আসসালামুআলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ, বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন, আশা করি সবাই ভালো আছেন, আমিও আল্লাহর রহমতে অনেক ভাল আছি।
আপনাদের সামনে আমি আমার নতুন আরেকটি লেখা নিয়ে আবারো হাজির হলাম, আশা করি আমার লিখাটি পড়ে সবার ভালো লাগবে।
আমি এবার লিখব রোমান সভ্যতার ধর্ম ও দর্শন সম্পর্কে।
Sorsce
ধর্ম: ধর্মীয় ক্ষেত্রে রোমানদের ওপর প্রভাব পরিলক্ষিত হয়। ব্রেক ধর্মীয় বহু কর্ম রোমানরা আত্মীয়করণ করেছে। বিশেষ করে পুত্তলি কথা বাদ গ্রিকদের মতো তারাও বহু দেব দেবীর পূজা করত। ধর্মকে প্রাচীন রোমানরা সর্ব কাজে ব্যবহার করত। ঘরের-বাহিরে, কাজকর্মে, বন্ধুত্বে-শত্রুতায়, খাওয়া-ঘুমানো, চলাফেরা, ব্যবসা-বাণিজ্য, ক্ষেত-খামারের সর্বোচ্চ দেবদেবী বিরাজ করতো। রোমানদের গৃহদেবতার নাম জেনাস, আগুন দেবতার নাম ভেস্টা, আকাশের দেবতার নাম জুপিটার, প্রেমের দেবী ভেনাস, ফজরের দেবতার নাম সাটান, সাগরের দেবতার নাম নেপচুন প্রভাতী ছিল। রোমান পন্ডিত মার্কাস ট্রেরেটিস ২০ হাজার রোমান দেবদেবীর নাম উল্লেখ করেছেন।
ধীরে ধীরে রোমান ধর্ম ব্যক্তিও গৃহ থেকে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চলে যায়। তাই রাষ্ট্রীয়ভাবে পুরোহিত নিয়োগ দেয়া হতো। রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় ধর্ম মন্দির নির্মিত হয় তাই সমাজে পুরোহিতরা বিশেষ শ্রেণীতে উত্তীর্ণ হয় এবং প্রভাব বিস্তার করে। খ্রিস্টধর্ম রাষ্ট্রীয় মর্যাদা ও স্বীকৃতি পাওয়ার পূর্বে রোমান সভ্যতা বহুশ্বরবাদ, অতীন্দ্রিয়বাদ রহস্যবাদ বা জ্ঞান বাদ রাজ ধর্ম প্রভৃতি বিরাজমান ছিল। প্রথম খ্রিস্টপূর্বের যীশু (চীনে মুসলমানদের কাছে বিবি মরিয়ম এর পুত্র হযরত ঈসা আলাইহিস সাল্লাম নামে পরিচিত) রোমান সাম্রাজ্যের করদরাজ্য যদি আয় বর্তমান প্যালেস্টাইন ফিলিস্তান অন্তর্গত জেরুজালেমের পাঁচ মাইল দক্ষিণে বেথেলহেমে জন্মগ্রহণ করেন। 30 খ্রিস্টাব্দ থেকে তিনি একেশ্বরবাদী খ্রিস্টান ধর্ম প্রচার করেন। ক্রমান্বয়ে যিশু ও তার ধর্ম অনুসারী বৃদ্ধি পেতে থাকে ফলে রোমান সম্রাট গান ক্রুদ্ধ হয়ে যীশুকে ক্রুশবিদ্ধ করে হত্যা করে এবং তার অনুসারীদের সেনাবাহিনী থেকে অপসারণসহ নির্যাতন করে। তবে এতে খ্রিস্টান ধর্ম আরো সম্প্রসারিত ও শক্তিশালী হয়।
দর্শন: দর্শন মুলত গ্রীক দর্শন এর উপর ভিত্তি করে রোমানদের দর্শন আত্মপ্রকাশ করে। দার্শনিক লুক্রেটিয়াস ছিলেন ভগবাদের প্রবক্তা। তারা হলেন স্টোয়িকবাদ ছেলে ও রোমানদের সবচেয়ে জনপ্রিয় দার্শনিক মতবাদ। এ মতামতের প্রতিষ্ঠায় যে তিনজন দার্শনিক বিশেষ ভূমিকা রেখেছেন তারা হলেন ধোনি রোমান স্নেক, দাস রোমান এপিকটেটাস, এবং রোমান সম্রাট মার্কাস অরেলিয়াস। এই মতবাদের মূল কথা হচ্ছে সুশৃংখল ও শান্তিপূর্ণ সমাজ প্রতিষ্ঠা এবং সত্যবাদী হওয়ার মধ্যে দিয়ে সুখ লাভ করা যায়।
আমার লেখা টি কষ্ট করে পড়ার জন্য সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ।