মহৎ হৃদয়ের অধিকারী হয়ে উঠার গল্প-
অপারেশর থিয়েটারে অপারেশন করা অবস্থায় একদিন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী করছেন । এমন সময় তার সহকারি অপারেশন থিয়েটারে প্রবেশ করে বলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী লাইনে আছে এবং আপনার সাথে জরুরী একটা আলাপ আছে বলে জানিয়েছেন । তিনি একবার অপারেশন টেবিলে থাকা শিশুটির দিকে তাকালেন তারপর বললেন পিএমকে বল আমি ডিউটিতে আছি একঘন্টা পর ফোন করার জন্য । প্রধানমন্ত্রীর এক ঘন্টা পর ফোন করেছিলেন। পৃথিবীতে আরো অনেক শ্রেণি আছে কিন্তু কেন এত বিখ্যাত দেবি শেঠি কারণ এই মানুষটিকে সর্বোচ্চ চিকিৎসাসেবা দেওয়ার সাথে সাথে তার অর্থনৈতিক অবস্থা ব্যয় ভার বহন করার ক্ষমতা সম্পর্কে জানতে চান এবং সেই মতেই পদক্ষেপ নেয়।এর পিচনের একটি কারনও আছে। ডক্টর দেবি শেঠির বাবা ছিলেন একজন ডায়াবেটিক রোগী। ডায়াবেটিকস বাড়ার কারণে তাকে তিনি অনেকবার অজ্ঞান হয়ে পড়ে যেতে দেখেছেন । তাদের পরিবারের কাছে তখন একজন ডাক্তারের চেহারাটাই ছিল যেন সৃষ্টিকর্তার পাঠানো কেউ। আর এজন্যই খুব ছোটবেলা থেকেই দেবিসেটি একজন ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন । সেই স্বপ্ন পূরণে দক্ষিণ ভারতে জন্ম নেওয়া দেবি শেঠি 1982 সালের মেডিকেল কলেজ থেকে ডাক্তারি বিদ্যায় গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন করে । পরে ইংল্যান্ড থেকে এ বিষয়ে উচ্চতর ডিগ্রী করেন। লন্ডনের উচ্চাভিলাষী চাকরির লোভ ছেড়ে ফিরে আসেন দেশে। এসে কলকাতায় গড়ে তোলেন হার্ট রিসার্চ সেন্টার। কিন্তু ভারতীয়দের হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা বেশি হওয়ায় এই একটি হাসপাতালে যথেষ্ট ছিল না। এজন্য তিনি আরও তিনটি চিকিৎসা কেন্দ্র করে তোলেন। আর এই পর্যন্ত তিনি প্রায় 15 হাজারের বেশি কার্ডিয়াক সার্জারি করে ফেলেছেন দেবি শেঠি।
একসময় কলকাতা মাদার তেরেসার ব্যক্তিগত চিকিৎসক হিসেবে কর্মরত ছিলেন ।
একদিন তাঁর দূরসম্পর্কের আত্মীয় দেবী শেঠির মাকে বলছিলেন কোন একজন ডাক্তার তার সন্তানের জীবন বাঁচিয়েছেন এবং একটা টাকাও নেয়নি একথা শুনে দেবী শেঠির মা ওই ডাক্তার কে বারবার আশীর্বাদ করে বলছিলেন এরকম ভালো মানুষের কারণে এখনও পৃথিবীটা এত সুন্দর।
আর এপর্যন্ত ডক্টর দেবি শেঠি চার হাজার শিশুর হার্ট সার্জারি সম্পন্ন করেন তাদের অধিকাংশই ছিল দরিদ্র পরিবার থেকে আসা এবং এদের সবাইকেই তিনি বিনামূল্যে চিকিৎসা করেছেন আর এখন ডক্টর দেবি শেঠি এবং তার নারায়ণা হৃদয়ালয় এসে কোন রোগী অর্থাভাবে চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখেন।