আমরা যেহেতু মানব জাতি, সৃষ্টির সেরা জীব। তাই দৈনন্দিন জীবনে আমাদেরকে নানা ধরনের অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হতে হয়।
আর সেই অভিজ্ঞতা কখনো সুখকর হয়।
কখনো বা দুঃখের হয়।
যে অভিজ্ঞতা টা সুখের হয়। সেটা নিয়ে আর কোন অভিযোগ থাকে না কারো।
কিন্তু দুঃখের অভিজ্ঞতা হলে মূহুর্তেই আমাদের মন অনেক খারাপ হয়ে যায়। সাময়িক ভাবে ভেঙে পড়ি কেউ কেউ।
তবে এদের মধ্যে যাদের মন অনেক শক্তিশালী তারা খুব দ্রুত নিজেকে সামলে নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যায়।
আর এটাই স্বাভাবিক ও উত্তম বুদ্ধি।
আমাদের মনে রাখতে হবে, জীবনে সফলতা অর্জন করতে চাইলে এবং বড় হতে চাইলে নানান রকমের আলোচনা সমালোচনার মুখোমুখি হতে হয়।
আর এই আলোচনা বা সমালোচনা সহ্য করার একটা ক্ষমতা থাকে ,যেটা কে এক ধরনের যোগ্যতা ও বলা যায়।
মনে রাখবেন, আপনি বা আমি যতো ভালো কাজই করি না কেন—কেউ না কেউ আপনাকে বা আমাকে অপছন্দ করবেই। কেউ না কেউ সমালোচনা করবেই। পৃথিবীর বুকে এমন একজন বিখ্যাত বা বড় মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না, যার সমালোচনা নেই। সে যতো মহামানবই হোক না কেন।
সৃষ্টির ইতিহাসে নিষ্পাপ শিশুর মতো যার জীবন , মহামানব হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম । তাঁকে নিয়েও কাফিরেরা সমালোচনা করা বাদ দেয় নাই।
তো সেখানে আপনি বা আমি কোন স্যার ???
আপনি বা আমি ক্লাসের বেস্ট স্টুডেন্ট হলে, ভালো রেজাল্ট করলে, ভালো একটা জীবনসঙ্গী পেলে, কোন একটা ভালো চাকরি পেলে, পাশের কেউ না কেউ হিংসা ও অপছন্দ করবেই। সমালোচনা করবে।
আবার আমরা যদি বেকার অবস্থায় পড়ে থাকি, তাও সমালোচনার মুখোমুখি হতে হবে।
অর্থাৎ জীবন যতদিন , ততদিন আপনাকে বা আমাকে ভালো বা মন্দ এর জন্য হোক সমালোচনার মুখে পড়তেই হবে।
আর এই ধরণের সমালোচনা সামাল দেয়া— জীবনের একটা অংশ। এই সমালোচনা আমি কতোটুকু সহ্য করবো, কতটুকু এড়িয়ে গিয়ে আমার লক্ষ্যস্হলে পৌছাবো সেটাই হলো আমার আসল কৃতিত্ব, সাহস ও শক্তি। এসবের উপর নির্ভর করে আমার সামনে যাওয়ার ভবিষ্যত।
ভবিষ্যতে সামনে এগিয়ে যেতে ও সফলকাম হতে হলে, এই শক্তিটা আমাদের সবার অতি প্রয়োজন।সব আলোচনা ও সমালোচনা দু পায়ে মাড়িয়ে শক্তি সঞ্চয় করে নিজের মঞ্জিলে পৌঁছাতে পারলে একদিন সমালোচনাকারীরাই আপন করে কাছে ডাকবে।
আর এটাই নিয়তি।
এটাই নিয়ম।
তাই জীবন চলার পথে সাফল্যের জন্য প্রয়োজন শুধু ধৈর্য ও সহনশীলতার।
আর মনে রাখবেন,সমালোচনাকে ভয় পাওয়া মানে সফলতাকে দূরে ঠেলে দেয়া।