আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো, আমার কাটানো গতকাল এর সকল কার্যক্রম গুলো।
🌺 সকাল বেলা 🌺 |
---|
আমি গতকাল ঘুম থেকে উঠেছিলাম আমার বন্ধুর ফোন পেয়ে।আর বন্ধু ফোন দিয়ে বললো তাড়াতাড়ি ফ্রেশ হয়ে তাদের বাসার সামনে চলে যেতে।আর বন্ধুর বাসার সামনে যেতে বলার কারন হলো আমরা আমাদের এইখানে মাজারে নামাজ আদায় করতে যাবো।আমরা আগে থেকেই নিয়ত করে রেখেছি যে জুম্মার নামাজ আদায় করতে যাবো মির্জাগঞ্জ মাজারে।আমি বন্ধুর কথা মতো তাড়াতাড়ি করে ওর বাসার সামনে চলে গেলাম।আর সাথে পাঞ্জাবি পায়জামা নিয়ে গেছিলাম সেখানে গিয়ে গোসল করবো বলে।
বন্ধুর বাসার সামনে গেলাম আর তার পরে একটা রিকশা নিয়ে আমরা রহনা হলাম মির্জাগঞ্জ মাজারের দিকে। সেখানে পৌঁছাতে আমাদের সময় লাগে ২০ মিনিট এর মতো। আমি সেখানে পৌঁছে মাজারের মাঠের একটা ফটো তুলে নিলাম। আমাদের এইখানের মাজারে জুম্মার দিন অনেক লোক আসে অনেক দূরদূরান্ত থেকে নামাজ আদায় করতে।আর জায়গা টা ও অনেক সুন্দর আমাদের অনেক কাছেই এই মাজার টা।
মাজার টা কিছুক্ষণ ঘুরে দেখার পর আমরা গেলাম গোসল করতে।আমরা মাজারে গিয়ে ছিলাম ৪ জন।আর আমরা চারজন বন্ধু একসাথে নদীতে নেমে গোসল করে নিলাম। গোসল করা হয়ে গেলে পাঞ্জাবি পায়জামা পড়লাম আর তার পরে গেলাম কিছু খাওয়ার জন্য। হালকা কিছু খাবার খেয়ে নিলাম আমরা।
🌺 দুপুর বেলা + বিকাল বেলা 🌺 |
---|
জুম্মার আজান দেওয়ার সাথে সাথে আমরা ওযু করে গেলাম মসজিদের পাশে মরহুম ইয়ার উদ্দিন খলিফা সাহেব এর কবর জিয়ারত করার জন্য।কবর জিয়ারত করা হয়ে গেলে আমরা নামাজ আদায় করতে গেলাম। নামাজ আদায় করা হয়ে গেলে আমরা মাজারে মাঠে গেলাম হাঁটাহাঁটি করার জন্য।
মাঠের ভিতরে গিয়ে আমরা ৪ জন বন্ধু একসাথে সেলফি তুললাম।আর আমি আমার একার ও কিছু ছবি তুলে নিয়েছিলাম।আর তার পরে আমরা একটা অটোতে করে সুবিদখালী বাজারে চলে আসলাম। বাজারে এসে আমরা দুপুরে খাবার খেতে বসেছিলাম হোটেল।আর তার পরে মুরগি দিয়ে আমরা ৪ জনে খাবার খেয়ে নিলাম।
খাওয়া হয়ে গেলে আমি বাসায় চলে আসলাম জামাকাপড় পরিবর্তন করার জন্য। জামাকাপড় পরিবর্তন করে আমি আবার চলে গেলাম কলেজ মাঠে খেলা দেখার জন্য। আজকে ফাইনাল খেলা ছিল আর ফাইনালে উঠেছে মির্জাগঞ্জ বাজার বনাম সুবিদখালী বাজার। মাঠে গিয়ে দেখি সব খেলোয়াড় মাঠে নেমে গেছে।আর খেলা শুরু হওয়ার আগে কিছু ছোট ছোট মেয়েরা নিত্য করেছিল।
নিত্য শেষ হওয়ার কিছুক্ষণ এর ভিতরে খেলা শুরু হয়ে যায়।আর খেলা শুরু হওয়ার ১৫ মিনিট এর মাথায় সুবিদখালী বাজার একটা গোল করে দিল।আর তার পরে মির্জাগঞ্জ বাজারের টিম খেলার ৫৪ মিনিট এর সময় একটা গোল দিয়ে ছিল। পুরো খেলায় এই দুইটা গোল হয়েছিল। দুই দলের ১_১ গোল হওয়ার কারণে প্লান্টিক শর্ট দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করল রেফারি । প্লান্টিক শর্টে সুবিদখালী বাজার জয় লাভ করেছিল।
🌺 সন্ধ্যা বেলা + রাতের বেলা 🌺 |
---|
খেলা শেষ হতে সন্ধ্যা হয়ে গেল ও আর তাই আমি বাসায় চলে আসলাম। বাসায় এসে রুমে বসে বসে ফোন দেখলাম কিছুক্ষণ।আর কিছু সময় পর আমি রাতের খাবার খেয়ে নিলাম আর গতকাল রাতে আমি খেয়ে ছিলাম খিচুড়ি। খাওয়া দাওয়া করে আমি ঘুমিয়ে পড়েছিলাম।