাড়ি ফিরে আসলাম। বাড়িতে এসে ফ্রেস হয়ে বই পড়তে বসলাম। বই পড়ার পর রাত ৯ টায় আমার রাতের খাবার খেয়ে নিলাম। খাওয়ার পর হাটতে হাটতে একটু বাইরে গেলাম। আকাশের অবস্থা খুব ভালোই ছিলো। একটা ছবি তুলে নিলাম। তারপর কিছু সময় কাটিয়ে বাড়িতে ফিরে আসলাম। বাড়ি এসে আবারো পড়তে বসলাম। এইবার পড়া শেষ করে উঠলাম রাত সাড়ে এগারোটায়। তারপর রাত ১২ টা পর্যন্ত মোবাইল চালালাম। মোবাইল চালানোর পর মশারি টাঙিয়ে শুয়ে পড়লাম।