আমি জানি কোয়ান্টিটির চাইতে কোয়ালিটির দিকে বেশি মনোনিবেশ করা উচিত। সেটা যাই হোক না কেন?
কিন্তু লেখালেখি করতে আমার অনেক ভালো লাগে। আর ভালোলাগার কাজে ব্যস্ত থাকলে মানসিক চাপ অনেক কমে যায় এবং জীবনের প্রতিটি মুহূর্তে আনন্দ উপভোগ করা যায়।
অপরদিকে কিছু মানুষ আছে যারা ভালোলাগার কাজ কি ? সেটাই বুঝে উঠতে পারে না। তাই সে সমস্ত মানুষের উচিত তার হাতের নাগালে যে কাজ টা ই আছে , সেটার প্রতিই ভালোলাগা তৈরি করা।
আর আমি সেটাই করি। লেখালেখি করতে ভালো লাগে বলে আমার মনে যা আসে তাই প্রকাশ করি লেখনীর মাধ্যমে। লেখার দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য। লেখনীর দক্ষতা বৃদ্ধি করাটা আমার কাছে এখন একটা স্বপ্নের মতো।
আর আমরা সবাই জানি যে, প্রতিটা স্বপ্নের ভিতরে একটা গভীর আকাঙ্ক্ষা লুকিয়ে থাকে।আমরা অনেক সময়ই এমন সব চাওয়া পাওয়া মনের ভিতরে লালন করি যা অনেক সময় বাস্তবায়ন হয় না। কিন্তু চাওয়া গুলোকে স্বপ্নের মাধ্যমে রূপদান করতে তো কোন দোষ নেই।
তাই না!
" স্বপ্ন " মানুষের জীবনের এমন একটি আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন যা সবসময়ই বাস্তব রুপ পেতে চায়।
কিন্তু আফসোস!
মানুষের জীবনের অধিকাংশ স্বপ্ন বাস্তবে রূপান্তরিত হয় না বলে অনেক সময় মানুষ হতাশার অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়।
কিন্তু তৎক্ষণাৎ তার নিজের অবচেতন মনে একটা স্বপ্নের জগত তৈরি করে।
যেটাকে আমরা কল্পনার জগত বলে জানি। আর এই কল্পনার জগতে আমরা যা যা স্বপ্ন দেখি তার অধিকাংশই স্বপ্ন ই থেকে যায়। বাস্তবে রূপান্তরিত হয় হয়তো ২০% বা ৩০%।
কিন্তু তাই বলে তো মানুষ স্বপ্ন দেখা বাদ দিতে পারে না।
তেমনি আমিও কল্পনার জগতে বিচরণ করতে করতে স্বপ্ন দেখি আমার একদিন লিখার হাত টা অনেক পাকা হবে। আমার লেখনীর মাধ্যমে প্রকাশ করবো চমৎকার সব কবিতা, গল্প,উপন্যাস।
কিংবা লেখবো নিজের জীবনের সব গল্প। কেননা মানুষ নিজেই তার জীবন গল্পের জনক।
আর সেখানে থাকে সুখ দুঃখ এর গল্প।
থাকে অজস্র জানা অজানা গল্প।
তবে আমাদের উচিত বেদনার গল্প গুলো ডাস্টবিনে নিক্ষেপ করে, সুখের গল্প গুলো কে সুন্দর ফ্রেমে বাঁধাই করে রাখা।
আর হোক সেটা নিজের জন্য, পরিবারের জন্য বা
আগামী সময়ের জন্য।
যা আপনার বা আমার জীবনকে আরও কয়েক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যেতে অনেকটা সাহায্য করবে।