বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
লোকের মুখে সোনা, কাল্পনিক একটা গল্প বলব
আর সেই গল্পের নামটা হচ্ছে (মাঝে মাঝে অলৌকিক কিছু ঘটে)
(Source)[https://images.app.goo.gl/rSWqjgLEDkAYHjFq9]
একদা একগ্রামে একজন হকার বাস করতো। সে নিকটস্থ বাজারে জিনিসপত্র বিক্রয় করতো। প্রতিদিন সে বাড়ি ফিরে আসতো। সে তার সামান্য আয় দিয়ে অনেক কষ্টে পরিবারের ভরণপোষণ করতো। তার বাড়ির পথে ছিল একটি বটগাছ। একদিন যথারীতি সে বাজার থেকে বাড়ি ফিরছিল। হঠাৎ সে বটগাছটি থেকে ভেসে আসা একটি অদ্ভুত শব্দ শুনতে পেল। সে থামল এবং শব্দের উৎস খুঁজতে শুরু করল। সে বটগাছটির মধ্য থেকে আসা ধোঁয়া দেখতে পেল। আকস্মিকভাবে ধোঁয়াটি একটি দৈত্যে রূপ নিল।
Source
একটা অদ্ভুত শব্দ করে দৈত্যটি তার সামনে হাজির হলো। হকারটি ভয়ে কাঁপতে লাগল এবং তার মূর্ছা যাওয়ার দশা হলো। দৈত্যটি তাকে নিশ্চিত করল যে, সে কোনো দুষ্ট দৈত্য নয়। সে কখনো কারো কোনো ক্ষতি করেনি। বরং সে তাকে সাহায্য করতে চায়। সে হকারকে বলল যে, সে তার কাছ থেকে যেকোনো কিছু চাইতে পারে। নিশ্চয়তা পেয়ে হকারটি স্বচ্ছল হতে চাইল। সে আরও বলল যে, সে তার স্ত্রীর জন্য একজোড়া কানের দুল চায়। কারণ তার স্ত্রী একজোড়া কানের দুলের আবদার করেছিল। কিন্তু সে দারিদ্রের কারণে তার স্ত্রীর আবদার রাখতে পারেনি। দৈত্যটি অলৌকিকভাবে তাকে একজোড়া কানের দুল এবং স্বর্ণমুদ্রাপূর্ণ একটি থলে দিল। স্বর্ণমুদ্রা ও একজোড়া দুল পেয়ে হকারটি খুব খুশি হলো। সে বাড়ি গেল।
Source
তার স্ত্রী প্রচুর ধনসম্পদ পাওয়ার সত্য ঘটনাটি জানতে পারল। তাদের আনন্দের সীমা রইল না। হকারটি ব্যবসা শুরু করল এবং শীঘ্রই খুব ধনী ব্যক্তিতে পরিণত হলো। গ্রামের সকলে ভাবল যে, সে ব্যবসা করে বড়লোক হয়েছে।
Source
কিন্তু হকার এবং তার স্ত্রী আসল ঘটনাটি জানতো। সে বটগাছের দৈত্যটির কাছে পুনরায় গিয়ে চিরকৃতজ্ঞতার সাথে তাকে ধন্যবাদ জান