আসসালামুয়ালাইকুম বন্ধুরা,
সবাই ভালো আছেন নিশ্চয়ই।
আমিও ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ।
বন্ধুরা, আজকে আমি আমার কলেজ জীবনের এক বন্ধুর অবিশ্বাস্যকর সফলতার ইতিহাস তোমাদের কাছে শেয়ার করবো ইনশাআল্লাহ।
বন্ধুরা, আমরা সবাই জানি যে,সব মানুষই চায় জীবনে সফল হতে । কিন্তু সবাই সফল হতে পারেন না । এমন কি জ্ঞান , বুদ্ধি , বিদ্যা ও সম্ভাবনা এবং পরিপূর্ণ একজন সুস্থ মানুষ হওয়া সত্ত্বেও বেশিরভাগ মানুষ সফলতার শিখরে পৌঁছতে পারেন না । এর অন্যতম কারণ হল বেশিরভাগ মানুষ নিজেই জানেন না তার ভেতরে কতটা সম্ভাবনা আছে বা তিনি কী করতে পারেন । আর বাকি কারণ হল চেষ্টা , আত্মবিশ্বাস, ধৈর্য , সাফল্যের জন্য ক্ষুধা ইত্যাদির অভাব ।
আসলেই সফলতা কখনোই সুখের চাবিকাঠি হতে পারে না বরং সুখই হলো সফলতার চাবিকাঠি। তাই সফল হতে হলে অবশ্যই আপনাকে বা আমাকে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে হোক সেটা শারীরিক অথবা মানুষিক। অনেক ক্ষেত্রে শারীরিক অক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও শুধু মাত্র মানুষিক জোরে একটা মানুষ সফলতার স্বর্নশেখরে কিভাবে আরোহণ করতে পারে সেটার প্রকৃষ্ট উদাহরণ আমার কলেজ বন্ধু " চন্দন কুমার বনিক" ।
মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে চন্দন কুমার বনিক।ছোট বেলা থেকে বিভিন্ন প্রতিকূলতার মাঝে নিজের স্বপ্নকে বাস্তবে পরিণত করেছেন ঠাকুরগাঁওয়ের রত্ন প্রতিবন্ধী চন্দন কুমার বনিক। সব বাধা পেরিয়ে এখন তিনি একজন সফল ব্যাংক কর্মকর্তা। তার কর্মদক্ষতায় খুশি সহকর্মীরাও। জন্মের পর শারীরিক গঠন সবকিছু ঠিকই ছিল চন্দন বণিকের। কিন্তু দেড় বছর বয়সে পোলিওর আক্রমণে পাল্টে যায় জীবনের গল্প।
অন্য সবার মতো স্বাভাবিক না হওয়ায় স্কুল-কলেজে গিয়েছেন বন্ধুদের সাহায্য নিয়ে। সীমাহীন বাধা বিপত্তি পাড়ি দিয়ে শেষ করেন লেখাপড়া। কিন্তু হতাশ হতে হয় চাকরির প্রতিযোগিতায় নেমে। কিন্তু ঐ যে কথায় বলে, আমরা আমাদের জীবনে কি করতে সক্ষম তা আমাদের বিশ্বাস ও প্রত্যাশার ওপর নির্ভর করে। ঠিক সেই বিশ্বাস , ভরসা ও প্রত্যাশাও ছিল চন্দন কুমার বনিক এর। তাই বেকারত্ব এর সেই যন্ত্রণা তাকে সইতে হয়নি বেশি দিন। ২০১৫ সালে ধরা দেয় সেই সোনার হরিণ। চাকরি মেলে সোনালী ব্যাংকে। চন্দনের জীবনের গল্পও নেয় নতুন মোড়।
চাকরি হবার পরে চন্দন বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। বর্তমানে সে দুই সন্তানের গর্বিত বাবা। এবং একজন সফল সরকারি ব্যাংক কর্মকর্তা।
চন্দন এখন মাঝে মাঝে সবাইকে বলে, অপমানের জবাব চড় মেরে দেওয়া যায় না,মাঝে মাঝে যোগ্য জবাব কাজের মাধ্যমেও দিতে হয়........