Universe.

in r2cornell •  3 years ago 

বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।

প্রিয় বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন, আশা করি আপনারা সবাই আল্লাহর রহমতে ভাল আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে অনেক ভাল আছি।

images - 2021-12-30T120516.081.jpeg
Sorsce

মহাবিশ্বের আকার-আকৃতি বুঝতে হলে আমাদেরকে জানতে হবে ছায়াপথ কাকে বলে

পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বড় বড় মহাসড়ক আছে, যেমন লম্বা তেমন চওড়া। তাতে হাজার হাজার গাড়ি ছুটে চলে। তেমনি ভাবে বলা যায় ছায়াপথ যেন মহাশূন্যের এরকম বড় বড় সড়ক। লক্ষ লক্ষ কোটি মাইল লম্বা ও চওড়া। আর তাতে ভেসে চলেছে হাজার হাজার কোটি তারকা। আর মহাশূন্যে এরকম ছায়াপথ আছে 100 কোটি বা তারও বেশি। আর মহাবিশ্বের অসংখ্য ছায়াপথের একটি ছায়াপথ হল পৃথিবী। আর আমরা এই পৃথিবী নামক ছায়াপথে বসবাস করি। আর আমরা যে ছায়াপথে বাস করি সেই ছায়াপথের নাম হল আকাশগঙা।

আর আমাদের সবচেয়ে কাছের যে ছায়াপথ তার নাম হলো ম্যাগেলানিক ক্লাউডস। পৃথিবী থেকে তারার দূরত্ব প্রায় 2 লক্ষ আলোক বর্ষ। আর অ্যানড্রোমিডা ছায়াপথের দূরত্ব প্রায় 20 লক্ষ আলোকবর্ষ।

তাহলে এখন ভেবে দেখুন আল্লাহ তায়ালার সৃষ্টি এই মহাবিশ্ব কত বিশাল!

তারকা মানে মহাশূন্য ভাসমান আগুনের গোলা। সূর্য একটি মাঝারি ধরনের তারকা এরকম প্রায় 30 হাজার কোটি টাকা আছে আমাদের ছায়াপথে। কিন্তু পৃথিবী থেকে অনেক কাছে বলে তাই এত বড় এবং এতো উজ্জ্বল দেখা যায়। কাছে মানে 9 কোটি 30 লক্ষ তিন হাজার মাইল। আবার কোনো কোনো তারকা, সূর্য থেকে কয়েক হাজার গুন বড়, কিন্তু অনেক দূরে বলে এতো ছোট আর এতো মিটিমিটি দেখা যায়। তাই তো আমরা বুঝতে পারি না যে, তারকা, সূর্য থেকে বড়।

কোন কোন তারকার দূরত্ব 6 আলোক বর্ষ বা আট আলোকবর্ষ বা এর চেয়ে আরও অনেক বেশি দূরে।

রাতের বেলা আমরা তারকাদের মিটিমিটি আলো দেখি, কিন্তু দিনের বেলা আকাশের দিকে তাকালে আমরা সূর্যের তীব্র আলোর কারণে আমরা তারকাগুলো দেখতে পাই না।

উদাহরণস্বরূপ বলা যায় যে, অন্ধকারে জোনাকির মিটিমিটি আলো আমরা দেখতে পাই, কিন্তু রাতের আলোতে জোনাকির আলো দেখা যায় না।

এরকম হাজার কোটি তারকা নিয়ে আমাদের ছায়াপথ। এবং আরো কোটি কোটি ছায়াপথ, কত লক্ষ বছর ধরে কোথায় ছুটে চলছে আর তা কবে শেষ হবে তাদের এই ছুটে চলা তা আল্লাহ ছাড়া কেউ জানেন না।

আর সৃষ্টি জগতের বিশালতা ও তার রহস্য যখন মানুষ বুঝতে পারেনা তখন স্রষ্টার রহম্য বুঝবে কিভাবে!

আর এ কারণেই কোরআন শরীফে আল্লাহ তাআলা বারবার মানুষকে সৃষ্টি জগত সম্পর্কে চিন্তা করার আদেশ করেছেন। তাহলেই মানুষ আল্লাহর পরিচয় পাবে এবং আল্লাহর কুদরত বুঝতে পারবে। সুতরাং আল্লাহর পরিচয় লাভের জন্য এবং আল্লাহর কুদরত বোঝার জন্য সৃষ্টি জগত সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করা এবাদতের সমতুল্য।।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE BLURT!