বিসমিল্লাহির রহমানির রাহিম সম্মানিত সাথী ও বন্ধুগণ আশাকরি সকলে ভালো আছেন আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহ তায়ালার অশেষ মেহেরবানীতে এবং আপনাদের দোয়ায় আমি অনেক ভালো আছি। আজকের আলোচ্য বিষয় হল অনেকদিন যাবত আপনাদের মাঝে কিছু শেয়ার করা হয় না আজকে আপনাদের মাঝে এমন কিছু কাজের কথা বলব যে সমস্ত বিষয় গুলো আমাদের প্রত্যেকেরই জানা দরকার। কারণ এই সমস্ত জিনিস গুলো যদি আমরা না জানি তাহলে আমাদের জীবনে অনেক ক্ষতি হয়ে আসতে পারে।
প্রথমত আমরা জানবো আজকে যে পোল্ট্রি ফার্মের মুরগি যে সমস্ত মুরগি আমরা ভক্ষণ করে থাকি। এই মুরগি খাওয়া আমাদের জন্য কতটুকু স্বাস্থ্যকর হবে এবং এটা খাওয়ার দ্বারা আমাদের কোনো ক্ষতি হবে কিনা এই বিষয়ে আপনাদের মাঝে বিস্তারিত কিছু আলোচনা করব। আপনারা আশাকরি আলোচনার শেষ পর্যন্ত পড়বেন। পল্টি মুরগি এ মুরগি টা আসলেই কোন রোগ আগে ছিল না। এরকম মুরগি বলতে কোন কিছু আমরা পড়বে দেখি নি আমাদের বাপ-দাদা কখনোই মুরগি বল খাইনি বা তারা দেখতে পাইনি। কারণেই মুরগিগুলো বর্তমান সভ্যতার মধ্যে অনেক ছড়িয়ে পড়েছে এই মুরগিগুলো আমার জানামতে আজ থেকে 20 থেকে 30 বছর আগে বা 10 থেকে 12 বছর আগে এই মুরগীগুলোর ছিল না।
মুরগিগুলোর বর্তমানে নতুন ভাবে আমাদের মাঝে এমন একটা রোগ ধরে এসেছে যেরূপ আমরা যদি এই মুভিগুলো ভক্ষণ করে তাহলে আমাদের শরীরে অনেক অসংখ্য ধরনের রোগ অসংখ্য ধরনের ব্যাধি বাসা বাঁধতে পারে। কারণ পল্টি মুরগি আমাদের যে ভাবে নিষিদ্ধ করুন যত সেন্টি গরম করে খাওয়া দরকার যত সবজি সিদ্ধ করে খাওয়া দরকার। আমরা সে পরি মানুষ এই মুরগিটাকে সিদ্ধ করে না এবং কিসের পরিমাণ ভাজি পরেনা। তার 3-1 ভাগো আমরা ভাজি করিনা। কারণ পল্টি মুরগির ভিতরে এমন একটি ভাইরাস বা এমন একটি পাইজন থাকে।
সেপাই সিম টি যদি আমাদের পেটের মধ্যে প্রবেশ করে তাহলে আমাদের অনেক বড় মোরগ হওয়ার আশঙ্কা থাকে। এই জন্য আমাদের সর্বপ্রথম জানতে হবে পল্টি মুরগি খাওয়ার নিয়ম কানুন সম্পর্কে দেখতে পারবেন যে হাটে-বাজারে ডেসিং করে পরিষ্কার করা হয় সেই ড্রেসিংয়ের পরিষ্কার করলে পল্টি মুরগির ভুরি সহকারে গরম পানিতে চুবিয়ে দেওয়া হয়। আর সেই ভরি সহকারে গরম পানিতে চুবিয়ে দেওয়ার ধারা ডুবিয়ে রাখার দ্বারা মুরগিটি সম্পূর্ণরূপে হারাম হয়ে যায়। কারণ তখন বুড়ি এবং মুরগি উভয়টি প্রায় সিদ্ধ না হলেও সিদ্ধর্থ কাছাকাছি হয়ে যায়। কুরআন হাদীসের কোথাও হারামের সাথে হালালকে সিদ্ধ করে সেটাকে হালাল বাড়ানোর কোনো সম্ভাবনা নেই।
তাই আমরা প্রথমত মুরগির মুরগির এই প্রথম দিকে লক্ষ্য রাখবে। এখন দ্বিতীয় কারণ হলো। পল্টি মুরগি আমরা অনেক সিদ্ধ করে খাব কারণ পোল্ট্রি মুরগির ঝোল করে আমরা কখনো খাব না। ঝাল করে খাওয়ার দ্বারা মুরগির ভিতরে থেকে ভাইরাসটা মৃত্যুবরণ করতে পারে না সেই ভাইরাসটা জীবিতই থেকে যায়।আর যখন আমরা মুরগিটি ভালোভাবে তেলে এবং ভালোভাবে গরম করে গরম করে অনেক সিদ্ধ করে ভাল করে ভেজে নেবে ভাসতে ভাসতে একদম সত্য বানিয়ে ফেলবো। তখন সে মুরগীর ডিম মুরগীর গোশত খাওয়ার দ্বারা আমাদের শরীরের কোন ক্ষতি হবে না কারণ তার ভিতরে কোন ভাইরাস থাকবে না সব ভাইরাস মরে যাবে।
আমরা এই বিষয়গুলোর প্রতি লক্ষ্য রেখে এ বিষয়গুলোর দিকে লক্ষ রেখে পোল্ট্রি মুরগি যদি আমরা ভক্ষণ করি তাহলে ইনশাআল্লাহ আমাদের শরীরের কোন ক্ষতি হবে না। কিন্তু তবুও কেউ যদি বলতে চান যে ভাই আমি যদি এভাবে ও খাই তার পরেও যদি আমার শরীরে কোন ভাইরাস ঢুকে যায় তাহলে কি করব। সেই ভাবে প্রশ্নের উত্তরে আমি বলব কারণ হায়াত মওত এবং ভাইরাস দানকারীর মালিক আল্লাহ রাব্বুল আলামিন আল্লাহ রব্বুল আলামীন যদি আমাকে ভাইরাস দেন তাহলে দুনিয়ার কেউ আমাকে বাঁচাতে পারবে না। তাই আমরা সর্বদাই সতর্ক থাকার চেষ্টা করব কিন্তু কখনো সতর্কতার ক্ষেত্রে আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের সংগে কাউকে শরিক করব না এ বিষয়টি লক্ষ্য রাখবো।