আমরা হয়তো আমাদের ছাত্র জীবনেই শুধু বই পড়ার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করি। পড়ালেখা করে কয়েকটি সার্টিফিকেট অর্জন করা হয়ে গেলে আমরা নেমে যাই চাকুরির সন্ধানে। তারপর যার কপাল ভালো থাকে ,সে পেয়ে যায় একটি চাকরি। তারপর তার জীবন থেকে বই পড়ার অভ্যাস চিরতরের জন্য বিদায় নেয়। অথচ আমাদের একাডেমিক পড়ালেখা শেষ হলেই যে পড়ার অভ্যাস বাদ দিতে হবে, এমন কোন কথা নেই কিন্তু।
কারণ আমাদের যখন একাডেমিক পড়ালেখা শেষ হবে, তখন বিভিন্ন ধরনের শিক্ষনীয় বই পড়ে আমরা আমাদের কল্পনাশক্তি, সৃজনশীলতা ইত্যাদি গুনাবলির বিকাশ ঘটাতে পারি। কারণ আমরা যত বেশি গল্পের বই বা শিক্ষামূলক বই পড়বো। ততবেশি সময়কে সঠিকভাবে কাজে লাগানোর কৌশল এবং বাস্তব জীবনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কিছু কৌশল আমরা রপ্ত করতে পারবো।
আমরা সবাই জানি যে, শেখার কোন নির্দিষ্ট সময়,স্হান বা কোন সীমা পরিসীমা নেই। তাই আমাদের প্রত্যেকের উচিত প্রতিনিয়ত নতুন নতুন বিষয় নিয়ে জানা ও শেখা। আমাদের একাডেমিক পড়ালেখার পাশাপাশি বাস্তব জীবন ও কর্মমুখী শিক্ষাও সমান ভাবে গুরুত্বপূর্ণ।
{এই ছবিটি পুরোপুরি আমার বাস্তব জীবনের প্রতিচ্ছবি।
এমনকি পোস্ট টা লিখার সময়েও আমার ছেলে এভাবে আমার কোলে বসে আছে।}
আর তাই সমাজে ও আপন আপন কর্মক্ষেত্রে নিজের পজিশন কে মজবুত করতে আমাদেরকে অনেক বেশি কৌশল আয়ত্ত করতে হবে।আর এসব কৌশল আয়ত্তে আনার জন্য আমাদেরকে বেশি বেশি করে বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। তবেই এই কৌশল বা আইডিয়া গুলো আমাদের স্বপ্ন গুলোকে বাস্তব রুপ দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।