কেন খাবেন শশা? জেনে নিন ১৭টি উপকারিতা।

in instablurt •  3 years ago 

ASSALAMUALIKUM OA
ROHMATULL

Hello..!!
My Dear Blurt,
I am @ahik777 from Bangladesh
April 2 / 4 / 2022

আসসালামু আলাইকুম আসা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন আল্লাহর রহমতে আমিও ভালো আছি। আজ আপনাদের মাঝে শেয়ার করবো কেন খাবেন শশা? জেনে নিন ১৭টি উপকারিতা।

food-6-768x481.jpg

source

কেন খাবেন শশা? জেনে নিন ১৭টি উপকারিতা।

শশা শরীর সুস্থ রাখতে খুব উপকারী ও দরকারী একটি নাম। শশার উপকারিতা অনেক। বেশির ভাগ রোগের ক্ষেত্রেই রোগীরা শশা খেতে পারেন, তার কারণ শশার খাদ্য ও পুষ্টিগুণ। শুধু রূপচর্চায় নয়, শরীরকে ভেতর থেকে ঠিক রাখতে শশা নিয়মিত খাওয়া দরকার।

নিয়মিত খাওয়া দরকার।

শশায় ভিটামিন বি, থিয়ামিন (বি১), রাইবোফ্লাবিন (বি২), নিয়াসিন (বি৪), প্যানটোথেনিক, বি৫, বি৬, ফোলেট (বি৯), ভিটামিন সি, ভিটামিন কে, গ্লুকোজ, স্নেহপদার্থ, ফাইবার, প্রোটিন, বিভিন্ন ধরনের খনিজ পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, ম্যাগনেশিয়াম, লোহা, সোডিয়াম, দস্তা, ক্যালোরি, সব থেকে বেশি থাকে জলীয় পদার্থ।

কেন খাবেন শশা?
১। জল শূন্যতায়
শরীরে জলের চাহিদা মেটাতে শশা খুবই উপকারী। একটি শশায় প্রায় ৯৫ শতাংশ জল থাকে। দুর্বলতা কাটিয়ে দ্রুত সতেজ করে তোলে।

২। ভিটামিনের চাহিদায়
প্রতিদিন শরীরে যে সমস্ত ভিটামিনের প্রয়োজন বেশির ভাগই শশায় আছে। ভিটামিন এ, বি ও সি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

৩। ডায়াবেটিস প্রতিরোধে
শশা ডায়াবেটিস বা সুগারের সমস্যা প্রতিরোধ করে। শশায় থাকা বিশেষ উপাদান রক্তের কোলেস্টরলের মাত্রা কমাতে পারে।

৪। কিডনির পাথর
শশার জলীয় অংশ দেহের বর্জ্য ও দূষিত পদার্থ বের করতে দারুণ কাজ করে। নিয়মিত শশা খেলে কিডনিতে সৃষ্ট পাথর গলে যেতে সহায়তা হয়। ইউরিনারি, ব্লাডার, লিভার ও প্যানক্রিয়াসের সমস্যার সমাধানে বেশ সাহায্য করে শশা।

৫। কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে
১০০ গ্রাম শশার রস খালি পেটে রোজ সকালে খালি পেটে খেলে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে আসে। সকালের খাবার ১৫ থেকে ২০ মিনিট আগে খেতে হবে। মাসখানেক এই ভাবে খেলে উপকার পাবেন।

৬। স্মৃতিশক্তিতে
শশার রস নিয়মিত খাওয়ার ফলে মস্তিস্কে ও ধমনীতে জমে থাকা প্রচুর এলডিএল হ্রাস করে। ফলে স্মৃতিশক্তিও বৃদ্ধি পায়।

৭। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে
শশায় আছে প্রচুর ভিটামিন সি, ম্যাগনিসিয়াম, সিলিকা, পটাসিয়াম ও আঁশপদার্থ। এগুলি শরীরের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। শশার উপাদান উচ্চ এবং নিম্ন রক্তচাপ দু’ই নিয়ন্ত্রণ করে। হার্ট ও ফুসফুসের সমস্যায় উপকার করে।

৮। ওজন হ্রাসে
এতে উচ্চমাত্রায় জল থাকে। নিম্নমাত্রায় ক্যালরি থাকে। ফলে দেহের ওজন কমাতে আদর্শ এটি।

৯। হজমে
কাঁচা শশা চিবিয়ে খেলে ভালো হজম হয়। এরেপসিন নামক অ্যানজাইমের জন্য দীর্ঘমেয়াদি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়। আলসার, গ্যাস্ট্রাইটিস, অ্যাসিডিটির ক্ষেত্রেও উপকারী।

১০। গেঁটেবাত
প্রচুর পরিমাণে সিলিকা থাকে এতে। গাজরের রসের সঙ্গে শশা রস মিশিয়ে খেলে দেহের ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা কমে। গেঁটেবাতের ব্যথা কমে। আর্থ্রাইটিসের ব্যথাও উপশম করে।

১১। মাথাব্যথায়
সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর যে মাথাব্যথা হয়, শরীরে অবসাদ আসে তা শশার উপাদান সমূহ যেমন – ভিটামিন বি ও সুগার এ সব দূর করে। ঘুমাতে যাওয়ার আগে কয়েক টুকরো শশা খেলে ঘুম থেকে ওঠার পরের এই সমস্যা দূর হয়।

১২। ক্যানসারে
শশায় বিশেষ তিনটি আয়ুর্বেদিক উপাদান থাকে। এটি জরায়ু, স্তন ও মূত্রগ্রন্থিসহ বিভিন্ন স্থানে ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়।

১৩। চোখের যত্নে
শশা গোল করে কেটে চোখের পাতার ওপর রাখলে চোখের পাতায় জমে থাকা ময়লা অপসারিত হয়, তেমনি চোখের জ্যোতি বাড়ায়। এমনকি চোখের প্রদাহ প্রতিরোধক উপাদানও তাহকে এতে। ছানি পড়া আটকায়।

১৪। চুল ও নখের জন্য
শশায় থাকা খনিজ চুল ও নখকে সতেজ ও শক্তিশালী করে। এ ছাড়া সালফার ও সিলিকা চুল বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।

১৫। মুখের গন্ধ
শশা দেহের বর্জ্য ও দূষিত পদার্থ, টক্সিন দূর করে। নিয়মিত খেলে দুর্গন্ধ, সংক্রমণ, আক্রান্ত মাড়ির চিকিৎসা করে। গোল করে কেটে এক টুকরো শশা জিভের ওপরে তালুতে চাপ দিয়ে আধ মিনিট রাখলে তা বিশেষ বিক্রিয়া ঘটিয়ে মুখের জীবাণু ধ্বংস করে। নিঃশ্বাসের দুর্গন্ধ, দাঁত ও মাড়ির সমস্যা দূর করে।

১৬। দেহকলায়
সূর্যের তাপে ত্বকে জ্বালা অনুভব হলে ত্বকে শশা মাখলে ভালো ফল হয়। এতে উপস্থিত সিলিকা কার্টিলেজ, লিগামেন্টের কানেকটিভ টিস্যু গড়ে ওঠে এবং দেহকলাকে শক্তিশালী ও মজবুত করে।

১৭। রূপচর্চায়
স্বাস্থ্য রক্ষার সঙ্গে ত্বক এবং চুলের জন্যও সমানভাবে উপকারী। অ্যাগজিমা সারাতে ও আটকাতেও বিশেষ উপকারী শশা।

Thanks for reading my post.
@ahik777

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE BLURT!