শুভ বিকেল বাংলাদেশ থেকে।
আপনারা সবাই কেমন আছেন?
আমি ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ।
বেশ কিছু দিন আগে ডেল কার্নেগির বইতে পড়েছিলাম গল্পটা। একটি দুর্ঘটনায় এক পিতা তার ছেলেকে হারান। ভদ্রলোক নিজের ছেলের মৃত্যুশোক সহ্য করতে পারছিলেন না। খাওয়া ঘুম কাজকর্ম সব প্রায় বন্ধ। মর্মান্তিক যন্ত্রণায় দিন কাটছিল তার।
এমন দুঃসহ সময়ে একদিন তার ছোট্ট মেয়েটি আবদার করে বসল- বাবা, আমাকে একটা নৌকা বানিয়ে দেবে? মেয়েকে খুশি করতে তিনি একটানা কয়েক ঘণ্টা কঠোর পরিশ্রমে কাঠ দিয়ে একটা নৌকা বানালেন। নৌকাটি মেয়ের হাতে তুলে দিতে গিয়েই তার মনে হলো, ছেলে মারা যাওয়ার পর নৌকা বানানোর এই কয়েকটি ঘণ্টাই তিনি পুত্রশোকের যন্ত্রণা থেকে মুক্ত ছিলেন।
কেন তিনি এ সময়টা পুত্রশোকের দুঃখ অনুভব করলেন না? কারণ খুঁজতে গিয়ে টের পেলেন মেয়ের জন্য নৌকা বানাতে গিয়ে তিনি অনেক কর্মব্যস্ত ছিলেন।
তাই এরপর তিনি সিদ্ধান্ত নিলেন-একের পর এক কাজ করে যাবেন। যতক্ষণ কাজ ততক্ষণই শান্তি। তিনি মন দিয়ে কাজ করতে লাগলেন। করতে করতে ঠিকই একসময় পুত্রশোক কাটিয়ে উঠলেন।
কর্মব্যস্ততা এভাবেই মানুষকে বাঁচায়। কাজ দিয়েই আমরা দুঃখকে অতিক্রম করি, দুর্ভাগ্যকে জয় করি। যে মানুষ যত বেশি কাজ করে সে তত হতাশামুক্ত, দুঃখ-যন্ত্রণাহীন ও আনন্দপূর্ণ জীবন যাপন করতে পারবে। প্রতিটা কাজই জীবনে কমবেশি সাফল্য নিয়ে আসে। সাফল্য মানেই আনন্দ। তাই কাজ মানেও আনন্দ। একজন মানুষ যত কাজ করবে তত তার জীবনে আনন্দ বাড়বে।
কর্মব্যস্ত জীবন মানে সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু জীবন।
প্রাচীন প্রবাদ মতে, কাজ করতে করতে মানুষ বড়জোর শারীরিক ভাবে ক্লান্ত হয়, কিন্তু কাজ না করতে করতে সে হয়ে পড়ে হতাশ ও বিষণ্ন।
তাই দৈনন্দিন রুটিন অনুসারে আমাদের প্রত্যেকের কর্মব্যস্ত সময় অতিবাহিত করা উচিত। তাহলেই আমরা সুখী ও সুস্থ জীবনযাপন করতে পারবো।
আমার কর্মব্যস্ততার ফাঁকে আমার অফিসের বাইরের দৃশ্যের চিত্র তুলে ধরলাম আপনাদের সাথে।