সকালে ৯ টার দিকে ঘড়িতে এলার্ম বেজে উঠল।
এলার্মের শব্দে ঘুম থেকে উঠেই সোজা কম্পিউটারের সামনে গিয়ে বসে পড়লেন মিস্টার টমাস।
কিন্তু এ কি?
পৃথিবীর সাথে সব যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন।
মঙ্গলগ্রহে পৌঁছে মাটিতে পা রাখলেন মিস্টার টমাস,বন্ড,কর্নার এবং প্রফেসর জন।
এই চার জনের গ্রুপটি পাঁচ দিন আগে একটা রকেটে করে মঙ্গলগ্রহের উদ্দেশে রওনা দেন।
মঙ্গলগ্রহে পৌঁছানোর পর তাদের রকেটে যান্ত্রিক গোলযোগ দেখা দেয়।
রকেট থেকে নেমে মিস্টার কর্নার ইন্জিনরুমে গিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে বাকি বন্ধুদের জানালেন , রকেটের পাওয়ার সিস্টেম নষ্ট হয়ে গেছে।
বাকি বন্ধুরা বললেন, পাওয়ার সিস্টেম ঠিক হবার কোন সম্ভাবনা আছে কি?
মিস্টার কর্নার জবাবে বললেন, না সম্ভব নয়।
এটা একেবারেই ড্যামেজ হয়ে গেছে।
এরপরও চার বন্ধু মিলে বেশ কিছুক্ষণ ধরে রকেটের পাওয়ার সিস্টেম ঠিক করার চেষ্টা করে।
শেষে ব্যর্থ হয়ে তারা একে অপরকে বলে,চল ! আমরা যে কাজে এসেছি । আগে সেই কাজটি শেষ করি।
এরপর তারা চার জনই নমুনা সংগ্রহ এর কাজ শেষ করে আবার রকেটের কাছে ফিরে আসে।
ফিরে আসার পর তারা যে যার রুমে চলে যায় বিশ্রাম নেওয়ার জন্য।
কিছুক্ষণ বিশ্রাম নেওয়ার পর আবার তারা চার জনেই একত্রিত হয়।
এসময় মিস্টার বন্ড জানায় যে, আমাদের কাছে যে পরিমাণ খাবার ও অক্সিজেন আছে তা শুধু মাত্র ২/৩ দিন চলবে।
সবাই বুঝতে পারলো , তাদের জীবনের আয়ু আর মাত্র ২/৩ দিন।
তাদের সবাইকে অনেক বিষন্ন লাগছিল।
এসময় প্রফেসর জন বাকি বন্ধুদের বললেন, বিপদের সময় দিশেহারা হলে চলবে না।
সমস্যা সৃষ্টি হলে তার সমাধানের পথও নিশ্চয়ই সৃষ্টি হবে।
প্রফেসর জন এর অভয় পেয়ে বাকি তিন জন একটু খুশি হয়ে যে যার রুমে চলে গেল।
এভাবে দুই দিন কেটে গেল।
আজ তৃতীয় দিন।
তাদের শেষ দিন।
মৃত্যুর আগ মুহূর্তে আবার তারা বেঁচে থাকার শেষ প্রচেষ্টা চালায়।
তাই প্রফেসর জন এর নেতৃত্বে সবাই বেরিয়ে পড়ে কোন উপায় খুঁজতে।
বেশ কিছুক্ষণ খোঁজাখুঁজির পর তারা একটি উঁচু স্থানে এলো।
উঁচু স্থানের অপর প্রান্তে গিয়ে তারা আশার আলো দেখতে পেল।
প্রফেসর জন বলে উঠলো, সমাধানের পথ আমরা পেয়ে গেছি।এখন শুধু কঠোর প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।
আসলে সামনের জিনিসটা ছিল তাদের পূর্বের পাঠানো আরো একটি রকেট।এই রকেটও যান্ত্রিক গোলযোগ এর কারণে নস্ট হয়ে যায়। এবং এই রকেটের যাত্রীরা মারা যায়।
এই রকেটের ধ্বংসাবশেষ থেকে তারা তাদের প্রয়োজনীয় জিনিস খুলে নিয়ে তাদের নিজেদের রকেটের মেরামত করে।
অবশেষে তাদের রকেটের পাওয়ার সিস্টেম চালু হয়।
খুশিতে আত্মহারা হয়ে তারা চার জনই খুব দ্রুত কন্ট্রোল রুমে চলে যায়।
কম্পিউটার অন করার সাথে সাথেই পৃথিবী থেকে মেসেজ আসলো -
অফ অন অফ ইউ ওকে???
জবাবে তারা জানালো , ইয়েস উই আর রিটার্নিং।