🆗স্ক্রীনিং🆗 Ceramic materials screening

🆗স্ক্রীনিং🆗

💺সূচনা (Introduction):💺
পাথর জাতীয় কাঁচামালগুলো দ্রব্যে ব্যবহার উপযোগী করার জন্য ক্রাশিং ও গ্রাইন্ডিং করা হয়। ক্রাসিং ও গ্রাইন্ডিং প্রক্রিয়ার ফলে ম্যাটেরিয়ালগুলো বিভিন্ন সাইজে পরিণত হয়। এ অবস্থায় ম্যাটেরিয়ালগুলো পুরাপুরিভাবে দ্রব্যে ব্যবহার উপযোগী হয় না। এদের পুনরায় ফাইন গ্রাইন্ডিং করা হয়। এসব ম্যাটেরিয়ালগুলো ক্রাসিং থেকে শুরু করে ফাইন গ্রাইভিং পর্যন্ত বিভিন্ন পর্যায়ে বিভিন্ন ধরনের মেশিনারী ব্যবহৃত হয়ে থাকে। এ সব মেশিনে যে কোন সাইজের ফিড ব্যবহার করা যায় না। প্রতিটি মেশিনের জন্য সর্বোচ্চ সাইজের একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ থাকে। কোন অবস্থায়ই ম্যাটেরিয়ালের সাইজ নির্দিষ্ট পরিমাপের চেয়ে বড় হওয়া উচিত নয়। কাজেই নির্দিষ্ট সাইজের ম্যাটেরিয়ালগুলোকে ক্রাশিং ও গ্রাইভিং করার পর এমন কোন মাধ্যমের মধ্য দিয়ে চালনা করা হয় যাতে কাঁচামালগুলো একটি নির্দিষ্ট মাধ্যম অতিক্রম করে যায়। এ মাধ্যমের মধ্য দিয়ে যে ম্যাটেরিয়ালগুলো চলে যেতে পারে তারা আন্ডার সাইজ, আর যেগুলো চলে যেতে না পারে তারা ওভার সাইজ ম্যাটেরিয়াল নামে পরিচিত। এই মাধ্যমটিকেই বলা হয় স্ক্রীন। ওভার সাইজ ম্যাটেরিয়ালকে পুনরায় আকারে ছোট করার জন্য আবার মেশিনে ফেরত পাঠানো হয়। এভাবে ম্যাটেরিয়ালের সাইজ ছোট করার জন্য ব্যবহৃত প্রতিটি মেশিন থেকে প্রাপ্ত কাঁচামালকে স্ক্রীনের মধ্যদিয়ে চালনা করা হয়। অর্থাৎ ম্যাটেয়িালের সাইজ পৃথকীকরণে স্ক্রীনের প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য। এ গেল শুধু মাত্র হার্ড ম্যাটেরিয়ালের কথা। তাছাড়া যে কোন দ্রব্যাদি তৈরি করার জন্য এর উপাদানগুলোকে নির্দিষ্ট সাইজে আনতে হয়। সব দ্রব্যের জন্য উপাদানের সাইজ এক রকম হয় না। দ্রব্য ভেদে এদের সাইজের তারতম্য হয়ে থাকে। দ্রব্যের উপাদান যথাযথভাবে মিশ্রিত করে ফিস্ট্রেশন করার পূর্বেই এদের স্ক্রীনিং করা হয়। আবার প্লেজ গ্রাইন্ডিং করে দ্রব্যে ব্যবহার করার পূর্বেও স্ক্রীনিং করতে হয়। উপরের আলোচনা থেকে এ কথা বলা যায়, মান সম্পন্ন দ্রব্য তৈরি করণে ম্যাটেরিয়াল স্ক্রীনিং করা খুবই জরুরি।

💺স্ক্রীন (Screen):💺
“স্ক্রীন” ইংরেজি শব্দ। এর আভিধানিক অর্থ চালুনী। ইহা এমন একটি ইকুইপমেন্ট যা দিয়ে পদার্থের বিভিন্ন ধরনের পার্টিক্যাল সাইজ অনুযায়ী আলাদা আলাদাভাবে গ্রেডিং করা হয়ে থকে। এর দ্বারা অতি অল্প সময়ে অধিক পরিমাণ ম্যাটেরিয়াল উহাদের পার্টিক্যাল সাইজ অনুযায়ী আলাদা করা যায়। আবার কোন কোন ক্ষেত্রে ম্যাটেরিয়ালের মধ্যস্থ অপদ্রব্য দূর করার জন্যও ইহা ব্যবহৃত হয়ে থাকে। সিরামিক শিল্পে ইহা একটি জরুরী ইকুইপমেন্ট। কারণ দ্রব্য তৈরি করার জন্য যে সব উপাদান ব্যবহার করা হয় এদের কনিকার সাইজ একটি নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে রাখা আবশ্যক। বিশেষ করে হার্ড ম্যাটেরিয়ালের কনিকাগুলো।

💺স্ক্রীন নির্বাচন (Screen selection)💺
কঠিন পদার্থকে আকারে ছোট বা ক্রাশিং ও গ্রাইন্ডিং করার জন্য যে সব মেশিন নির্বাচন করা হয় ইহা মূলত ম্যাটেরিয়ালের সাইজ, এর হার্ডনেস্ ও উৎপন্ন দ্রব্যের আকৃতি বিচার বিশ্লেষণ করে নির্ধারণ করা হয়। আগেকার দিনে স্ক্রীনের প্রতি ইঞ্চিতে ছিদ্রের সংখ্যা দ্বারাই ইহার ম্যাস নির্ধারণ করা হত। এক্ষেত্রে ম্যাটেরিয়ালগুলাকে বিভিন্ন ম্যাসের এক সিরিজ স্ক্রীনের মধ্য দিয়ে অতিক্রম করানো হয়। বিভিন্ন স্ক্রীনের উপর যে পরিমাণ পদার্থ সঞ্চিত হয় তা নমুনার মোট ওজনের কত অংশ এবং কোন স্ক্রীনে কি পরিমাণ সঞ্চিত হয় তার শতকরা হার প্রকাশ করা হয়। উদাহরণ স্বরূপ ধরা যাক সিরিজে সাজানো স্ক্রীনগুলো হল ১০ ম্যাস, ২০ ম্যাস, ৩০ ম্যাস ও ৪০ ম্যাসের। এক্ষেত্রে নির্দিষ্ট নমুনা ১০ ম্যাসের স্ক্রীনের দেওয়া হয়। এর পর স্ক্রীনগুলো নাড়ানো হলে নমুনার সাইজ অনুযায়ী প্রত্যেকটি চালুনীতে কিছু না কিছু অংশ সঞ্চিত হয়। তার পর প্রতিটি চালুনীতে সঞ্চিত ম্যাটেরিয়াল, মোট নমুনার কত অংশ তা শতকরা হারে প্রকাশ করা হয়। এভাবে প্রাপ্ত তথ্য থেকে মোট ম্যাটেরিয়ালের সাইজ সম্পর্কে ধারণা নিয়ে স্ক্রীনের মাস নির্বাচন করা হয়।

বাস্তবিক পক্ষে শুধু মাত্র ম্যাস সংখ্যা দ্বারা স্ক্রীনকে সঠিকভাবে নির্বাচন করা সম্ভব নয়। যতক্ষণ না পর্যন্ত স্ক্রীনের তারের ব্যাস সম্পর্কে অবহিত না হওয়া যায়। কোন স্ক্রীনের তারের ব্যাস এবং ছিদ্রের ব্যাস সঠিকভাবে চিহ্নিত না হলে শুধুমাত্র ম্যাস সংখ্যা দ্বারা এর সম্পর্কে সঠিক ধারণা লাভ করা যায় না। এর কারণ হল যে, কোন স্ক্রীনের প্রতি ইঞ্চিতে নির্দিষ্ট সংখ্যক ম্যাসের স্ক্রীন বিভিন্ন ব্যাস সম্পন্ন তার দিয়ে তৈরি হয়ে থাকে। তারের ব্যাস ভিন্ন হওয়ার কারণে স্ক্রীনের ছিদ্রের পরিমাপ ও বিভিন্ন হয়ে থাকে। যা নিচের ছকে দেখান হল।

My.NOT.3rd.Sub-ce_body_pe.P_74