প্রসঙ্গঃ "অবসর সময়ে একটু বিনোদনের খোঁজে" |
---|
আসসালামুয়ালাইকুম, আশা করি সবাই ভালো আছেন?আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালোই আছি। টাইটেল ও থ্যাম্বনেইল দেখে হয়তো আপনারা বুঝে গেছেন আজকে আমি কি নিয়ে আলোচনা করবো।এইতো মেস থেকে বাসায় চলে আসলাম বেশ কয়েকদিন হতে চললো। একদিকে করোনা ও ওমিক্রোনের প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ায় কলেজ বন্ধ দিয়েছে। আর আমাদের জেলা শহরকে রেড জোন হিসেবে ঘোষনা করায় আমি সদর থেকে যত দ্রুত সম্ভব বাসায় চলে আসি। বাসায় আসার পর একপ্রকার বন্দি জীবন কাটাচ্ছি বললেই চলে। কোথাও যাওয়া হচ্ছে না, ঘোরাঘোরি ও করা হচ্ছে না। আপনারা প্রায় কম-বেশি সবাই এ জানেন। আমি একটু সুযোগ পেলে সপ্তাহে একটি ঘুরতে বের হই। তো সেই সুবাদে আজকেও বের হওয়া।
আমার বাসা মোটামোটি গ্রামে বললেই চলে। সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে আমাদের গ্রামটি উন্নত হচ্ছে। শহরের পাশে হওয়ায় বেশ একটা টের পাওয়া যায় না। কিন্তু শীত আসলেই মনে হয় আমি গ্রামে আছি। এর প্রধান একটা কারণ হচ্ছে ধূলাবালি আর ধুলাবালি হওয়ার আরেকটা প্রধান কারণ হচ্ছে গ্রামের পাশে থাকা ইটের ভাটা। এই ইটের ভাটার কারণে গ্রামের মধ্যে দিয়ে নিয়ত পাওয়ার ট্রিলার, ট্রাক্টর সহ আরো ভারীকিছু যানবাহন চলাচল করে। সারাদিনে এদের প্রকোপ অধিক মাত্রায় থাকে বিশেষ করে এই সময়টায়। যার কারণে রাস্তায় ধুলাবালির কারণে বের হওয়া সম্ভব হয় না।
বিশেষ করে এই একটা কারণে আমি বাসা থেকে খুব একটা বের হই না আর হলেও আমার বাড়ির পিছনে পুকুর রয়েছে সেখানে গিয়ে অবসর সময় কাটাই। কিন্তু আজকে একটু শহরে যেতে ইচ্ছা করলো, গ্রামে আর ভালো লাগতেছিলো না। তাই আমি ও আমার এক বন্ধু মিলে একটা ভ্যান ভাড়া করে সেটাতেই ঘুরতে বের হই। কিন্তু একটা জিনিস বার বার আমাকে বিরক্ত করছিলো, আর সেটা হচ্ছে এই ধুলাবালি। সাধারণত রাস্তায় যখন এসব গাড়ি ঘোড়া চলে না, তখন রাস্তায় কোনো ধুলাবালিও থাকে না। এদের প্রকোপ যখন বৃদ্ধি পায় তখন ওদের কারণে অধিক মাত্রায় ধুলাবালিও বেড়ে যায়।
রাস্তায় এত ধুলাবালি হওয়ার কারণ হয়তো আপনারা এই ফটোগ্রাফিটা দেখেই বুঝতে পেরেছেন। এই ছোট ছোট ঢিলাগুলো কিন্তু এমনি এমনি হয় নি। ট্রাক্টর দিয়ে শ্রমিকরা পরিশ্রম করে ধীরে ধীরে অল্প অল্প মাটি এখান থেকে সেখান এনে জমা করার ফলেই এত বড় ঢিপি তৈরি হয়েছে। এই রকম আমাদের গ্রামের পাশে একটা নয়, দু টো নয়, সর্বমোট ৫টা ইট ভাটা রয়েছে। যার দরুন এই সময়ে এত ধুলাবালির সৃষ্টি হচ্ছে।
তবে একটা বিষয় হচ্ছে, এই ইট ভাটাগুলোর কারণে আমার এখানকার আশে পাশের লোকদের কর্মসংস্থান তৈরি হয়েছে। যার কারণে চুরি, ডাকাতি, রাহাজানি কমে গেছে বললেই চলে। তা একদম ০০০ এর কোটায় চলে এসেছে। তো ফিরে আসি আবার আমার পোষ্টের মেইন টপিকে।
আমার আজকের এই দিনটা বেশ ভালোই কেটেছে। পড়ন্ত বিকেলে বা সন্ধ্যায় ঘোরার মজাটাই আলাদা। আপনারা যারা যারা ঘুরেন তারা অবশ্যই এই মজাটা অনুভব করতে পারবেন।
এই শীতের দিনে ভ্যান নিয়ে ঘুরে বেড়ানোর মজাটাই আলাদা। আমি যখন এই ভাবে ঘুরার সুযোগ পাই তখন আর সেটাকে উপভোগ করতে ভুলি না। মন ভালো থাকুক আর খারাপ, চিল করতে কোনো কারণ লাগে না। আজকের আবহাওয়া ছিলো দেখার মতো। হালকা মৃদু বাতাস বইছিলো, তার সাথে সাথে চুলগুলো উড়ছিলো। যেনো আমি পাখনা মেলে আকাশে উড়ছি এমন একটা ফিল। এই সময়ের ঠান্ডা বাতাস মাথাটাকে খুব করে যেনো মালিশ করে দিয়ে যাচ্ছিলো। বেশ ভালোই লাগছিলো। কিন্তু সন্ধ্যা গড়িয়ে কখন যে রাত নেমে আসে তা বুঝতেই পারি না। এরপর যথাসময়ে বাসায় ফেরত চলে আসি।
Camera | Edit | Location |
---|---|---|
Redmi 10 | Adobe lightroom | https://what3words.com/lyrically.readjusts.looted |