বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম। আসসালামুআলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহু,
সম্মানিত সাথী ও বন্ধুগণ!! আশা করি আপনারা সকলে ভালো আছেন? আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভাল আছি.
আজকে আপনাদের সামনে আলোচনা করব:
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাই সালাম এর মক্কী জীবনী সম্পর্কে,
গত পোস্টে আলোচনা করেছিলাম; আসসালাম আসসালাম ওয়া সাল্লাম-এর মাদানী জিন্দেগি নিয়ে.আজকে আলোচনা করব রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম এর মক্কী জীবনী সম্পর্কে.
প্রথমেই আলোচনা করা যাক রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মক্কী জিন্দেগীর সংক্ষিপ্ত রূপরেখা শিক্ষা। নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সমস্ত জীবনে ছিল এক উত্তম আদর্শের প্রতীক। নবুওয়াত প্রাপ্তির পড়বে নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সততা কারণে মক্কাবাসীরা তিনাকে আলামিন বলে ডাকত।
কিন্তু যখন এই মহামানব নবুয়ত প্রাপ্ত হলেন, তখন তার ওপর নেমে এলো চরম নির্যাতন। আর যারা তার ডাকে সাড়া দিলেন তাদের উপরও চালানো হলো। অমানবিক জুলুম অত্যাচার। কিন্তু নিষ্ঠুরতম নির্জন হদ যখন একত্ববাদের ধোনিকে স্তব্ধ করা গেল না। মক্কার কাফেররা তখন চাতুরতার আশ্রয় নিল। ওবায়েদ নামের রাযিআল্লাহু তা'আলা আনহু কি তারা প্রতিনিধি নিযুক্ত করে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট পাঠালেন।
কাফেরদের পক্ষ থেকে একজনকে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম এর কাছে পাঠালেন এবংরাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম কে বললেন আপনি কি চান? কি মক্কার রাজত্ব পছন্দ করেন? অথবা কোন সুন্দরী নারীকে বিবাহ করতে চান? কিংবা এটা চান যে অনেক ধনী সম্পদ এনে আমরা আপনার পায়ের কাছে স্টুপ করে রাখি. আমরা আপনার সকল কথা মানতে রাজি আছি?
কিন্তু মক্কার কাফেররা নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কথা মানল না বরং তারা যখন দেখল এভাবে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে, ক্লান্ত করা যাবেনা তখন তারা নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম কে সপরিবারে নির্বাসন দিল। চরম কষ্টের নবী করীম সাল্লাল্লাহু সাল্লাম ও তাঁর সাথীগণ পার করলেন তিনটি বছর। অতঃপর আল্লাহর রহমতে মুক্তি পেলেন আর উপহার হিসেবে মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে পেলেন মেরাজ নামক এক মহান দৌলত।
নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বুঝতে পারলেন,মক্কাবাসীদের হৃদয়ের অন্ধকার কুটিরের হেদায়েতের আলো জ্বালানো সম্ভব নয়, পাশাপাশি মক্কার কাফেররা নবী করিম সাঃ কে হত্যা করার পরিকল্পনা করতে লাগলো। এরপর তারা যখন এই সিদ্ধান্তে উপনীত হলো, রাতের আধারে নিস্তব্ধতায় ইসলামের আলোকে চিরতরে স্তব্ধ করে দেওয়া হবে।
অর্থাৎ তারা যখন প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে হত্যার ষড়যন্ত্র করল তখন আল্লাহর পক্ষ থেকে নির্দেশ প্রাপ্ত হইয়া। নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মদীনার পথে হিজরত করলেন। এই ছিল নবী করিম সাঃ এর মক্কী জীবনের সংক্ষিপ্ত রূপরেখা, এবার আসুন এর শিক্ষা সম্পর্কে সামান্য আলোকপাত করা যাবে এর থেকে আমরা যে শিক্ষা পায় তা হল:
সত্যের পথে চলতে গেলে বিপদ আপদ জুলুম-নির্যাতন আসবেই।আর এটাই স্বাভাবিক ওই পরিস্থিতিতে আল্লাহর জন্য ধৈর্য ধারণ করতে হবে।
আল্লাহ পাক ধৈর্যের প্রতিদান ও সত্যের বিজয় অবশ্যই দিবেন।
হাজার জুলুম-নির্যাতন ও প্রলোভন কখনো সত্যের পথ থেকে, সরে দাঁড়ানো যাবেনা। ইসলাম প্রচারের প্রয়োজন এ দেশ ত্যাগ করা তথা হিজরত করতে হবে নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন আমার পক্ষ থেকে একটি বাণী হলেও অন্যের কাছে পৌঁছে দাও
সম্মানিত সাথী ও বন্ধুগণ!!!! আজকের এই রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সংক্ষিপ্ত মক্কী জীবনী সম্পর্কে আলোচনা করলাম। আশাকরি সকলে পড়বেন। এই মনে আজকের মত শেষ করছি, আসসালামু আলাইকুম।
Congratulations! This post has been upvoted by the @blurtcurator communal account,
You can request a vote every 12 hours from the #getupvote channel in the official Blurt Discord.Don't wait to join ,lots of good stuff happening there.