রাহাত তার এস এস সি পরীক্ষা র পূর্বে টানা ৪ মাস মারাত্মক রকমের অসুস্থ ছিল।তার ভাষায়, আমার এ অসুস্থতার সময়ে আমি দেখেছি মায়ের পেরেশান চেহারা।
আড়াল থেকে দেখেছি, নামাজ শেষে কোরআন তিলাওয়াত এ বসে দুহাত তুলে মা আমার জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করছেন। আমার সুস্হতা কামনা করে দুচোখের অশ্রু বৃষ্টির মতো ঝড়িয়েছেন।
আড়ালে মা ভেঙে পড়লেও আমার সামনে এসে এমন ভাব করতেন, যেনো সহজে ভেঙে পড়ার মানুষ তিনি নন।
আমাকে বার বার সান্ত্বনা দিয়ে বলতেন, দেখিস তুই কিছু দিনের মধ্যেই সুস্থ হয়ে পরীক্ষা দিতে পারবি।আর সেই সাথে এ প্লাস ও পাবি। কোন দুশ্চিন্তা তুই করিস না।
ঠিক ই পরীক্ষা র প্রায় সপ্তাহ খানেক আগে আমি মোটামুটি সুস্থ হয়ে উঠলাম। যথাসময়ে মোটামুটি প্রস্তুতি নিয়ে পরীক্ষা দিলাম।
সব পরীক্ষা অনেক ভালো হলেও গণিত পরীক্ষা টা আমার ভীষণ খারাপ হয়ে ছিল।পাশ করবো কি না সেটা ও সন্ধ্যেহ ছিল।
মায়ের স্বপ্ন পূরণ করতে পারবো না দেখে আমি লুকিয়ে লুকিয়ে কাদতাম। আমি জানি আমার পক্ষে আর এ প্লাস পাওয়া সম্ভব না।
তাই রেজাল্ট আসার আগ পর্যন্ত মা কে বলতাম আমার জন্য বেশি বেশি করে দোয়া করতে,যেনো এ প্লাস টা পাই।
এভাবে মা কে বলার পরে দেখেছি, মা আমার জন্য বেশি বেশি করে দোয়া এবং দান খয়রাত করতেন।
পরীক্ষা র ফলাফল প্রকাশ হলো সময় মতো। আর আমি কৃতকার্য হলাম গোল্ডেন এ প্লাস পেয়ে। আমি তো অবাক,এটি কিভাবে সম্ভব। যেখানে আমার গণিত এ পাশ নিয়ে টানাটানি।
কিন্তু আমার এই সফলতা র আসল কারণ কেউ না জানলেও আমি জানি। এটা সম্ভব হয়েছে কেবল মাত্র মায়ের দোয়ার বরকতে।
আসুন আমরা সবাই পিতা মাতাকে বেশি বেশি করে শ্রদ্ধা,সম্মান এবং ভালোবাসি। কারণ আল্লাহ তায়ালা র সন্তুষ্টি র পরেই পিতা-মাতার সন্তুষ্ট তে সন্তানের জন্য কল্যাণ নিহিত আছে দুনিয়া ও আখেরাতে।
আমরা যদি পিতা-মাতার প্রতি যত্নশীল হই তাহলে আর কোন বাবা মা কে বৃদ্ধাশ্রমে ঠাঁই নিতে হবে না।
ভালো থাকুন পৃথিবীর সব বাবা মায়েরা।
" রাব্বির হাম হুমা কামা রাব্বা ঈয়ানি ছগ্বিরা"
মায়ের দোয়ায় অসম্ভব কে সম্ভব করে দেন আল্লাহ তায়ালা