বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম
আসসালামুআলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহু,সকলে ভালো আছেন আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভাল আছি।
আজকে আপনাদের সামনে আলোচনা করব। শিক্ষকের মর্যাদা সম্পর্কে,শিক্ষক এমন একটি অমূল্য সম্পদ দুনিয়াতে যদি কোন জিনিস কারো থেকে শিক্ষা গ্রহণ করতে হয়।
তাহলে তার জন্য শিক্ষকের খুবই প্রয়োজন, কারণ যেই জিনিস নিজের অর্জিত হয় সেই জিনিস ভুলের মধ্যে থাকে,
তাই সর্বদা আমরা যে জিনিসের মধ্যে দ্বিধাদ্বন্দ্বে থাকবো। অথবা যে জিনিসে ভুলের মধ্যে থাকবো। অথবা কোন এমন কোন বিষয় নিয়ে ভুলের মধ্যে থাকবো। তৎক্ষণাৎ আমরা তাদের নিকট যাব। এবং শিক্ষকের থেকে ভুল সংশোধন করে তখন সেই কাজটি সম্পন্ন করব এতে আমাদের জন্য অনেক ভালো হবে।
কারণ শিক্ষক ছাড়া কোন জিনিস অর্জন করা খুবই কঠিন,শিক্ষক ছাড়া কোন জিনিস অর্জন করা বা কোন শিক্ষা গ্রহণ করা এই জন্যই কঠিন, যে নিজের ভুল নিজে নিজে সংশোধন করা যায় না। এবং নিজে কখনো নিজের ভুল ধরতে পারে না।এ কারণেই আমাদেরকে শিক্ষকের শরণাপন্ন হতে হয়।
যদি নিজে নিজেই শিক্ষাগ্রহণ করা যেত, তাহলে আর দুনিয়াতে এত বড় বড় প্রতিষ্ঠান করার কোন দরকার ছিল না। সবাই নিজে নিজে শিক্ষা গ্রহণ করতে পারত, নিজেই নিজের বাসায় বসে পড়ালেখা করতো।তখন আর স্কুল-মাদ্রাসা বা ভার্সিটিতে যাওয়ার কোনো প্রয়োজন হতো না।
কারণ তখন তো সবাই নিজে নিজেই পড়ালেখা করতে পারত, এ কারণে তখন কোন প্রতিষ্ঠান বা কোন শিক্ষকের শরণাপন্ন হতে হতো না। এ কারণেই হতে হতো না কারণ নিজেই তো পড়ালেখা করতে পারে। বাসায় বসে নিজে নিজেই পড়ালেখা করে ফেলত, যদি এমন হতো তাহলে দুনিয়াতে কেউ কাউকে শিক্ষা দিত না।
আর যখন দুনিয়াতে কেউ কাউকে শিক্ষা দিত না।তখন দেশ জাতি শিক্ষার অভাবে ও শিক্ষিত জাতি হিসাবে পরিণত হয়ে যেত, তখন কেউ কাউকে শিক্ষা দিত না কোন প্রতিষ্ঠান থাকতো না। কোনো শিক্ষকও থাকতো না। শিক্ষক হল একটি মহামূল্যবান আল্লাহর নেয়ামত।
যার থেকে আমরা অনেক বড় বড় জিনিস শিক্ষা গ্রহণ করতে পারি। যে সমস্ত শিক্ষা দুনিয়ার কারো থেকে অর্জন করা সম্ভব নয়। সেই শিক্ষা আমরা ওস্তাদ বা শিক্ষকের থেকে নিয়ে থাকি, তাই সবসময় এই মহামূল্যবান সম্পদ শিক্ষককে সম্মান করতে হবে।
কখনো শিক্ষকের সাথে এমন আচরণ করা যাবে না যে,আমার কোন কাজের দ্বারা শিক্ষকের সাথে বেয়াদবি হয়ে যায়। অথবা আমার কোন কাজের দ্বারা শিক্ষক তার মনে কষ্ট পায়। এমন কোন কাজ যেন আমার দ্বারা শিক্ষকের নিকট প্রকাশ না পায়। সেই বিষয়ে আমাদের খুবই লক্ষ্য রাখতে হবে।
কেননা শিক্ষক হলো আমাদের একটি গুরুজন শিক্ষককে যদি সম্মান না করি। তাহলে তারা লেখার মধ্যে তেমন একটা বরকত আসবেনা। কারণ যার উছিলায় আমরা শিক্ষাগ্রহণ করতেছি,তাকে যদি কষ্ট দিয়ে ফেলি আল্লাহ রব্বুল আলামীন আমাদেরকে এর কারণে আমাদের জ্ঞানের মধ্যে বরকত দিবেন না।
এ কারণেই সবসময় শিক্ষককে সম্মান করতে হবে। ওস্তাদ বা শিক্ষক হল সম্মানের গুরুজন। তাদের সাথে কখনো বেয়াদবি করা যাবে না। সময় তাদেরকে সম্মানের সহিত আচরণ করতে হবে তাদের সাথে। এবং সবসময় শিক্ষকের সাথে সম্মানের সহিত কথা বলতে হবে। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন আমাদের শিক্ষককে সম্মান করার তৌফিক দান করুক।
সম্মানিত সাথী ও বন্ধুগণ!! আশা করি আপনারা সকলেই এই কথাগুলো উপর আমল করবেন। আল্লাহ রব্বুল আলামিন আপনাদের এবং আমাকে ইহার উপর আমল করার তৌফিক দান করুক। আমিন। সবাই ভাল থাকুন সুস্থ থাকুন। আসসালামু আলাইকুম।
Congratulations! This post has been upvoted by the @blurtcurator communal account,
You can request a vote every 12 hours from the #getupvote channel in the official Blurt Discord.Don't wait to join ,lots of good stuff happening there.