বন্ধুরা, বাচ্চাদেরকে নিয়ে ঘুরতে গিয়েছিলাম একটি শিশু পার্কে। সেখানে অনেক ধরনের বিনোদনমূলক জিনিস রয়েছে। তবে সেখানকার সবচেয়ে যে জিনিসটা আমার বাচ্চাদেরকে আকৃষ্ট করেছিল তা হল: ওয়াল পেইন্টিং গুলো।
ওয়াল পেইন্টিং গুলো দেখে আমার মেয়ে খুশিতে আত্মহারা হয়ে আমাকে বলে-
মা!
দেখো মোবাইলের কার্টুন গুলো কিভাবে ওয়ালে ঝুলে আছে!!!
তারপর আমার মেয়ে এক এক করে সব ওয়াল পেইন্টিং গুলোর কাছে যায় এবং তবেই সে বিশ্বাস করে যে এগুলো শুধু মাত্র পেইন্টিং। মোবাইলের জীবন্ত কার্টুন নয়।
আচ্ছা বন্ধুরা, এবার আমি বিস্তারিত একটু বলতে চাই যে, আর্ট বা পেইন্টিং কী ? আর্ট হলো মূলত মানুষের আবেগ ও অনুভূতির সৃজনশীল প্রকাশ। । মানুষের প্রকাশের ক্ষমতা ও আকাঙ্ক্ষা থেকেই শিল্পের জন্ম। প্রকাশের এই ক্ষমতা ও আকাঙ্ক্ষাকে ব্যবহার করেই একজন শিল্পী তাঁর শিল্পবস্তুটিকে অপরের নিকট উপস্থাপন করেন।
আর্ট অথবা শিল্পকলা যদি আমরা ভালো বুঝি, তাহলে শিল্পকলার অনর্নিহিত অর্থ আমাদের চিত্তকে বিনোদিত করতে পারে।
শিল্প মূলত সুন্দরের সাধনা। অর্থাৎ শিল্পকে মুখে ব্যাখ্যা করা যায় না, অনুভব করা যায়। শিল্পের মধ্য দিয়ে আমরা রস ও আনন্দের স্বরূপ উপলব্ধি করি।
পেইন্টিং এমন একটি বিষয়, মানুষের আবেগ থেকে যার জন্ম, সুন্দরের প্রতি আকাঙ্ক্ষা থেকে যার বিকাশ; সৃজনশীল মানুষের হাতে যার প্রকাশ ও উৎকর্ষতা। সৃজনশীল মানুষ কখনও স্রেফ সুন্দরের প্রতি আকাঙ্ক্ষাবশত আপন আনন্দে শিল্পের জন্ম দিয়েছেন, কখনও আবার প্রয়োজনের তাগিদে শিল্পের আশ্রয় নিয়েছেন।
মহাজ্ঞানীদের মতে, হাজার হাজার বছরের মনুষ্য সভ্যতার ইতিহাসে তো প্রাকৃতিক-অপ্রাকৃতিক অনেক দুর্যোগই এসেছে অনেকবার, মহাযুদ্ধ-মহামারী ইত্যাদিতে বার বার বিপর্যস্ত হয়েছে মানুষের জীবন; তাতে কি আর্ট বা পেইন্টিং -এর মতো বিলাসীতা পূর্ণ চর্চা থেমেছিল কোনোকালে ? না। থামেনি। আর থামবেও না। কারণ আর্ট বা পেইন্টিং শুধু বড় মানুষদের চিত্তকে বিনোদিত করতে পারে না , এই পেইন্টিং গুলো ছোটদের ও অনেক বড় একটা চিত্ত বিনোদনের মাধ্যম।