তওবা ও গুনাহের প্রতিষেধক

in instablurt •  3 years ago 

বিসমিল্লাহির রহমানীর রহিম আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ সম্মানিত সাথী ও বন্ধুগণ আশাকরি সকলে ভালো আছেন আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে আমি অনেক ভালো আছি আজকের আলোচ্য বিষয় হল তওবা গুনাহসমূহ এর প্রতিষেধক এ বিষয়ে আলোচনা করব ইনশাআল্লাহ আশা করি আপনারা আলোচনাটি শেষ পর্যন্ত পড়বেন।

গুনাহ তিন অক্ষর বিশিষ্ট একটি শব্দ কিন্তু এর ক্ষতি বা প্রতিক্রিয়া অত্যন্ত ভয়াবহ ইবাদতের মধ্যে আল্লাহ তাআলার নৈকট্য লাভের পরিবর্তে দূরে সরে যায় জান্নাতের পথ হারিয়ে জাহান্নামের পথে রওনা হয় পরিবার নামাজ ও রাষ্ট্রীয় ভাবে লাঞ্ছিত অপমানিত হয়। তাছাড়া পথ প্রাপ্ত মানুষ কে পদচ্যুত করার জন্য তা শয়তানের একটি বড় হাতিয়ার। এই গুনাহের কুমন্ত্রণা তার অন্তরে না আসে সকলের অন্তরে আসে যত অলি আউলিয়া কেরাম সোফিয়া ইমাম বুযুর্গানে দ্বীন গত হয়েছেন তাদের মধ্যে কেউ এমন নেই যার অন্তরে কখনো গুনাহের খেয়াল আসেনি বা প্রবৃত্তির কোন চাহিদা সৃষ্টি হয়নি গুনাহের ঝলক বড়দের অন্তরেও আসে।

পার্থক্য হলো আমাদের মত উদাসীন মানুষ গুনাহের সামান্য আবেদনেই হাতিয়ার সমর্থন করে গুনাহে লিপ্ত হয়ে যায় কিন্তু তাদের অন্তরে কুমন্ত্রণা আল্লাহর ফজল ও মুজাহাদার বরকতে তাদের সামনে দুর্বল হয়ে পড়ে হল গুনাহের খেয়াল আসা সত্ত্বেও তারা সে খেয়াল এর উপর আমল করে না তাতে লিপ্ত হন না।হযরত ইউসুফ আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ ব্যাপারে কুরআনে কারীমে এসেছে সেই রমণী তো তার প্রতি আসক্ত হয়েছিল সেও তার প্রতি আসক্ত হয়ে পড়তো যদি না সে তার প্রতিপালকের নিদর্শন প্রত্যক্ষ কর তো। অর্থাৎ জুলাইখা যখন গুনাহের প্রতি আহ্বান করল তখন হযরত ইউসুফ আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার অন্তরে গুনাহের সামান্য খেয়াল এসেছিল কিন্তু আল্লাহ তায়ালা তাকে এই গুনাহ থেকে হেফাজত করেছেন।

মানুষকে গুনাহ ও মন্দ কাজে লিপ্ত করে জাহান্নামের আযাবের দিকে নিয়ে যায় 2 টি বিষাক্ত জিনিস 1 নাম্বার 2 নাম্বার শয়তান অনুরূপভাবে এই দুইটির প্রতিষেধকও সুন্দর দুইটি জিনিস 1 নাম্বার ইস্তেগফার দুইনাম্বার তাওবা। অতএব যখন অন্য কোন গুনাহ করার প্রতি উদ্বুদ্ধ করে উদ্বুদ্ধ করার আশঙ্কা দেখা দিবে তখন ঐ এই প্রতিষেধক ব্যবহার করে বলবে আমি আমার প্রভুর নিকট সমস্ত গুনাহ থেকে ক্ষমা প্রার্থনা করছি এবং তার কাছে তওবা করছি। প্রিয় নবী হযরত রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে আল্লাহ তায়ালা সমস্ত গুনাহ থেকে পবিত্র এবং নিস্পাপ বানিয়েছে তার থেকে কোন গুনা হওয়ার আশঙ্কা করা যায়না যদি তার থেকে ভুল ত্রুটি হয়ে থাকে আল্লাহ তা'আলার পক্ষ থেকে এ ঘোষণা দেওয়া আছে যেন আল্লাহ তায়ালা আপনার পূর্বাপর সমস্ত গুনাহ মাফ করে দেন।

এ সত্ত্বেও নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বাণী হযরত আলী রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু থেকে বর্ণিত তিনি বলেন আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি তিনি এরশাদ করেন কখনো আমার অন্তর মেঘাচ্ছন্ন হয়ে যায় তাইতো আমি আল্লাহর কাছে দৈনিক 100 বার ইস্তেগফার করি। যদি কারো দ্বারা গুনা হয়ে যায় তাহলে সঙ্গে সঙ্গে তওবা করে নিলে প্রথমবার সালাতুত তাওবা নিয়তে দুই রাকাত নামাজ আদায় করবে।
download (9).jpeg

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE BLURT!