About the benefits and nutritional value of hilsa fish.

in blurthealth •  3 years ago 

ASSALAMU ALIKUM OA ROHMATULLA.
I am @ranna001 from Bangladesh

আসসালামু আলাইকুম আসা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আল্লাহর রহমতে আমিও ভালো আছি। আপনাদের মাঝে শেয়ার করবো ইলিশ মাছের উপকারিতা এবং পুষ্টিগুণ সম্পর্কে চলুন সুরু করা যাক।

Elish-fish-20200131214027.jpg
source

ইলিশ মাছের উপকারিতা এবং পুষ্টিগুণ সম্পর্কে।

ইলিশ মাছ বাঙ্গালীদের কাছে একটি জনপ্রিয় মাছ। ইলিশ মাছের নাম শুনলে জিভে জল আসে না এমন বাঙালি নেই বললেই চলে। ইলিশ শুধু আমাদের জাতীয় গৌরবের প্রতীক নয় অর্থনীতির সহায়ক শক্তিও বটে। এই মাছ যেমন সুস্বাদু, তেমনি পুষ্টিগুণে ভরপুর। ১০০ গ্রাম ইলিশে প্রায় ২১ দশমিক ৮ গ্রাম প্রোটিনের পাশাপাশি রয়েছে উচ্চ পরিমাণ ওমেগা তিন ফ্যাটি এসিড, নায়সিন, ট্রিপ্টোফ্যান, ভিটামিন, বি ১২, সোডিয়াম, ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনে সিয়ামসহ অন্যান্য ভিটামিন ও মিনারেলস। সর্ষে ইলিশ, ভাপা, ইলিশ পাতুরি, দই ইলিশ, ইলিশের টক, ভাজা, ইলিশের ডিম আর কত কী যে বাঙালি ইলিশ দিয়ে রাঁধতে পারে তার তালিকা শেষ হবে না। সম্মানিত পাঠক জেনে নিন ইলিশ মাছের উপকারিতা এবং পুষ্টিগুণ সম্পর্কে-

(১). হার্টের জন্য ভালো: ইলিশ মাছে প্রচুর পরিমাণ ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড থাকায় রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কম থাকে। সামুদ্রিক মাছ হিসেবে ইলিশে সম্পৃক্ত চর্বি কম থাকে। ফলে হার্ট থাকে সুস্থ।

(২). রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়: ইলিশ মাছ রক্তনালির স্বাস্থ্য রক্ষায় ভালো। এতে EPA ও DHA নামক ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে। তাই ইলিশ মাছ খেলে শরীরে রক্ত সঞ্চালন ভাল হয়। থ্রম্বসিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমে।

(৩). ত্বকের যত্নে: ত্বকের সৌন্দর্য রক্ষায় ও রোদ থেকে ত্বকের ক্ষতি হওয়া প্রতিরোধে ইলিশ মাছের ওমেগা ৩ ফ্যাট সাহায্য করে। তাছাড়া ইলিশ মাছে থাকা প্রোটিন কোলাজেনের অন্যতম উপাদান। এই কোলাজেন ত্বক টাইট ও নমনীয় রাকতে সাহায্য করে।

(৪). চোখ ভাল রাখে: ইলিশের ভিটামিন এ এবং ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড চোখের সুস্থতা রক্ষায় সাহায্য করে। ইলিশ মাছ খেলে চোখের স্বাস্থ্য ভাল থাকে, চোখ উজ্জ্বল হয়। বয়সকালে দৃষ্টিশক্তি ক্ষীণ হয়ে আসার মোকাবিলা করতে পারে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড।

(৫). খনিজ উপাদানে ভরপুর: ইলিশ মাছে রয়েছে আয়ডিন, সেলেনিয়াম, জিঙ্ক, পটাশিয়াম। থায়রয়েড গ্ল্যান্ড সুস্থ রাখে আয়ডিন, সেলেনিয়াম উত্‌সেচক ক্ষরণে সাহায্য করে যা ক্যানসারের মোকাবিলা করতে পারে। এ ছাড়াও ইলিশে থাকা খনিজ, বিশেষ করে ফসফরাস দাঁত এবং ক্যালসিয়াম হাড়ের পুষ্টির জন্য একান্ত অপরিহার্য। সোডিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম ও লৌহ স্বাভাবিক শরীর বৃদ্ধি এবং মানসিক বিকাশের জন্য খুবই প্রয়োজনীয় উপাদান।

(৬) ভিটামিন এ, ডি এবং ই: ইলিশ মাছে রয়েছে ভিটামিন এ, ডি এবং ই৷ বিশেষ করে ভিটামিন ডি কিন্ত্ত খুব কম খাবারেই পাওয়া যায়৷ অস্টিওপোরোসিসের জন্যও ইলিশ মাছ খুব ভালো৷ ভিটামিন এ রাতকানা রোগ প্রতিরোধ করে এবং ডি শিশুদের রিকেট রোগ থেকে রক্ষা করে। ইলিশ মাছে আরজিনিন থাকায় তা ডিপ্রেশনের জন্যও খুব ভালো৷

তাছাড়া ইলিশ মাছে থাকা খনিজ উপাদান শিশুর স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী। শ্বাসনালি ও থাইরয়েড গ্রন্থির সুরক্ষায় এই পুষ্টি উপাদান কাজ করে। এবং এতে থাকা ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড অবসাদের মোকাবিলা করতে পারে। আলসার, কোলাইটিসের হাত থেকেও রক্ষা করে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যসিড।

সতর্কতা: ইলিশ মাছ খেলে কারো শরীরে অ্যালার্জি বা গ্যাসের উদ্রেক হতে পারে। সেক্ষেত্রে আগে বুঝতে হবে আপনার শরীরে ইলিশ মাছের বিরূপ প্রভাব আছে কিনা, থাকলে এড়িয়ে চলাই ভাল। মনে রাখবেন উচ্চ রক্তচাপ বা সুগারের রোগীদের জন্য ইলিশ মাছ ক্ষতিকর নয়।

Cc.
@jacobgadikian
@upvu
@zahidsun
@mmmmkkkk311
@megadrive
@blurtmob
@saboin

Thanks for reading my post.
@ranna001

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE BLURT!