হ্যালো বন্ধুর আসসালামু আলাইকুম, আশা করি সবাই ভালো আছেন? আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের দোয়ায় আমিও ভালো আছি।
আমি যে ঘটনাটি লিখব সেটা আমার নিজের সাথে ঘটেনি, তবে আমার বন্ধুর সাথে ঘটেছে। ঘটনাস্থলে আমি সেখানে ছিলাম।
ঘটনাটি একটু ভৌতিক টাইপের হবে। ভৌতিক হলেও ঘটনাটি একদম সত্যি। কথা না বাড়িয়ে শুরু করছি।
এসএসসি পরীক্ষা শেষ সবাই চিল্লাতে বের হব বলে ঠিক করেছি। অবশেষে 27 শে নভেম্বর চিল্লার উদ্দেশ্যে বের হয়ে গেলাম। আমাদের রোগ হলো রাজশাহী জেলার পবা থানার দামকুড়া ইউনিয়নে।শুধু এতোটুকুই জানতাম, এরপর রাজশাহী উপশহর এ যাওয়ার পর সেখান থেকে আমাদের রোগ হলো শিতলাই।
প্রথম মসজিদটা খুব ভালো ভাবেই কেটেছে, দ্বিতীয় মসজিদটা ও মোটামুটি কেটেছে। ঘটনার শুরু তৃতীয় মসজিদে।
সিলিন্ডারে গ্যাস পড়ানো হয়, তৃতীয় মসজিদে যাওয়ার পর গ্যাস শেষ হয়ে গেল। মসজিদের নাম ছিল "কাদিপুর মধ্যপাড়া জামে মসজিদ"।
গ্যাস নিয়ে আসার জন্য তিন মাইল হেঁটে আমাদেরকে শিতলাই বাজারে যেতে হতো। মাগরিবের পর চারজন রওনা হলো। ওরা আবার একটু মজা করতে করতে যাচ্ছিল। রাস্তায় দোকান থেকে পিয়াজু আর রুটি খেয়েছে, এগুলো খাওয়ার পর একজন আবার পানি খাইনি। ওর নাম সিয়াম।
সাইকেলে করে গ্যাস সিলিন্ডার নিয়ে আসার সময় শিতলাই ত্রীমোড় এ একটা বড় কড়াই গাছ ছিল।এখানে আসার পর হঠাৎ করে একটা ছায়ামূর্তি আবির্ভাব হলো। দুইজন সামনে ছিল আর দুইজন পিছনে গান গাইতে গাইতে আসছিল। হঠাৎ করেই সিয়াম সাইকেল এবং গ্যাস সিলেন্ডার ফেলে দিয়ে পাশের জন কে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে শুরু করে। তখন পর্যন্ত ওরা কিছু বুঝতে পারেনা। আরে সাইকেল নিয়ে এগিয়ে আসতে থাকে। একটু সামনে আসলেই এক মাইলের মত রাস্তা আছে যেখানে কোন বাড়িঘর নেই,শুধু ফাঁকা জমি। সেখানে এসে সিয়াম কাঁপতে শুরু করে। তখন ওরা সবাই একটু ভয় পেয়ে যায়। কোন মত সেখান থেকে চলে আসে। সামনে একটা মাদ্রাসা আছে ওরা আলোচনা করে সিয়ামকে মাদ্রাসার হুজুরের কাছে নিয়ে যায়।
হুজুর দূর থেকে দেখে বুঝতে পারে ঘটনা খারাপ। এদিকে সিয়াম ও হুজুরের কাছে যেতে চাচ্ছে না। কারো আর বুঝতে বাকি থাকেনা যে ওর সাথে জিন ধরেছে। এবার হুজুর তার সামনে সে আমাকে বসিয়ে মাদ্রাসার দুইজন হাফেজ কে বলল তোমরা ওর দুই পাশে বসে ওকে শক্ত করে ধরো।
হুজুরের নির্দেশমতো দুজন ছাত্র তাই করলো।হুজুর একটা পানি ভর্তি গ্লাস নিয়ে আমাদের একজন কে বললো, দেখতো গ্লাসের ভিতর ফুঁ দিলে, বাতাস অন্যদিক দিয়ে বের হয় কিনা?
আমাদের ভিতরে থেকে একজন হাত দিয়ে দেখল বাতাস বের হয়। সে বললো, বাতাস বের হয়।
হুজুর তখন জোরে জোরে কোরআনের আয়াত পড়তে লাগলো। এবং মনে হচ্ছিল গ্লাস যেন কেউ টেনে নিয়ে যাওয়ার জন্য চেষ্টা করছে, কিন্তু পারছেনা। এরপর জিন সিয়ামের শরীরকে ছেড়ে চলে গেল। আমরা সবাই অনেক ভয় পেয়েছিলাম তাই আমরা পরবর্তীতে সেখান থেকে গিয়ে বাকি নয়টা মসজিদ অন্য জায়গাতে কাজ করেছি।
বাকি এক মাস আমরা রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের ভিতরে ছিলাম।
এই ছিল আমার বন্ধুর সাথে ঘটে যাওয়া অপ্রত্যাশিত একটা ঘটনা। আশা করি সবার ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ আমার লেখাটি এতক্ষন মনোযোগ দিয়ে পড়ার জন্য।