ASSALAMU ALIKUM OA ROHMATULLA.
I am @ranna001 from Bangladesh
আসসালামু আলাইকুম আসা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আল্লাহর রহমতে আমিও ভালো আছি। আজ আপনাদের মাঝে শেয়ার করবো লিচু খাওয়ার স্বাস্থ্য উপকারিতা-পুষ্টিগুণ।
লিচু খাওয়ার স্বাস্থ্য উপকারিতা-পুষ্টিগুণ।
লিচুর মৌসুম! গাছে গাছে পাকতে শুরু করেছে লিচু। সেইসঙ্গে বাজারেও উঠেছে লিচু। গ্রীষ্মের এই রসালো ফল খুব কম সময়ের জন্য আসে। স্বাদ ও গন্ধের জন্য লিচু অনেকের কাছেই প্রিয়। শুধু স্বাদই নয়, পুষ্টিগুণেও ভরপুর এই ফল। নানা অসুখ থেকে দূরে রাখে লিচু। চলুন জেনে নেওয়া যাক লিচুর উপকারিতাগুলো—
হজমের জন্য ভালো
লিচু হজমের জন্য ভালো। লিচুতে ফাইবার ও প্রচুর পানি থাকে; যা হজমের জন্য দারুণ কাজ করে। গরমে পেটের সমস্যা থেকে মুক্তি দিয়ে পেটকে স্বস্তিতে রাখে।
হাড় ভালো রাখে
লিচুতে থাকে ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, আয়রন, ম্যাঙ্গানিজ এবং কপার। যা হাড়ের ক্যালসিয়াম শোষণে সাহায্য করে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, লিচু খেলে হাড়ের ভঙ্গুরতা কমে। সঙ্গে হ্রাস পায় অস্টিওপোরোসিস ও ফ্র্যাকচারের সম্ভাবনা। তাই হাড় ভালো রাখতে খেতে পারেন সুমিষ্ট এই ফল।
কিডনির জন্য উপকারী
কিডনি ভালো রাখতে খাবারের দিকে নজর রাখা জরুরি। লিচুতে পর্যাপ্ত পানি এবং পটাসিয়াম থাকায়, কিডনিতে জমে থাকা দূষিত পদার্থ বের করে দিতে সাহায্য করে। এই ফল ইউরিক অ্যাসিডের ঘনত্বও কমায়। যে কারণে কমে কিডনির ক্ষতির ঝুঁকি।
ভিটামিন বি সমৃদ্ধ
লিচুতে পাওয়া যায় ভিটামিন সি, কে, ই এবং বি৬। এতে আছে রাইবোফ্লাভিন এবং নিয়াসিন। গ্রীষ্মে নিয়মিত লিচু খেলে প্রতিদিনের প্রয়োজনীয় ভিটামিন বি৬ এর দশ শতাংশ পাওয়া যায়। এ ভিটামিন শরীরে লোহিত রক্তকণিকা তৈরি করে। সঙ্গে রক্ষা করে প্রদাহজনিত রোগ থেকে।
ব্যথা দূর করে
শরীরের বিভিন্ন ধরনের ব্যথা দূর করতে কাজ করে লিচু। শুনতে অবাক হলেও এটি সত্যি। লিচু একটি কার্যকরী ব্যথানাশক হিসেবে কাজ করে। এটি খেলে কমে প্রদাহ। সেইসঙ্গে এটি টিস্যুর ক্ষতি প্রতিরোধ করে।
ওজন কমাতে সাহায্য করে
যারা ওজন কমাতে চান তাদের জন্য কার্যকরী একটি খাবার লিচু। এতে ক্যালোরি থাকে খুব কম। ফলে ওজন বাড়ার ভয় থাকে না। আঁশযুক্ত হওয়ায় লিচু খেলে তা দীর্ঘ সময় পেট ভরিয়ে রাখে। নিয়মিত লিচু খেলে হজমশক্তি উন্নত হয়।
হার্ট ভালো রাখে
হার্ট ভালো রাখাতে সহায়ক লিচু। এতে অলিগোনল থাকে; যা নাইট্রিক অক্সাইড তৈরিতে সাহায্য করে। আমাদের শরীরে রক্ত চলাচলে সাহায্য করে এই নাইট্রিক অক্সাইড। এতে থাকা ফ্ল্যাভোনয়েড ভাসকুলার ফাংশন উন্নত করে। ফলে হৃদরোগ প্রতিরোধ করা সহজ হয়। গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত লিচু খেলে হার্টের অসুখের ঝুঁকি কমে প্রায় পঞ্চাশ শতাংশ।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কাজ করে লিচু। এর অলিগোনল ভাইরাসকে বাড়তে বাধা দেয়। তাই গরমের এই সময়ে নিয়মিত লিচু খেলে বাঁচতে পারবেন সর্দি ও সাধারণ ফ্লু থেকে।
Thanks for reading my post.
@ranna001