শুভ রাত্রি বাংলাদেশ থেকে।
কেমন আছেন আপনারা সবাই?
আমি ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আমরা যে কাজই করি না কেন?
কাজটি সুচারুরূপে সম্পন্ন করার মাঝে যে আত্নগরিমা আছে তা অনেকেরই চোখে পড়ে না।
এটা তো সবারই জানা আছে।
নিজে নিজেই কোন কাজই সম্পন্ন হয় না।
কঠোর পরিশ্রম ও চেষ্টা করে তবেই কাজ সুচারুরূপে সম্পন্ন করা সম্ভব।
এমন অনেক মানুষ আছে যারা ফাঁকি দিয়ে কাজ শেষ করতে চায়।
অথচ এটা কোন ভাবেই উচিত নয়।
কারণ যথোচিত পরিশ্রম ও দক্ষতার সাথে কোন কাজ সম্পন্ন করলে নিজের মধ্যে একটি আত্নগৌরব জন্মায়, এটা অন্তরের তৃপ্তি ও সাফল্যের মূলমন্ত্র।
তবে মনে রাখবেন, এই আত্নগৌরব কিন্তু অহংকার নয়।
কারণ আত্নগৌরবে আছে কাজ সুসম্পন্ন করার আনন্দ এবং বিনয়।
পক্ষান্তরে অমনোযোগী ও আন্তরিকতাহীন কাজে কোন সাফল্য অর্জন করা সম্ভব নয়।
আমরা যখন কোন কাজ করা শুরু করি, তখন শুধু অপেক্ষায় থাকি কখন কাজটি শেষ হবে?
অথচ এ কথা আমরা ভুলে যাই যে, কোন কাজ শেষ হতে কতটা সময় লেগেছে - এটা কেউ মনে রাখে না।
কিন্তু কাজটা ভালো ভাবে সম্পন্ন হয়েছে কি না, সেটার খোঁজ সবাই রাখে।
আসলে কোন কাজকেই ছোট করে দেখা উচিত নয়।
একই ভাবে কাজের ও পরিসেবার মান নিয়ে কোন আপস চলে না।
একটি ছোট্ট উদাহরণ দিয়ে আমি আমার পোস্ট শেষ করবো। তা হলো.......
"ম্যাকডোনাল্ট নামক বিখ্যাত কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা রয় ক্রক একটি দোকান পরিদর্শন করার সময় খাবারে একটি মাছি উড়তে দেখেছিলেন।
প্রায় দুই সপ্তাহ পর সেই দোকানের কর্মচারী তার চাকরি হারালেন।
সে সময় রয় ক্রক তাকে বলেছিলেন, করনীয় কাজের জন্য গৌরব বোধ ও কাজটি সুচারুরূপে সম্পন্ন করার ইচ্ছা নিয়ে কাজ করবে।
কারণ আমি নিজেই কর্মজীবনের শুরুতে বুঝে গিয়েছিলাম যে, কাজের পুরস্কার পাওয়া যায় শেষে।"
সত্যি সত্যিই তো !
কাজ সুচারুরূপে সম্পন্ন করার তৃপ্তিই বড় পুরস্কার। অনেক বড় কাজ খাপছাড়া ভাবে শেষ করার থেকে অনেক ছোট কাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করা অতি উত্তম।