১) পর্ন একটা মুভি মাত্র। এখানে অভিনয়-ই হচ্ছে। ১০ মিনিটের একটা ভিডিও ১০ দিন শ্যুট করা হয়। তারপর ইডিট করা হয়। সবকিছুই ফেইক। এক্সপ্রেশনটাও ফেইক।
২) পর্নের নারীর শরীর সম্পূর্ণ আর্টিফিশিয়াল। পুরো শরীর সার্জারি করে ফুলানো হয় বিশেষ অঙ্গগুলি। অপরদিকে বাস্তব জীবনে একজন নারী পড়াশুনা করে, চাকরি করে, সংসার করে, ছেলে-মেয়ের দেখা শুনা করে, কত হাজার দায়িত্ব পালন করে। একজন সাধারণ নারীর পক্ষে সার্জারি করে তার শরীরের অঙ্গগুলি পরিবর্তন করা সম্ভব?কখনই নাহ। তাছাড়া এটাতে হিউজ রিস্ক থাকে। ক্যান্সারের প্রবল সম্ভাবনা থাকে। তাই যখন একজন পর্ন আসক্ত দেখে তার বউয়ের শরীর পর্নের নারীর শরীরের মতো নাহ, তখন আর বউকে ভালো লাগে নাহ। পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে, পতিতালয়ে যেতেও দ্বিধাবোধ করে নাহ। অথচ সে জানেই না পর্নের নারীর শরীর সার্জারি করা ফেইক একটা বডি।
৩)যখন একজন পর্ন আসক্ত ব্যক্তি তার বউয়ের শরীর পর্নের নারীর আর্টিফিশিয়াল & সার্জিকাল শরীরের সাথে তুলনা করে, তখন ঐ নারীর মন ভেঙ্গে যায়।
৪) পর্ন ইন্ডাস্ট্রির মেয়েদের কি পরিমাণ অত্যাচার করা হয় জানেন? ওদের পিটিয়ে বাধ্য করা হয়। ভিডিও শুরুর আগে ওদের ড্রাগ ইনজেক্ট করা হয়। ওদের যোনীপথ ও পায়ুপথে কোকেইন ঢালা হয় যাতে কোন ব্যথা না পায়। ওদের জরায়ু কিডনি পর্যন্ত নষ্ট হয়ে গেছে। ক্যান্সারে মারা যায় শেষ পর্যন্ত। তাদের স্বীকার করতে বাধ্য করা হয় যে, তারা নিজের ইচ্ছায় পর্নে কাজ করছে। নাহলে তো পর্ন ইন্ডাস্ট্রির ধান্ধা বন্ধ হয়ে যাবে।
৫) অলমোস্ট সকল রেইপিস্ট স্বীকার করেছে তারা পর্ন দেখে রেইপ করার জন্য অনুপ্রাণিত হয়েছে।
৬) সিগারেট থেকে নেশার শুরু যেমন কোকেইনে গিয়ে শেষ হয়, তেমনি দীর্ঘদিন পর্ন দেখলে নরমাল পর্নে আর কাজ হয় না। আগের মতো ডোপামিন-অক্সিটোসিন ক্ষরণ হয় নাহ। তখন আরো কড়া ডোজ দরকার হয়। এক্সট্রিম ইনোভেটিভ পর্ণ দরকার হয়। ঐ কড়া ডোজের জন্য রেইপ পর্ন, শিশু পর্ন দেখতে শুরু করে।
৭)পর্ন আসক্ত ব্যক্তির সেল্ফ কনফিডেন্স থাকেনা।
৮)একজন ড্রাগ এডিক্ট এর মস্তিষ্ক এবং একজন পর্ন এডিক্ট এর মস্তিষ্কের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই।
৯)একজন পর্ন আসক্ত পর্ন দেখার জন্য ক্লাস,স্টাডি ট্যুর, ফ্যামিলি ট্রিপ সেক্রিফাইস করতে পারে।
১০)পর্নে আমাদের পরিচিত পরিবেশ-রুম-পেশা-ড্রেসআপ ব্যবহার করা হয়। যাতে আমরা যেকোনো জায়গায় পর্নের দৃশ্য নিয়ে চিন্তা করতে থাকি।
১১)স্ট্রেসের ঠুনকো বাহানা দিয়ে একটু শান্তির জন্য পর্নের দুনিয়ায় হারিয়ে যায়। কোন কারণে মন খারাপ হলে দ্রুত মন ভালো হওয়ার জন্য পর্ন দেখে। এতে পর্ন আসক্ত ব্যক্তি তার স্বাভাবিকভাবে খুশি হওয়ার যে ক্ষমতা সেটা হারিয়ে ফেলে।
১২)পর্ন আসক্তদের স্মৃতিশক্তি লোপ তো পায়ই, বুদ্ধিমত্তাও কমে যায়। মেজাজ খিটখিটে থাকে সবসময়। সুন্দর কিছু চিন্তাও করতে পারে নাহ। ব্রেইন আর ভালো কাজে ইউজ করতে পারে নাহ। অকালে বুড়ো হয়ে যায়।
১৩)অনেকেই মনে করছেন বিয়ে করলেই সব ঠিক হয়ে যাবে। ভুল । একটু ইন্টারনেটে পর্ন এডিক্টদের সাক্ষাৎকার দেখুন। বিয়ের পরেও পর্ন এডিক্টদের উত্তেজিত হওয়ার জন্য পর্ন দেখতে হয়। কারণ তারা ঐ কৃত্তিমভাবে ফুলানো বডিটা দেখেই উত্তেজিত হয়। রক্ত মাংসের বউয়ের শরীরে আর কাজ হয় নাহ।
১৪)পর্ন-মাস্টারবেশন সম্পর্কটা চা-বিস্কুটের মতো। একটা ছাড়া আরেকটা জমে নাহ। মাস্টারবেশনে উত্তেজিত হওয়ার জন্য পর্ন দেখে। আর পর্ন দেখার পর মাস্টারবেশন করে।
১৫)যখন পর্ন দেখে মাস্টারবেশন করে তখন চেষ্টা করে কতো দ্রুত অরগাজম করে চরম সুখ পাওয়া যায়। কেও দেখে ফেলার আগে কত দ্রুত অরগাজম করা যায়। এভাবে দ্রুত অরগাজম ব্রেইনে সেট হয়ে যায়। একসময় গিয়ে দেখে সে ১ সেকেন্ডও পারফর্ম করতে পারছে না। এটাই অকালস্থলন(premature ejaculation)। এছাড়া আপনি আপনার পুরুষত্ব পর্যন্ত হারিয়ে ফেলতে পারেন।
১৬)আপনি যত বেশি পর্ন দেখছেন ততবেশি মেয়ে কিডন্যাপ হচ্ছে। হবেই তো। আপনার চাহিদা মেটাতে নতুন নতুন মেয়ে লাগবে নাহ? এক মেয়ের ভিডিও দেখে তো আপনি আর উত্তেজিত হচ্ছেন না।
১৭)রক্ত মাংসের পার্টনার থেকেও কৃত্তিম এবং সার্জিকাল আর্টিফিশিয়াল বডিই বেশি ভালো লাগে। পড়াশোনা, ক্যারিয়ার, চাকরি জীবন, সংসার জীবন, ব্যক্তিগত জীবন সব গোল্লায় যাবে।
১৮) বউকে পর্ন দেখিয়ে বাধ্য করে পর্নের নারীর মতো সেক্স করতে। পর্ন আসক্ত চিন্তা করে এভাবেই হয়তো তার বউ সুখ পাবে। হয়ে উঠে হিংস্র জানোয়ার।
১৯)যে ছেলেটা রাতে ছাত্র-শিক্ষিকা পর্ন দেখে পরেরদিন স্কুলে যায়, সে তার স্কুলের ম্যাডামের দিকে স্বাভাবিক চোখে তাকাতে পারবে?
২০)আমাদের জেনারেশনের উপর পর্ন একটা এক্সপেরিমেন্ট মাত্র। সরকার নয়, আমরাই পর্ন ব্যান করবো ইনশাআল্লাহ। যদি কেওই পর্ন না দেখে তাহলে ওদের ধান্ধা বন্ধ হয়ে যাবে।
হারিয়ে যেও না ভাই, ভালবাসা নাও।