বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম
শুরু করছি পরম করুণাময় অতি দয়ালু আল্লাহর নামে।
আসসালামুআলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ, সম্মানিত ও সাথী ও বন্ধুগণ আশা করি আপনারা সকলে ভালো আছেন?
আলহামদুলিল্লাহ আমি অনেক ভালো আছি।
আজকে আমাদের মাঝে আলোচনা করব:
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বক্তৃতার কেমন ছিল ?সেই সম্পর্কে....
আশাকরি সকলে শেষ পর্যন্ত লেখাটা পড়বেন।এবং আল্লাহ রব্বুল আলামীন যেন আমাকে লেখার তৌফিক দান করেন আর আমি এই বিষয়ের উপর আলোচনা করব ইনশাল্লাহ।
পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ বক্তা জানাবে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বক্তৃতা শাব্দিক দিয়ে অনন্য,
বিশ্বমানবতার শ্রেষ্ঠ বক্তা হলেন আম্বিয়া আলাইহিমুস সালাম।
মানবতাকে সত্যের দিকে আহবান, সঠিক পথ প্রদর্শন ও মহান আল্লাহ হেদায়েত মোতাবেক আদর্শ সমাজ কর্মের জন্যই তারা পিরিত হয়েছিলেন।
এই কাজটি আঞ্জাম দিয়েছিলেন বুঝানোর মাধ্যমে,
কারণ বক্তৃতার মাধ্যমে অতি অল্প সময়ে অধিক সংখ্যক মানুষের কাছে ইসলামের বাণী পৌঁছে দেওয়া এবং তাদেরকে সহজে প্রভাবিত করা সম্ভব হয়। তাই তাদেরকে সারা জীবন বক্তৃতা করতে হয়েছে, তাদের বক্তিতা ছিল সর্বকালের শ্রেষ্ঠ মর্যাদাশীল ও প্রভাবশালী।
বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর বক্তৃতা ছিল সকল দিক থেকেই হৃদয়গ্রাহী, বৈশিষ্ট মন্ডিত, তার বক্তিতা ও ভাষা ছিল অতি সহজ ও সাবলীল। বক্তব্যের প্রতিটি শব্দ ও বাক্য সুস্পষ্ট হত। একটি শব্দ যথাযথ ভাবে উচ্চারণ করার পর আরেকটি শব্দ বলতেন। যেন শীতের ভোরে গাছের পাতা থেকে একটির পর একটি স্বচ্ছ শিশির ফোটা ঝরে পড়ছে,আম্মাজান হযরত আয়েশা সিদ্দিকা রাযিয়াল্লাহু আনহু বলেন:
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর বক্তব্য এতই সুস্পষ্ট হত কেউ ইচ্ছা করলে তার বক্তব্যের প্রতিটি শব্দ গুনে গুনে রাখতে পারত প্রিয় নবী তার কথা সবচেয়ে বিশুদ্ধ পদ্ধতি উচ্চারণ করতেন।
তিনি ইরশাদ করেন::.
আমি আরবের সর্বপেক্ষা স্পষ্টভাষী। আরবি ভাষায় সকল মাধুর্য দান করে আমাকে পাঠানো হয়েছে, অথচ আমি কুরাইশী।
নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বক্তব্যের শব্দ ও বাক্য গুলো হত অর্থবহ ও তাৎপর্যপূর্ণ। তার বক্তৃতা শুনে জ্ঞানের দরজা খুলে যেত,রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলতেন:::
আমাকে ব্যাপক অর্থবহ কথা বলার যোগ্যতা দেওয়া হয়েছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর বক্তৃতা ছিল খুবই আকর্ষণীয় মর্মস্পর্শী, ও প্রভাব বিস্তারকারী।এ কারণেই সবচেয়ে অধিপতি ত জাতি হয়েছিল শ্রেষ্ঠ শিক্ষিত ভদ্র সভ্য।
যখন কথা বারবার বলা হয়। তখন তা হৃদয়ে গেঁথে যায়।যে কথাটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ সেটি কখনো দুবার কিংবা তিনবার উচ্চারণ করতেন।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ভক্তি তার মাঝে প্রায় প্রশ্ন করতেন।এবং তিনি বিষয়টি সম্পর্কে সন্দেহ সংশয় দূর করার জন্য পরিষ্কার ভাষায় জবাব দিতেন।
হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কখনো, শ্রোতাদের মধ্যে কৌতূহল সৃষ্টির জন্য কোন ধরনের কথা তিনবার বলতেন। ওই ব্যক্তির মুখ মন্ডল ঝুলি গলিত হোক, ওই ব্যক্তির মুখে ছাই পড়ুক, এতে শ্রোতারা দারুন কৌতুহল বোধ করল এবং বিষয়টি জানার জন্য উদগ্রীব হয়ে উঠল।
তখন জবাবে তিনি বলেন!বললেন যে ব্যক্তি নিজের পিতা মাতা উভয়েই কে অথবা তাদের একজনকে বৃদ্ধ অবস্থায় পেল কিন্তু জান্নাতে যেতে পারল না.
সম্মানিত সাথী ও বন্ধুগণ!! আজকের এই ছোট্ট আর্টিকেলটি এই পর্যন্তই, সকলে ভাল থাকুন সুস্থ থাকুন, সকলে আমার জন্য দোয়া করবেন আমিও সকলের জন্য দোয়া করি. আসসালামু আলাইকুম
Congratulations! This post has been upvoted by the @blurtcurator communal account,
You can request a vote every 12 hours from the #getupvote channel in the official Blurt Discord.Don't wait to join ,lots of good stuff happening there.