বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।
প্রিয় বন্ধুরা আশা করি আল্লাহ তাআলা আপনাদেরকে সুস্থ রেখেছেন, আমিও আলহামদুলিল্লাহ সুস্থ আছি।
আমি আজকে আপনাদেরকে বলবো ,, তরুণদের আখলাক সম্পর্কে,,,,
আল্লাহ তাআলার হুকুমে মানুষ এই পৃথিবীতে আসে এবং নির্ধারিত সময় পর্যন্ত এখানে বসবাস করে, তারপর চির বিদায় নিয়ে চলে যায়। জন্ম ও মৃত্যুর মাধ্যমে আসা যাওয়ার মাঝেই হলো মানুষের দুনিয়ার জীবন।
কিছু মানুষ সবার মনে অপরিসীম ভক্তি ভালোবাসা এবং শ্রদ্ধা মর্যাদা লাভ করে। তাদের মৃত্যুতে শোকাহত হয়, সবার চোখে অশ্রু ঝরে। মানুষ চিরদিন শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার সাথে তাদের স্মরণ করে।
আবার কিছু মানুষ সবার ঘৃণা ও অশ্রদ্ধার পাত্র হয়। তারা যখন মরে যায় তখন মানুষ যেন স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে।
আর এর মূল ভিত্তি হলো আখলাক ও চরিত্র। মানুষ যদি উত্তম চরিত্রের অধিকারী হয় তাহলে সবাই তাকে ভালবাসে এবং শ্রদ্ধা করে। আর যদি মন্দ চরিত্রের অধিকারী হয় তাহলে সবাই তাকে অশ্রদ্ধা ও ঘৃণা করে।
জগতের বুকে সর্বোত্তম চরিত্রের অধিকারী হলেন আমাদের নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। কোরআন শরীফে আল্লাহ তাআলা বলেছেন নিঃসন্দেহে আপনি মহান চরিত্রের অধিকারী।
আমাদের নবীজি ছিলেন সত্যবাদী ও আমানত দার। তাই আমাদের মত শিশু-কিশোর ও তরুণদের সত্যবাদিতা ও আমানতদারীর মহৎ গুণ অর্জন করতে হবে।
আমাদের নবীজি ছিলেন শ্রেষ্ঠ দানশীল। তাই আমাদেরকে দানশীলতার গুণ অর্জন করতে হবে।
আমাদের নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অশিষ্টভাষী ছিলেন না। সুতরাং কথায় ও কাজে আমাদেরও যাবতীয় অশ্লীলতা পরিহার করার সাধনা করতে হবে।
আমাদের নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অনেক কষ্ট সহ্য করে, ধৈর্য ধারণ করেছেন, তাই আমাদেরকে তাই আমাদেরকে শত কষ্টের মাঝেও ধৈর্য ধারণ করার গুণ অর্জন করতে হবে।
নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে অনেক কষ্ট দিয়েছেন, কিন্তু আমাদের নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কখনো কারো মনে কষ্ট দেন নি। সুতরাং তার উম্মত হিসাবে আমাদেরও কর্তব্য হল কথায় ও কাজে, এবং আচরণে ও উচ্চারণে কোন মানুষের মনে কষ্ট না দেয়া।
মোটকথা আমরা যারা তরুণ আমাদের কর্তব্য হলো, আমাদের জীবনের প্রতিটি স্তরে নববী চরিত্র অনুসরণ করা। তাহলে আমরা দুনিয়াতে যেমন সবার প্রিয় হবো তেমনি আখেরাতে আল্লাহর কাছেও প্রিয় হবো।। ইনশাআল্লাহ।।