ত্যাগের মহিমায় আবার এসেছে ঈদ উল আজহা। এই ঈদের মাহাত্ম কোরবানিতে। অর্থাৎ পশু কোরবানির মাধ্যমে। কোরবানি সহিহ করতে মাংস বন্টন ও বেশ কিছু নিয়ম জানা জরুরি। বিষয়গুলো হাদিস শরীফের আলোকে তুলে ধারা হয়েছে।
১. শরীকে কোরবানি করলে ওজন করে গোশত বণ্টন করতে হবে। অনুমান করে ভাগ করা উচিত নয়।
২. কোরবানি গোশতের এক তৃতীয়াংশ গরীব-মিসকীনকে এবং এক তৃতীয়াংশ আত্মীয়-স্বজন ও পাড়া-প্রতিবেশীকে দেওয়া উত্তম। অবশ্য পুরো গোশত যদি নিজে রেখে দেয় তাতেও কোনো অসুবিধা নেই।
৩. কোরবানির গোশত, চর্বি ইত্যাদি বিক্রি করা জায়েয নয়। বিক্রি করলে পূর্ণ মূল্য সদকা করে দিতে হবে।
৪. কোরবানির গোশত হিন্দু ও অন্য ধর্মাবলম্বীকে দেওয়া জায়েয।
৫. জবাইকারী, কসাই বা কাজে সহযোগিতাকারীকে চামড়া, গোশত বা কোরবানির পশুর কোনো কিছু পারিশ্রমিক হিসেবে দেওয়া জায়েয হবে না। অবশ্য পূর্ণ পারিশ্রমিক দেওয়ার পর পূর্বচুক্তি ছাড়া হাদিয়া হিসাবে গোশত বা তরকারি দেওয়া যাবে।
৬. কোরবানির চামড়া কুরবানিদাতা নিজেও ব্যবহার করতে পারবে। তবে কেউ যদি নিজে ব্যবহার না করে বিক্রি করে তবে বিক্রিলব্ধ মূল্য পুরোটা সদকা করা জরুরি।
৭. কোরবানির পশুর চামড়া বিক্রি করলে মূল্য সদকা করে দেওয়ার নিয়তে বিক্রি করবে। সদকার নিয়ত না করে নিজের খরচের নিয়ত করা নাজায়েয ও গুনাহ। নিয়ত যা-ই হোক বিক্রিলব্ধ অর্থ পুরোটাই সদকা করে দেওয়া জরুরি।
৮. এক কোরবানির পশুতে আকীকা, হজ্বের কুরবানীর নিয়ত করা যাবে। এতে প্রত্যেকের নিয়তকৃত ইবাদত আদায় হয়ে যাবে।
৯. ঈদুল আজহার দিন সর্বপ্রথম নিজ কোরবানির গোশত দিয়ে খানা শুরু করা সুন্নত। অর্থাৎ সকাল থেকে কিছু না খেয়ে প্রথমে কোরবানির গোশত খাওয়া সুন্নত। এই সুন্নত শুধু ১০ যিলহজ্বের জন্য।
১০. কোরবানির মৌসুমে অনেক মহাজন কোরবানির হাড় ক্রয় করে থাকে। টোকাইরা বাড়ি বাড়ি থেকে হাড় সংগ্রহ করে তাদের কাছে বিক্রি করে। এদের ক্রয়-বিক্রয় জায়েয। এতে কোনো অসুবিধা নেই। কিন্তু কোনো কোরবানিদাতার জন্য নিজ কুরবানির কোনো কিছু এমনকি হাড়ও বিক্রি করা জায়েয হবে না। করলে মূল্য সদকা করে দিতে হবে। আর জেনে শুনে মহাজনদের জন্য এদের কাছ থেকে ক্রয় করাও বৈধ হবে না।
১১. কোরবানির পশুর কোনো কিছু পারিশ্রমিক হিসাবে দেওয়া জায়েয নয়। গোশতও পারিশ্রমিক হিসেবে কাজের লোককে দেওয়া যাবে না। অবশ্য এ সময় ঘরের অন্যান্য সদস্যদের মতো কাজের লোকদেরকেও গোশত খাওয়ানো যাবে।
১২. কোরবানির পশু জবাই করে পারিশ্রমিক দেওয়া-নেওয়া জায়েয। তবে কোরবানির পশুর কোনো কিছু পারিশ্রমিক হিসাবে দেওয়া যাবে না।
১৩. কোনো কোনো এলাকায় দরিদ্রদের মাঝে মোরগ কোরবানির করার প্রচলন আছে। এটি না জায়েয। কুরবানির দিনে মোরগ জবাই করা নিষেধ নয়, তবে কুরবানীর নিয়তে করা যাবে না।
১৪. কোরবানির পশুর চামড়ার মালিক কুরবানিদাতা। সে ইচ্ছা করলে তা ব্যবহারও করতে পারে। সে যদি চামড়াটি দান করে দিতে চায় তবে বিক্রি না করে আস্ত দান করাই উত্তম। বিক্রি করলে এর মূল্যের হকদার হয়ে যায় ফকির-মিসকিন তথা যাকাত গ্রহণের উপযুক্ত লোকজন। আর এদের মধ্যে আত্মীয়-স্বজনও দ্বীনদারগণ অগ্রাধিকারযোগ্য।
Translation:
Eid-ul-Azha has come again in the glory of sacrifice. In this Eid Mahatma Korbani. That is, through animal sacrifice. It is important to know the distribution of meat and some rules to sign the sacrifice. The issues have been raised in the light of Hadith Sharif.
- If the body is sacrificed, the meat must be distributed by weight. Shares should not be shared.
It is better to give one third of the sacrificial meat to the poor and one third to the relatives and neighbors. Of course, there is no problem in keeping the whole meat.
It is not permissible to sell sacrificial meat, fat, etc. If sold, the full price should be given in charity.
It is permissible to give the meat of the sacrifice to Hindus and followers of other religions.
It will not be permissible to pay the slaughterer, butcher or co-worker as remuneration for any skin, meat or sacrificial animal. However, after paying the full fee, meat or curry can be given as a gift without prior agreement.
The sacrificial skin can be used by the sacrificer himself. However, if someone sells without using it himself, then it is necessary to give the entire sale price in charity.
7 . If you sell the skin of the sacrificial animal, you will sell it with the intention of giving it as a charity. It is not permissible and sinful to intend one's own expenses without the intention of charity. It is important to donate all the money sold, whatever it may be.
Akika, the intention of the Hajj sacrifice can be made in one sacrificial animal. In this, the intended worship of everyone will be realized.
On the day of Eid-ul-Azha, it is sunnat to start eating with the meat of one's sacrifice first. That is, it is sunnat to eat the meat of the sacrifice first without eating anything since morning. This circumcision is only for 10 Zilhaj.
Many moneylenders buy sacrificial bones during the sacrificial season. Tokaira collect bones from house to house and sell them to them. It is permissible to buy and sell them. There is no problem in this. But it would not be permissible for a sacrificer to sell anything, even bones, of his sacrifice. If you do, you have to give the price in charity. And it will not be legal for moneylenders to buy from them knowingly.
It is not permissible to give any of the sacrificial animals as a fee. Meat also cannot be given to the working man as remuneration. Of course, at this time, like other members of the household, the working people can also be fed meat.
It is permissible to pay a fee for slaughtering a sacrificial animal. However, nothing of the sacrificial animal can be paid as a fee.
In some areas there is a practice of sacrificing roosters among the poor. This is not permissible. It is not forbidden to slaughter a rooster on the day of sacrifice, but it cannot be done for the purpose of sacrifice.
The owner of the sacrificial animal skin is the sacrificer. He can use it if he wants. If he wants to donate the skin, it is better to donate it whole without selling it. If it is sold, the fakir-miskin, that is, the people who are suitable for receiving zakat, become entitled to its value. And among them, relatives are also given priority.