বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ।
আশা করি আপনারা সবাই আল্লাহর রহমতে ভাল আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে অনেক ভাল আছি।
আমি আজকে আলোচনা করব কি ভাবে শুরু হল আজান।
প্রতিদিন মসজিদের মিনার থেকে দৈনিক পাঁচবার উচ্চারিত হয় আজানের ধ্বনি। আর আজান আমাদের কে নামাজের দিকে আহবান করে। আজান প্রতিদিন পাঁচবার মুসলমানদেরকে স্মরণ করিয়ে দেয় তাওহীদ ও রিসালাতের শিক্ষা।
নামাজ হলো ইসলামের দ্বিতীয় রকন। ঈমানের পরেই
নামাজের স্থান। আর যেহেতু ফরজ নামাজ জামাতের সাথে আদায় করার বিধান, তাই নির্ধারিত সময়ে মুসলমানদের মসজিদে হাজির হওয়া জরুরী।
Sorsce
আর ইসলামের শুরুলগ্নে তো মুসলমানদের সংখ্যা কম ছিল। তাই তাদের যথা সময়ে মসজিদে হাজির হওয়া সহজ ছিল।
কিন্তু আল্লাহ তায়ালার রহমতে মুসলমানদের সংখ্যা যখন দিন দিন বৃদ্ধি পেতে লাগল, তখন নামাজের নির্ধারিত সময় খেয়াল রেখে মসজিদে একত্রিত হওয়া, সবার জন্য সম্ভব হলো না। অনেক টা কষ্ট কর হয়ে পরলো।
আর তাই এ সমস্যার সমাধান করার জন্য নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাহাবায়ে কেরামের সাথে পরামর্শ করলেন।
সাহাবায়ে কেরাম বিভিন্ন পরামর্শ দিলেন। কেউ বললেন- নামাজের সময় একটি অগ্নিকুণ্ড জালানো হোক, যাতে আগুন দেখে সবাই বুঝতে পারে যে, নামাজের সময় হয়েছে।কিন্তু এই প্রস্তাব গ্রহণ করা হলো না। কারণ আগুন তো অগ্নিপূজকদের উপাস্য। আবার কেউ ঘন্টা বাজানোর কথা বলল, কিন্তু সেটাও ইহুদীদের সাথে মিলে যায়, তাই এটাও গ্রহণ করা হলো না। একপর্যায়ে পরামর্শ স্থগিত করা হলো।
পরের দিন ভোর বেলা হযরত আব্দুল্লাহ বিন যায়দ রাযিআল্লাহু তা'আলা আনহু উপস্থিত হয়ে বললেন- হে আল্লাহর নবী গত রাত্রে আমি স্বপ্নে দেখেছি, এক ব্যক্তি আমাকে আজান বা নামাজের ঘোষণা দেওয়ার জন্য এই শব্দগুলোর শিখিয়ে দিচ্ছেন।
এরপর আযানের শব্দ গুলো উচ্চারণ করলেন। আশ্চর্যের বিষয় এই যে, হযরত ওমর রাজিআল্লাহু তা'আলা আনহু সহ কয়েক জন সাহাবা উপস্থিত হয়ে একই স্বপ্নের কথা বললেন। তখন নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খুশি হয়ে বললেন- এটা আল্লাহর পক্ষ থেকে এসেছে।
বেলাল কে শব্দগুলো শিখিয়ে দাও সে আজান দেবে। তখন বেলাল রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু কে আযান শিখিয়ে দেওয়া হলো। তখন বেলাল রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু আযান দিলেন, আর এভাবেই ইসলামে আযান দেওয়া শুরু হলো।।