জীবন চলার পথে কোন ভালো কাজ করতে গেলে নানান ধরনের বাধা বিপত্তির সম্মুখীন হতে হয়।
কেউ কেউ হয়তো আমাদের স্বপ্ন পূরণের পথে শক্তিশালী ভাবে বাঁধা সৃষ্টি করে আমাদের স্বপ্নকে ধূলোয় মিশিয়ে দেয়।
এভাবে একের পর এক বাধা বিপত্তি আমাদের জীবনে এসে বার বার আঘাত করে।
কিন্তু আমাদের একথা ভুলে গেলে কিছুতেই চলবে না যে, জীবনে আঘাত পাওয়া মানেই হেরে যাওয়া নয়। কিংবা জীবনটাকে বৃথা ভাবাটা উচিৎ নয়। কেননা সফল মানুষের প্রকৃত জীবন তো শুরু হয় আঘাত পাওয়ার পরবর্তী সময়টাতে ।
জীবন চলার পথে কিছু কিছু আঘাত না পেলে জীবনের মূল রহস্য উদঘাটন করা সম্ভব নয়।
আমার মতে, জীবনে আঘাত পাওয়া খুব জরুরি । অন্তত পক্ষে বাস্তবতার অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য, কাছের বা দূরের মানুষগুলোর মুখোশের আড়ালে আসল পরিচয় টা চেনার জন্য।
কিংবা নিজের আবেগী মনটাকে শক্তিশালী করার জন্য হলেও একবার না একবার ভীষণ ভাবে আঘাত পাওয়া দরকার সব মানুষের ই।
কারণ মানুষের জীবনে যতক্ষণ না কষ্ট- দুঃখ হানা দিবে ততক্ষণ পর্যন্ত পৃথিবী টাকে পূর্ণিমার চাঁদের মতো ঝলমলে মনে হবে।
কিন্তু যখনি জীবনে কোন বিপদ এসে হাজির হবে, তখনই পৃথিবীর আসল পরিচয় আমাদের সামনে খোলাসা হবে।
আপন মানুষেরা মুহূর্তের মধ্যেই পর হয়ে যাবে।
সুদিনের বন্ধুরা সব লেজ গুটিয়ে নিবে।
কোন এক মন খারাপের সন্ধ্যায় সঙ্গ দেয়ার জন্য পাশে কেউ থাকবে না।
মনে হবে, পুরো পৃথিবী আমাকে দেখে উপহাস করছে।
তাই পৃথিবীর এই নির্মম রূপ বৈচিত্র্য দেখার জন্য হলেও জীবনে ২/৪ বার আঘাত পাওয়া জরুরী।
ওই সব হেরে যাওয়া বা আঘাতগুলোকে , নির্মম দুঃখ কষ্ট গুলোকে নিজের বন্ধু করে, উদ্যম ভাবে জেগে ওঠো ।
দেখিয়ে দাও সেই সব মানুষের চোখে আঙুল দিয়ে যারা তোমাকে বার বার ভেঙ্গেছে । অবহেলা, অবজ্ঞা, অপমান, হাসি তামাশা করে যারা তোমাকে দুমড়ে মুছড়ে খেতে চেয়েছে ।
জীবনের কোন অবস্থাতেই পিছিয়ে নয় বরং এগিয়ে গিয়ে সাফল্য দিয়ে নিন্দুকদের বিষ বাক্যের জবাব দাও ।
সততা, নিষ্ঠা, অধ্যবসায় , ধৈর্য্যশক্তি ও সহ্যশক্তিকে জীবনের পাথেয় হিসেবে গ্রহণ করো।
দুঃখ, কষ্ট ,কান্না এসব সাময়িক ও স্বাভাবিক ব্যাপার।
কোন অবস্থাতেই ভেঙ্গে পড়লে চলবে না । মনে প্রাণে একটা কথাই স্বরনে রেখো,
"ব্যর্থতাই সাফল্যের মূলমন্ত্র"
"পরিশ্রম সৌভাগ্যের প্রসূতি"