জীবন মাত্রই খাদ্যের প্রয়োজন খাদ্য সারা জীবন রক্ষা সম্ভব নয়। তাই খাদ্য ও জীবন অঙ্গভঙ্গি ভাবে জড়িত জীবনের সূচনা থেকে মৃত্যু পর্যন্ত খাদ্যের প্রয়োজন তাই সকলকেই খাদ্য নিয়ে চিন্তাভাবনা করা উচিত।
কিভাবে খাদ্য উৎপাদন বাড়ানো যায় কিভাবে খাদ্য সমস্যার সমাধান করা যায় তা নিয়ে সবাই ব্যস্ত বাংলাদেশের খাদ্য সমস্যার প্রধান কারন গুলোর মধ্যে রয়েছে অপর্যাপ্ত জমি চাষাবাদ পদ্ধতি লবণাক্ত পানি চাষাবাদের আধুনিক জ্ঞানের অভাব ।
অশিক্ষিত কৃষক অপর্যাপ্ত ও অনুন্নত সেচ ব্যবস্থা ঘূর্ণিঝড় ও বন্যার ধ্বংসলীলা স্বল্প পুঁজি কৃষিযোগ্য ভূমিতে বাড়িঘর ও অন্যান্য স্থাপনা নির্মাণ ইত্যাদি।
এসব সমস্যার কারণে আমাদের প্রয়োজনীয় খাদ্য শস্য উৎপাদন হচ্ছে না যা উৎপাদন হয় তাও আবার ঝড় বন্যার ধ্বংসলীলা ও শস্য সংরক্ষণের সুব্যবস্থার অভাবে অনেক টা নষ্ট হয়ে যায় এসব কারণেই বাংলাদেশের খাদ্য সমস্যা প্রকট আকার ধারণ করে থাকে।
তাছাড়া দেশের জনসংখ্যা যে হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে খাদ্য উৎপাদন সে হারে বৃদ্ধির ব্যবস্থা করা হচ্ছে না আমাদের জনসংখ্যা বেড়ে চলেছে। অথচ আমাদের কৃষিভূমি বাড়ানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে না ফলে সীমিত ভূখণ্ডে ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা ও খাদ্য উৎপাদনের চাপ বেড়ে চলেছে।
তাই খাদ্য সমস্যা প্রকট আকার ধারণ করছে এ কারণে সরকারকে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয় বিদেশ থেকে খাদ্য আমদানি করতে হচ্ছে এতে জাতীয় অর্থনৈতিক কাঠামোর ভেঙে পড়ার উপক্রম হচ্ছে।
খাদ্য সমস্যা সমাধানের উপায়:
একদিকে নদীর অগভীরতা অন্যদিকে অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢাল ফলে অনেকের পক্ষে জলধারা ধারণ করা সম্ভব হচ্ছে না এতে বিশাল জলরাশি বন্যা সৃষ্টি করে প্রতিবছর দেশের বিপুল পরিমাণ ফসল নষ্ট হয়ে যায়।
তাছাড়া পানি সেচের সুব্যবস্থা না থাকায় প্রয়োজনের সময় জমিতে পানি দেওয়া যায় না আবারো প্রয়োজনীয় পানি বা বন্যার পানি সরানো যায় না ফলে চাষাবাদে দারুন সমস্যা সৃষ্টি হয়। তাই বন্যা নিয়ন্ত্রন ও পানি সংরক্ষণ করে শেষের সুব্যবস্থা করা খাদ্য সমস্যা সমাধানের অন্যতম পথ হতে পারে।
Sorsce
#Blurt
আমাদের দেশে অনেক পতিত ও অনাবাদি জমি রয়েছে উপযুক্ত পরিকল্পনা গ্রহণের মাধ্যমে অনাবাদি ও পতিত তুমি কে আধুনিক চাষাবাদ এর আওতায় এনে খাদ্য উৎপাদন বাড়ানো সম্ভব।
চাষাবাদের জমিতে বাড়ি ঘর নির্মাণ ও বাগান বাড়ি তৈরি করে প্রতিবছর শত শত একর চাষের জমির পরিমাণ কমিয়ে ফেলা হচ্ছে চাষাবাদের জমিতে বাড়ি ঘর বাগানবাড়ি নির্মাণ বন্ধ করে চাষাবাদের ভূমি সংরক্ষণ করা দরকার।
চাষাবাদের জমিতে প্রয়োজনীয় সার প্রয়োগ করে জমির উর্বরতা বৃদ্ধি করা একান্ত প্রয়োজন। এ জন্য কৃষকদের উপযুক্ত প্রশিক্ষণ দিতে হবে রাসায়নিক সারের সাথে সাথে গোবর সার সবুজ শাড়িতে সংরক্ষণ এবং প্রয়োগ সম্পর্কে কৃষকদের সচেতন করতে হবে।
কৃষকদের আধুনিক পদ্ধতিতে চাষাবাদ উদ্বুদ্ধ করতে হবে পুরাতন চাষা পদ্ধতিতে তাদের বুঝিয়ে দিতে হবে কারণ পুরাতন চাষ পদ্ধতিতে চাষাবাদ চলতে থাকলে কোন উন্নতি হবে না ফসলের বৃদ্ধি করা সম্ভব নয় এটা কিশোরদেরকে ভালোভাবে বুঝিয়ে দিতে হবে।
আধুনিক পদ্ধতিতে চাষ করলে বেশি ফলন পাওয়া যায় তা হাতে-কলমে কৃষকদেরকে বুঝাতে হবে এবং হাইব্রিড প্রক্রিয়ায় ফসল চাষ করতে হবে যাতে বেশি বেশি উৎপন্ন হয় এবং দেশের চাহিদা পূরণ হয় এতে করে আমাদের খাদ্যের সমস্যা দূর করা সম্ভব হতে পারে।
নিকটস্থ বীজ দ্বারা ভালো ফসল আশা করা যায় না যদি ভালো উন্নত মানের হয় সে বীজের ফলন বেশি হয়ে থাকে। তাই অধিক খাদ্য সমস্যা উৎপাদনের জন্য কৃষকদের উত্তম বীর সংরক্ষণের প্রশিক্ষণ দেওয়া প্রয়োজনের সময় সরকারিভাবে উন্নত বীজ সরবরাহ করা প্রয়োজন।
আমাদের কৃষকদের অনেকেই গরিব চাষাবাদে তারা প্রয়োজনে অর্থ ব্যয় করতে পারে না বিধায় আধুনিক চাষাবাদ সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ ও যন্ত্রপাতি ক্রয় করতে পারেনা এ জন্য কৃষকদের প্রয়োজনীয় ঋণ দিয়ে সাহায্য করা কর্তব্য। মরা নদী খাল খনন করে তথায় প্রাণী সংরক্ষণের ব্যবস্থা করে শেষ ব্যবস্থার প্রসার করা দরকার খাদ্য উৎপাদন বেশি হতে পারে।
আমাদের প্রধান খাদ্যশস্য ধান এর সহযোগী ও পরিপূরক খাদ্য হিসাবে বিভিন্ন প্রকার তরিতরকারি ফলমূল শাকসবজি উৎপাদন করা এবং এদেশের মানুষের খাদ্য অভ্যাস পরিবর্তন করা উচিত।
এতে প্রধান খাদ্যশস্যের উৎপাদন ওপর চাপ কম পড়বে শরীর স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী হবে খাদ্য সমস্যার সমাধানের পথ অনেকটা সহজ হবে।
মেঘনার মোহনায় ও বঙ্গোপসাগরের জেগে ওঠা চর যা আরেক বাংলাদেশের সমান চাষাবাদের যোগ্য করে তোলা হলে খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি হতে পারে তাছাড়া পার্বত্য অঞ্চল গুলোতে চাষাবাদের ব্যবস্থা করা হলে আমাদের খাদ্যের চাহিদা মিটিয়ে খাদ্য রপ্তানি করা সম্ভব হবে।
নদীতে বাঁধ নির্মাণ করে এবং স্থানে স্থানে বিশাল জলধারা সৃষ্টি করে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বন্যা প্রতিরোধ সম্ভব হয়েছে এতে করে তারা কৃষিতে অনেক উন্নয়ন লাভ করেছে। প্রবল বৃষ্টির ফলে নদী থেকে যে জলরাশির উপচে পরে ।
তা যদি বিশাল জলাধারে সঞ্চয় করে রাখা যায় তবে একদিকে যেমন বন্যা প্রতিরোধ হয় অপরদিকে তেমনি গ্রীস্মের সময় সে সঞ্চারিত পানি কৃত্রিম খাল এর মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত করে চাষের ব্যবস্থা ছাড়াও জলবিদ্যুৎ উৎপাদন করে বিদ্যুৎ ঘাটতি পূরণ ও শিল্প কারখানা প্রসাদের ব্যবস্থা হতে পারে।
তাছাড়াও কৃষির জন্য এ পানি খুবই প্রয়োজনীয় এই পানি ব্যবহার করে চাষাবাদ করা সম্ভব এবং ফসল উৎপাদন ও বৃদ্ধি করা সম্ভব প্রয়োজনের সময় এখান থেকে কৃষকরা পানি ব্যবহার করতে পারবে।
সরকারকে তাই এসব পদক্ষেপে এগিয়ে এসে দেশের কল্যাণ এবং মানুষের খাদ্যের অভাব দূর করার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে হবে এবং বাঁধ নির্মাণ করে পানির ব্যবস্থা করে দিতে হবে যাতে কৃষকরা বেশি বেশি করে ফসল উৎপন্ন করতে পারে।
কৃষকদের ক্ষেত্রে বিশেষ করে পুরাতন পদ্ধতিতে চাষাবাদ পরিহার করে যথোপযুক্ত পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের মাধ্যমে এবং কৃষকদের আধুনিক চাষাবাদ এর প্রশিক্ষণ দিয়ে খাদ্য সমস্যা সমাধানের পথে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করা একান্ত কর্তব্য।