বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।
মশার বড্ড জ্বালাতন। আল্লাহতালা আমাকে আপনাকে সৃষ্টি করেছেন শুধু আল্লাহর ইবাদত করার জন্য। আমাদেরকে আশরাফুল মাখলুকাত সৃষ্টির সেরা জীব হিসেবে সৃষ্টি করেছেন। আমাদের মর্যাদা দিয়েছেন, দিয়েছেন সম্মান। আল্লাহ তাআলা সৃষ্টি করেছেন অসংখ্য পশুপাখি, জীবজন্তু, কীটপতঙ্গ, পোকামাকড় ইত্যাদি। এবং সৃষ্টি করেছেন অতিক্ষুদ্র বস্তও। এর মধ্যে একটি হচ্ছে মশা। মশা আমাদেরকে দিনরাত অনেক জ্বালাতন করে।
এতদিন মশা নিয়ে মেয়র মশায় জবর মসকরা করেছেন। কিন্তু এ মশা তো সে মশা নয়! এ জে ডেঙ্গু মশা, যার আতঙ্কে দেশবাসী দিশেহারা। কেননা মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়া ডেঙ্গু জ্বরের এখনো পর্যন্ত বিস্তার যায়নি। ডেঙ্গু মশার আক্রমণে ডেঙ্গুজ্বরে অসংখ্য রোগী হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে এবং ডেঙ্গু জ্বরের প্রভাবে রোগী মারাও যাচ্ছে। দেশে যারা কর্ণধার তারা বলেছেন মশা মারো সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। কিন্তু আমাদের মনে বড় সন্দেহ, এ যদি আসমানী আযাব হয় তাহলে মশা মেরে নিস্তার পাওয়া যাবে না। কেননা আল্লাহর আযাবের মোকাবেলা করা মানুষের কাজ নয়। উদাহরণস্বরূপ বলা যায় নমরুদ পারেনি মশার হাত থেকে নিজেকে রক্ষা করতে। আমরা এখন জঘন্যভাবে পাপাচার-অনাচারে লিপ্ত হয়ে পড়েছে যে, পূর্ববর্তী উম্মত হলে আসমানি আযাবে ধ্বংস হয়ে যেতাম। কিন্তু আখেরি নবীর উম্মত বলে আল্লাহ মেহেরবানী করে আমাদেরকে এক সাথে ধ্বংস করেন না। কিন্তু চরম ধিক্কারের বিষয় এই যে, মুসলমানদের এই দেশে নবীজির নাম 'মুহাম্মাদ' বাদ দেওয়ার আস্পর্ধামূলক দাবি ওঠে, অথচ ঈমান ও নবী প্রেমের দাবিদার হয়েও আমরা তা হজম করে নিয়েছি। তাহলে কিভাবে আল্লাহর আযাব থেকে আমরা বাঁচার আশা করতে পারি।
ডেঙ্গু মশার আক্রমণে জ্বর, কাশি, ঠান্ডা ইত্যাদি হয়ে থাকে। এর ফলে আমরা অতি শীঘ্রই অসুস্থ হয়ে পড়ি। এ মশা থেকে রক্ষা পাওয়ার উপায় হল আমরা আমাদের ঘরের বাইরে জঙ্গল-আদি পরিষ্কার করব। ঘাড়ের নোংরা পানি রাখবো না। ফুলের টপ এর ভিতরে পানি থাকলে তা নিয়মিত পরিষ্কার করব,কারণ ওই সকল পচা পানি থেকে এই মশার জন্ম। আমরা ডেঙ্গু মশাকে মারার জন্য স্প্রে ব্যবহার করব, রাতে মশারী দিয়ে ঘুমাবো, যাতে এই মশা আমাদের সংক্রমণ না করতে পারে। আর কেউ সংক্রামিত হলে দ্রুততার শহীদ নিকটস্থ হাসপাতালে যোগাযোগ করবেন। এ মসা দেখতে অনেক ভয়ানক হয়।
তাই আমরা প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়বো এবং আল্লাহ তালার কাছে দোয়া করব যাতে আমাদের এই মশার হাত থেকে রক্ষা করে। সাবধানতা অবলম্বন করে চলবো, যাতে মশা আমাদেরকে সংক্রামিত করতে নাপারে।