সকালের নির্মল পরিবেশে লেখালেখি করার জন্য উত্তম সময় বলে আমার মনে হয়।
বন্ধুরা, আমরা সবাই মানুষ। সৃষ্টির সেরা জীব।আর আমরা সৃষ্টিকর্তার তৈরি করা সেরা জীব বলেই আমাদের থাকা উচিৎ ব্যক্তিত্ব ও সাফল্য। কারণ ব্যক্তিত্ব ছাড়া সাফল্য আশা করা যায় না। ব্যক্তিত্ব ও সাফল্য মূলত ওতপ্রোতভাবে জড়িত। মানুষের ব্যক্তিত্ব ই তার মর্যাদা বৃদ্ধি করে।ব্যক্তিত্বহীন মানুষের কোন মূল্য আমাদের সমাজে নেই। আর থাকাও উচিত নয়। শুধুমাত্র ব্যক্তিত্ব ই মানুষকে মহান করে তোলে।
আমরা সবাই জানি যে,কৃত্তিমানের যেমন মৃত্যু নেই। তেমনি মানুষ হিসেবে জন্ম নিলেই জীবনে ব্যক্তিত্ব ও সাফল্য অর্জন করতে হবে। যেহেতু প্রত্যেক মানুষই চায়
তার জীবনে সফলতা অর্জন করতে। আর এই সফলতা অর্জন করতে হলে তাকে অবশ্যই পরিশ্রমী,সৎ ও সাহসী হতে হবে।
আবার এ কথাও অবশ্যই মনে রাখতে হবে যে, শুধু শিক্ষা লাভ করে সফলতা অর্জন করা সম্ভব নয়। তার অবশ্যই ব্যক্তিত্ব থাকতে হবে। অনেক উচ্চশিক্ষিত ব্যক্তির মাঝেও কিন্তু ব্যক্তিত্ব থাকে না। আসলে ব্যক্তিত্ব সম্পূর্ণ একটি আলাদা বিষয়। এটা বলে কাউকে শেখানো যায় না। এটা মানুষের নিজের জীবন উপর নির্ভর করে। আমরা অনেক সময় দেখতে পাই যে, শুধু মাত্র ব্যক্তিত্বের অধিকারী বলেই সমাজের নিচু স্তরের মানুষকেও সবাই অনেক সম্মান করে।তারা সমাজের নেতৃত্ব দেন, গ্রামের মাতব্বর হিসেবে সম্মানিত হোন।এসব শুধুমাত্র ব্যক্তিত্বের কারণে সম্ভব হয়।
মূলত ব্যক্তিত্ব ই মানুষকে অনেক উপরে নিয়ে যায়।এর সাথে শিক্ষার কোন মিল নেই। একজন ব্যক্তি শুধু উচ্চ ডিগ্রিধারী হলেই হবে না, সেই সাথে তার ব্যক্তিত্ব ও থাকতে হবে। তবে ব্যক্তিত্বের পাশাপাশি জীবনে সফলতার ও অনেক প্রয়োজন আছে। কিছু মানুষ শুধুমাত্র জ্ঞান ,বুদ্ধির অভাবে হাতের মুঠোয় থাকা সুযোগ টা ও কাজে লাগাতে পারে না।
অপরদিকে বুদ্ধির জোরে একটা মানুষ সহজেই সফলতা অর্জন করেছে। শুধু সাফল্যের পেছনে ছুটলে হবে না- অধ্যবসায়, চেষ্টা, সাধনা ও স্বপ্ন থাকতে হবে। তবেই জীবনে সফলতা অর্জন সম্ভব।
সব শেষে বলছি, সফলতার পেছনে না দৌড়ে পরিশ্রমী, ব্যক্তিত্ববান ও কৌশলী হয়ে উঠুন।আর ব্যক্তি বিশেষদের মতো সাফল্য অর্জন করে বিশ্ব মানবতার কাছে রেকর্ড গড়ে তুলুন।