বন্ধুরা, আম এমন একটি ফল- যা সব বয়সের মানুষের ভীষণ পছন্দের একটা খাবার। এটা কাঁচা বা পাকা সব অবস্থায় খেতে অনেক সুস্বাদু। আবার যদি আমি কাঁচা আমের আচারের স্বাদের কথা বলি, তাহলে নিশ্চয়ই এতোক্ষণে সবার জিভে জল চলে এসেছে।আর সেই রকম ই একটি লোভনীয় আমের আচারের রেসিপি আজকে আমি শেয়ার করবো তোমাদের সাথে।
আজকে যে আমগুলোর আচারের রেসিপি শেয়ার করছি,সে আমগুলো আমি আমার গ্রামের বাড়ি থেকে নিয়ে এসেছিলাম। তাই এই আমগুলো ১০০% ফ্রেশ, ফরমালিন মুক্ত।
বন্ধুরা, কাঁচা বা পাকা আমের যেমন রয়েছে অবর্ণনীয় একাধিক পুষ্টি উপাদান। তেমনি এর আচারেও রয়েছে একাধিক স্বাস্হ্যগুন ।এই বিষয়ে আমি আমার পোষ্টের শেষে আলোচনা করবো ইনশাআল্লাহ।
আমি প্রথমে গাছ থেকে পেড়ে আনা আমগুলোকে ভালো করে পানি দিয়ে ধুয়ে নিয়েছি। তারপর টুকরো টুকরো করে কেটে নিয়ে আমগুলোকে লবন পানিতে আধা ঘন্টার মতো ভিজিয়ে রেখেছি।আধা ঘন্টা পর লবন পানি থেকে আমগুলোকে তুলে নিয়ে আবার ফ্রেশ পানি দিয়ে ধুয়ে ফ্যানের বাতাসে শুকিয়ে নিয়েছি। এরপর একটি প্লেটে পরিমাণ মতো লবন, মরিচ গুঁড়া, শুকনো মরিচ, চিনি, রসুন কুচি, সরিষার তেল, পাঁচ ফোড়ন,গরম মসলা, তেজপাতা এই সব উপকরণ গুলো সাজিয়ে নিয়েছি।
এ পর্যায়ে চুলায় একটি পাত্রে সরিষার তেল ঢেলে নিয়ে তার মধ্যে রসুন কুচি গুলোকে বাদামী করে ভেজে নিয়েছি। তারপর এর মধ্যে একে একে সব উপকরণ মিশিয়ে ভালো করে কষিয়ে নিয়েছি। মসলা গুলো কষানো হয়ে গেলে শুকনো আমের টুকরা গুলো পাত্র এর মধ্যে ঢেলে দিয়েছি। তারপর বেশ কিছুক্ষণ ধরে নাড়াচাড়া করে একটা ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিয়েছি ৫/৭ মিনিট এর জন্য।
৫/৭ মিনিট ধরে আমের টুকরা গুলো সিদ্ধ হয়ে যাওয়ার পর হালকা নাড়াচাড়া করে তাতে স্বাদ মতো চিনি মিশিয়ে নিয়েছি। আবার আলতো করে নাড়াচাড়া করছি যেন চিনি টা গলে গিয়ে আমের টুকরা গুলোর সাথে মিশে যায়। এ পর্যায়ে চুলায় আচার টা অল্প আঁচে আরো কয়েক মিনিট রেখে দিয়ে নামিয়ে নিয়েছি। নামিয়ে নেয়ার পর আচার টা ঠান্ডা হয়ে গেলে একটি কাঁচের বোতলে ভরে ফ্রিজে রেখে দিয়েছি দীর্ঘ দিন ধরে সংরক্ষণ এর জন্য।
এবার আসি আমের আচারের উপকারিতা নিয়ে আলোচনায়।
- মানব দেহের লিভার ভালো রাখতে সাহায্য করে এই আমের আচার।
*স্থুলতা ও ডায়াবেটিস রোধ করতে সাহায্য করে।
*সব মানুষের ই হজমে সমস্যা থাকে। তাই তিন বেলা খাবার এর প্লেটে আচার খেলে এই হজমের সমস্যা দূর হয়।
*গর্ভাবস্থায় নারীরা আচার খেতে খুব ভালোবাসে। এর পেছনেও একটি বৈজ্ঞানিক কারণ রয়েছে। এটি দেহে অ্যাসিডিটির মাত্রা কমায় এবং গর্ভাবস্থায় সব ধরনের অসুস্থতার মাত্রা কমাতে সাহায্য করে।
*নিয়মিত আমের আচার খেলে আলসারের ঝুঁকি কমে। এছাড়াও আচারে থাকা উপকারী ব্যাকটেরিয়াতে অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল উপাদান রয়েছে। যা ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়াকে ধ্বংস করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
তাই সবাই নিয়মিত আচার খান। আর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ান।