একমাত্র এই ধর্ম ইসলাম যা ছাড়া কেউ জান্নাতে প্রবেশ করিতে পারিবে না। আবার ইসলাম ধর্মের লোক হয়েও যদি ইসলাম ধর্মের কাজকর্ম না করে যেমন ইবাদত, বন্দেগী, নামাজ, রোজা, হজ্ব, যাকাত ইত্যাদি কিছুই না করে বরং নাফরমানীতে লিপ্ত থাকে তাহলে সেও জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না। আর আল্লাহতালা ইচ্ছা করলে যে কাউকেই জান্নাতে প্রবেশ করাতে পারবেন।
আর এই ইসলাম এমনি এমনি প্রতিষ্ঠিত হয়নি বরং ইসলামকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য অনেক কষ্ট সাধিত হয়েছে। ইসলামের জন্য কত লোক শহীদ হয়েছেন। তারা নিজের জীবনকে ইসলামের জন্য উৎসর্গ করে দিয়েছেন তারা স্থান পেয়েছেন শহীদি মর্যাদা।
তাই আল্লাহ তাআলার অশেষ রহমতে আমি আপনি যারা মুসলমানের ঘরে জন্ম নিতে পেরেছি কতই না আমাদের কপাল ভাগ্যবান। কিন্তু যারা মুসলমানের ঘরে জন্ম নিয়েও ইসলাম সম্পর্কে ধ্যান ধারনা রাখে না, বরং ইবাদত-বন্দেগী করার চেয়ে নাফরমানীতে লিপ্ত থাকে তাদের কপাল কতই না দুঃখজনক। তারাতো দুনিয়া ও হারাবে এবং আখিরাতে পাবে জাহান্নাম।
জাহান্নাম হল এমন এক স্থান যেখানে পৃথিবীর আগুনের চেয়ে ৭০ গুণ উত্তপ্ত আগুন রয়েছে। জাহান্নামের আগুনের ভয়ে পৃথিবীর আগুন বলে, আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে জাহান্নামের আগুনের সাথে মিক্সার করেন না।
আর আমরা কতই না দুর্ভাগা যে জাহান্নামের আগুনের কথা জেনেও কত নাফরমানি কাজ করতেছি তার কোন হিসাব রাখিনা। আল্লাহ তা'আলা আমাদের সবাইকে মাফ করুন না হলে আমাদের অবস্থা যে কি হবে তা বলে বোঝাতে পারবো না।
তাই আমাদেরকে নামাজ বন্দেগি করতে হবে। কারণ আমাদের কপাল কতই না সৌভাগ্য যে আমাদের জন্ম মুসলমানের ঘরে হয়েছে। আমাদের জান্নাতে যাওয়ার পথ সুগম হয়েছে। তার কারণ মুসলমান হয়ে আমরা দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়বো এবং আল্লাহ তালার আদেশ-নির্দেশ মানব এবং মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর দেখানো পথ অনুযায়ী চলবো।
আর এসব দিক নির্দেশনা এবং রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর দেখানো পথ অনুযায়ী চলে কখনোই পথভ্রষ্ট হবে না। দুনিয়াতে পাব শান্তি এবং আখেরাতেও পাব চিরশান্তির জান্নাত।
তাই আমরা এখন থেকেই নিয়ত করে নেব যে কখনোই আল্লাহতালার নাফরমানি করব না এবং পাঁচ ওক্ত নামাজ পড়ে আল্লাহতালার কাছে দোয়া প্রার্থনা করব। আমরা যেনো জান্নাতে প্রবেশ করিতে পারি।