মধ্যবিত্ত

in instablurt •  2 years ago 

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
আসসালামু আলাইকুম ওরাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ।
আশা করি সবাই ভালো আছেন। আল্লাহর রহমতে আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। অনেকদিন পর আমি লিখতে বসেছি। আজকে আমি একজন মধ্যবিত্ত সম্পর্কে লিখব।

Snapchat-1062731223-01.jpeg

একজন মধ্যবিত্ত মানুষকে আবেগী হয়। তার মধ্যে ইমোশনটা অনেক বেশি কাজ করে। কারণ তার ইচ্ছা -আশা, চাওয়া -পাওয়া সবকিছুই নির্ভর করে তার ভাগ্যের। ছোটবেলা থেকে থেকে সব সময় একজন মধ্যবিত্ত মানুষকে আত্মত্যাগ করে বড় হতে হয়।। একজন মধ্যবিত্তকে তার ছোটবেলা থেকেই খেলনা থেকে শুরু করে স্কুল ,কলেজ ,ভার্সিটি ,রাজনীতি বা খেলার মাঠে সব কিছুতেই তাকে আত্মত্যাগ করতে হয় । অনেকে তো আবার ভার্সিটি কিংবা অনেকে তো আবার ভার্সিটি কিংবা কলেজ জীবনেও পা রাখতে পারে না। তার আগেই তাকে পরিবারের হাল ধরার জন্য লেখাপড়া বিসর্জন দিতে হয়। তারপর বাহিরের দেশে চলে যায় অর্থ উপার্জনের জন্য।
প্রবাস জীবন যে কতটা কষ্টের সেটা একমাত্র মধ্যবর্তী পরিবারের সন্তানেরা জানে।
তারপর আসা যাক পরিবারের কথায়। ছোট ভাই বোন মা বাবা কিংবা নিজ সন্তানের ইচ্ছা গুলো পূরণ করতে হিমশীম খেতে হয়। সবকিছু মিলি য়ে মিলিয়ে কারোরই কোন কিছু পুরোপুরি হয় না।
দামি দামি পোশাক, দামী দামী খাবার, উন্নত মানের চিকিৎসা, উন্নত স্কুল কলেজ কিংবা ভার্সিটি কোন কিছুই তাদের জন্য না। কারণ তারা মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান। সবকিছুতেই তাদের সেক্রিফাইস করে বাঁচতে হয়।
এখন আসা যাক বিয়ের কথায়। বিয়েটা খুব সাধারণভাবে। খুবই সাধারণ হলেও আনন্দের অভাব থাকে না। মেতে উঠে সমস্ত বিয়েবাড়ি হই-হুল্লোরে।
এখন আসা যাক পরে অনেক বিষয়ে। মধ্যবিত্ত পরিবারের সাংসারিক জীবন হয়ে থাকে খুবই সাধারণ। নেই কোনো সাদ আহ্লাদ। ছোট বিষয়ের প্রতি মায়া। জীবনের ছোট ছোট সুখগুলোকে উপভোগ করা। মধ্যবিত্ত পরিবারের দাম্পত্য জীবনটা খুবই মধুময় হয় । মাঝেমধ্যে রাগ অভিমান ঝগড়া খুনসুটি ঝগড়া লেগেই থাকে। দেখলে এরকম সম্পর্কের মায়ায় সবাই যেনো আঁকড়ে ধরে বেঁচে থাকতে পারে।
তার পর
হঠাৎ একদিন আগমন হয় থার্ড পার্সন এর।। সেখান থেকে শুরু হয় পারিবারিক অশান্তির। মূলত প্রতিটা সম্পর্কে বিচ্ছেদের পিছনে হাত থাকে তৃতীয় ব্যক্তির। এইঘোরের কথা ওই ঘরে আবার ওই ঘরের যেন তারা সাংবাদিক। নানা রকমের কুমন্ত্র দিয়ে ঝগড়া সৃষ্টি করা হয়েছে তৃতীয় ব্যক্তি কাজ ।আর সেই তৃতীয় ব্যক্তির দ্বারা প্রতিটা সম্পর্কে বিচ্ছেদ ঘটে । আমার স্বামী গো তোমার সেটা দিছে ওখানে নিয়ে ঘুরতে গেছে এটা করছে সেটা করছে এসব বলে তারা ঝগড়ার সৃষ্টি করে। শুরু হয় পারিবারিক ঝগড়া। শেষ পর্যন্ত বিচ্ছেদ ঘটার সম্ভাবনা থাকে। এই তৃতীয় ব্যক্তি কে চিনতে পারলেই মধ্যবিত্ত পরিবারের শান্তি বিরাজ করে। কিন্তু মধ্যবিত্ত পরিবারে টাকা-পয়সার সব হিসাব করে খরচ করতে হবে। পরিমাণ টাকা দিয়ে সকল বিষয় সবকিছু খরচ মেইনটেইন করতে হয়। এক মাসে যদি বাড়তি খরচ আসে তাহলে সেই মাসে চলতে পারাটা কষ্টের হয়ে যায়। অনেক মধ্যবিত্ত পরিবারের বাবা মা আছে যারা ঈদের সময় ও ও নিজেদের কাপড় না কিনে বাচ্চাদের জন্য কাপড় কি নে দেয়। আবার অনেক পরিবর্তন আছে যারা বাচ্চাদের কাপড় দিতেও হিমশীল হয় । তবুও সব কিছু নিয়ে কি থাকতে পারাটাই হচ্ছে মধ্যবর্তী পরিবারের সেরা ক্রেডিট।
সবকিছুতেই আপোষ সবকিছুতেই বোঝাপড়া সবকিছুতেই আত্মহতি আগে এই নিয়েই হচ্ছে একজন মধ্যবিত্ত পরিবার একজন মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান একজন মধ্যবিত্ত পরিবারের মানুষ।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE BLURT!