লেখার প্রকাশ ভঙ্গির দূর্বলতার কারনে আমাকে হ্যাবলা মনে হতে পারে অনেকেরই।
কিন্তু বিশ্বাস করুন, কতো ছন্দ, গল্প, কবিতা ও উপন্যাস আকর্ষণীয় ভঙ্গিতে লেখার জন্য আমার ভেতরে থাকা বন্দী শব্দ গুলো ছোটাছুটি করে বেড়ায়।তা আমি ভাষায় প্রকাশ করতে পারছি না। আমি আমার বন্দী থাকা শব্দমালা গুলো কে চমৎকার ভাষার রূপ দিতে চাই।
কিন্তু যখনি আমি কোনো গল্প, কবিতা ও উপন্যাস লেখা শুরু করি। ঠিক তখনই আমার ভেতরে থাকা শব্দমালা ও ভাষা গুলো কেমন যেন এলোমেলো হয়ে যায়।
আমি আর গুছিয়ে লিখে উঠতে পারিনা। আমি তখন অনেক বেদনা ও ক্লান্ত বোধ করি। আমার খাঁচার ভেতরে থাকা শব্দমালা গুলো আবার বন্দীদশা গ্রহণ করে নীরবে নিভৃতে কাঁদে।
এটা কি সত্যি সত্যিই আমার অক্ষমতা, অদক্ষতা?
না কি দীর্ঘ দিন ধরে লেখা লেখি না করার অভ্যাসের কারণে শব্দমালা গুলো অভিমানী হয়েছে আমার উপরে।
এই সমস্যা কি সত্যি আমি কাটিয়ে উঠতে পারবো ?
না কি না?
অথচ একটা গল্প বা কবিতা অথবা উপন্যাস আকর্ষণীয় ও চমৎকার ভাবে লেখার জন্য আমার ভেতরে থাকা অতৃপ্ত আত্মা ছটফট করছে অবিরাম।
না কি আমার ভাষা জ্ঞান খুবই সীমিত হয়ে গেছে জীবন নামক রেলগাড়ি টা বহন করতে করতে।
কিন্তু এও তো সত্যি।
জীবন নামক রেলগাড়ি টা তো শুধু আমি একা বহন করছি না।
আমার মতো তো অনেক সংগ্রামী মানুষ চারদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে।
তাদের ও কি তবে কোন অব্যক্ত যন্ত্রনা আছে আমার মতো। তাদের যন্ত্রণার ধরন টা ঠিক আমার ই মতো কি ?
না কি অন্য?
না ! আমি হারবো না।
আমি অবিরাম চেষ্টা চালিয়ে যাবো আমার ভেতরে বন্দী থাকা শব্দমালা গুলো কে চমৎকার ভাষায় রূপ দিতে।
কারণ অনুপ্রেরণা দান কারী কবি তো বলেই দিয়েছেন.......
" পারিব না একথা টি বলিও না আর
এক বার না পারিলে দেখ শতবার"