আসসালামু আলাইকুম। স্টিম বাংলাদেশের সকল বন্ধুরা আশা রাখি আপনারা সকলে ভালো আছেন আলহামদুলিল্লাহ আমিও অনেক ভালো আছি
আমি আমার আজকের ডায়েরি আপনাদের সামনে তুলে ধরছি.।
সারারাত জেগে যাত্রী সেবা নিশ্চিত করতে করতে ভোরের আলো ফুটে গিয়েছিল সকালবেলা হয়ে গিয়েছিল ঠিক সেইসময় আমি রানিং ইঞ্জিনের তালিকা টার একটা ছবি তুলে নিয়েছিলাম দেখলাম লাস্ট আর একটা ইঞ্জিন আছে সেটা চেক করে ছেড়ে দিলে আমার ডিউটি শেষ হয়ে যাবে তারপর আমি অফিস রুম থেকে বের হয়ে চারদিকে তাকালাম যে ইঞ্জিনটা কোথায়।কিছু সময় পর লোকোমাস্টার ইঞ্জিনটি কোথা থেকে যেন নিয়ে আসলো আসার পর সিঁদুর লগে দিয়েছিলো তেল-পানি করে নিয়েছিল তারপর আমি ইঞ্জিনের উপরে ইঞ্জিনটা চেক করা শুরু করে দিয়েছিলাম তারপর আমি রিপোর্টটা জমা দিয়ে ফ্রেশ হয়ে আমি বাসা দিকে রওনা দিয়ে দিয়েছিলাম বাসায় পৌছায় কাপড় গুলো চেঞ্জ করে আমি ফ্রেশ হয়ে নিয়েছিলাম।
সকালবেলা আম্মা আমার জন্য ভাপা পিঠা তৈরি করেছে তারপর সেগুলো গুড় কাঁচা মরিচ রসুন লবণ চাটনি দিয়ে সুন্দরভাবে খেয়ে নিয়েছিলাম তারপর পানি খেলাম কিছুটা সময় আমার ভাতিজি সঙ্গে গল্প করার পর আমি বিছানায় চলে গিয়েছিলাম তারপর একটা সময় আমি ফোনটা টিপাটিপি করতে করতে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম।
সকাল বেলা ঘুমানোর পর আমার ঘুমটা অনেক সুন্দর হয়েছিল একটা পরিপূর্ণ ঘুম হয়েছিল কিছু সময় পর রাইসা ও রাফিয়ার চিৎকারে ঘুম ভেঙে যায়।
তারপর আমার ভাতিজি এসে আমাকে ডেকে বলল চাচ্চু উঠো গোসল করতে হবে তারপর উঠে গিয়ে আমি সোজা গোসল করে নিয়েছিলাম তারপর বারান্দায় একটু বসে ছিলাম দেখলাম তারা দুজনে বারান্দার নিচে অনেক কিছু নিয়ে খেলতে ছিল।
আমি যখন বারান্দা থেকে তাদের দুজনের কাছে গিয়েছিলাম তারা মুখে হাত দিয়ে দুজনে সুন্দরভাবে হাসতেছিল আর আমার দিকে তাকিয়ে ছিল কারণটি ছিল তারা বালু দিয়ে কেক বানিয়েছে আমারও বেশ ভালই লাগলো সুন্দরভাবে সাজিয়ে ছিল আমি সেখানে গিয়ে মোবাইলটা আমার রুম থেকে নিয়ে তাদের ছবি তুলে নিয়েছিলাম বালির বানানো কেক টির। দুজনে পাখির পালক দিয়ে এত সুন্দর করে সাজাবে আমি তা কখনো ভাবতেই পারিনি দেখে আমার অনেক ভালো লেগেছিল আমি বললাম যে আম্মু কেকটার দাম কত। আমার ছোট ভাতিজি বলতেছিল এটার দাম ৫০০ টাকা বললাম যে ৫০০ টাকা বেশি হয়ে যায় না রাইসা বলে তাহলে ৪০০ টাকা তারপর আমি তাদের কাছ থেকে কেকটি একটু খেয়েছিলাম খাওয়ার পর আমি আবার বারান্দায় উঠে গিয়েছিলাম। তারপর আমি দুপুরের খাবার খেয়ে আমার রুমে গিয়ে আবার একটু ঘুমিয়ে পড়েছিলাম।
আম্মা আমাকে বিকেল বেলা ঘুম থেকে ডেকে উঠিয়ে ছিল বলছিল যে কবুতরের খোপের খুঁটিগুলো নড়বড় হয়ে গেছে আমাকে ৬০০ টাকা দিয়েছিল সে টাকা নিয়ে আমি বাজারে গিয়েছিলাম গিয়ে চারটা বাঁশ কিনে নিয়ে এসেছিলাম।
কিন্তুু বাঁশ কিনতে গিয়ে আমার আরো টাকা লেগে যায় কারন একটি বাঁশের দাম ছিল ২৩০ টাকা। কবুতরের খুঁটিগুলো চেঞ্জ করার জন্য পর্যাপ্ত ছিল।
তারপর আমি হাঁটতে হাঁটতে সূর্যাস্ত দেখার জন্য আমি আমার বাগান বাড়িতে চলে গিয়েছিলাম যখন দাঁড়িয়েছিলাম লাল সূর্য অস্ত হতে শুরু করেছিল।
তারপর বাসায় ফিরে ফ্রেশ হয়ে আমি বাজারে চলেগিয়েছিলাম।
আমাদের লায়ন্স হসপিটাল ও লায়ন্স ক্লাব এর বর্তমান সভাপতি লায়ন রওশন জাহান আন্টির হাসবেন্ডের ওপেন হার্ট সার্জারি করেছে বেশ কিছুদিন আগে কিন্তু আমরা লায়ন্স ক্লাব ও লিও ক্লাবের মেম্বার রা যেতে পারিনি তার সঙ্গে দেখা করার জন্য। তাই আমরা সকল মেম্বাররা ও আমাদের এক লায়ন ম্যাম সহ আমরা ওনার বাসায় গিয়েছিলাম আঙ্কেলকে দেখার জন্য দেখার সময় আমরা অনেক কিছু ফল নিয়েছিলাম সেগুলো নিয়ে সবাই মিলে তিনটা ভ্যানে ১৩ জন আন্টির বাসায় গিয়েছিলাম
আংকেলের সঙ্গে দেখা করার পর আমরা সবাই বিদায় নিয়েছিলাম। এক এক করে সব লিও দের বিদায় দিয়ে আমি বাজারে চলেগিয়েছিলাম। আমার জন্য সাওন ও রাতুল বসে ছিল তারপর তাদের সঙ্গে দেখা করে অনেক টা সময় কাটিয়ে বাসায় ফিরে এসেছিলাম। গেটে নক করার সময় হঠাৎ চাঁদের দিকে চোখ টা পরে গিয়েছিল। ঐ দূরের চাঁদ টি অনেক সুন্দর দেখাচ্ছিল তাই ছবি তুলে রেখেছিলাম। আমি বাসায় ঢুকে ফ্রেশ হয়ে রাতের খাবার খেয়ে তাড়াতাড়ি বিছানায় চলে এসেছিলাম।
এই ছিল আমার সারাদিনের ডায়েরি
ধন্যবাদ সবাইকে