একটি গ্রামে একজন লোক ছিল খুবই কৃপণ। সে তার সাংসারিক জীবন থেকে শুরু করে বাস্তব জীবনেও যেকোনো কিছুতেই কৃপণতা করে গেছেন। ওই কৃপন ব্যক্তির ছিল একজন মেয়ে সন্তান। সে তার মেয়ে সন্তানের কে বিয়ে দেওয়ার জন্য উপযুক্ত পাত্র খুঁজছিলেন।
Sorsce
কিন্তু উপযুক্ত পাত্র সে কোথাও পাচ্ছিলেন না। কারণ সে এমন পাত্র চাই ছিল যে তার মতো কৃপণতা এবং সাংসারিক ক্ষেত্রে অর্থ উপার্জন করে। কিন্তু এরকম ছেলে সে ওই এলাকায় পেল না। কারণ সবাই ছিল খরচ কারি কেউই কৃপণতা ছিল না।
তাই সে উপযুক্ত পাত্র খোঁজার জন্য বাহির হল অন্য জায়গায় বা ভ্রমণে। যাওয়ার সময় সে তার খাবারের জন্য কিছু চাউলের কুরা নিয়ে গেল তার সাথে। যখন তার খিদে পেত সে তখন ওখান থেকে কিছু খেত।
অপরদিকে অন্য একটি গ্রামে ছিল তার মত আরেকটি কৃপণ মানুষ। তারও সাংসারিক জীবন চলাকালীন খরচ খুবই কম করত এবং কৃপণতা করে চলত। তার ছিল একটা ছেলে সন্তান। সে তার ছেলে সন্তান কে বিয়ে দেওয়ার জন্য উপযুক্ত মেয়ে সন্ধান করছিল।
কিন্তু তার উপযুক্ত কোন মেয়ে খুঁজে পাচ্ছিল না। কারণ সে-ও চাইছিলো যে সে যে পরিমাণ কৃপণ তার থেকে যেন বেশি কৃপণ পরিবারের সাথে আত্মীয়তা করে। তাই সেও তার ছেলেকে বিয়ে দেয়ার জন্য মেয়ের সন্ধান করা এবং সে মেয়ে খোঁজার জন্য এক গ্রাম থেকে অন্য গ্রাম যেতে লাগলো।
যাবার সময় এসেও নিজের খাবারের জন্য কিছু চাউলের কুরা সাথে নিয়ে গেল। যখন তার খিদে পেত তখন সে তার চাউলের গুড়া থেকে কিছু পরিমাণ খেত।
তারা দুই জনই ঘুরতে ঘুরতে বেলা শেষ করে ক্লান্ত হয়ে পড়ল।
এবং কি কিছু খাওয়ার জন্য উদ্যোগ নিল এবং তাদের কাছে যে চাউলের গুড়া ছিল তা থেকে খাওয়ার জন্য চাউলের কুঁড়া বের করল।
কিন্তু খেতে পারল না কারণ চাউলের কুঁড়া ছিল শুকনা তারা সারাদিন ক্লান্ত হয়ে গলা শুকিয়ে যাওয়ার কারণে চাউলের গুড়া খেতে পারছিল না। তাই তারা পানির খোঁজ করতে লাগলো। অবশেষে তারা একটা নদীর ধারে গিয়ে বসলো।
প্রথম ব্যক্তি, তার কাছে ছিল একটা বাটি। সে ওই বাটিতে পরিমান মত পানি এনে তার মধ্যে এক মুষ্টি চালের গুঁড়ো দিয়ে খেতে লাগলো। এবং সে লক্ষ্য করলো যে একজন ব্যক্তি নদীর ধারে গিয়ে এক মুষ্টি চাউলের গুড়ো ছেড়ে দিয়ে পানি চুমুক পেরে খেতে লাগলো।
এই দৃশ্য দেখার পর সে ভাবল দেখি লোকটা কে। সে তো আমার থেকেও কৃপণ তার পরিচয় নিয়ে আসি। ওই ব্যক্তির পরিচয় নেয়ার জন্য তার কাছে গেল এবং তার থেকে সবকিছু শুনলো। এবং নিজেও তার কাছে নিজের পরিচয় দিল এবং যে উদ্দেশ্যে এসেছে সেটা বলল।
এবং তখন তাদের ছেলে মেয়ের বিবাহ দেওয়ার জন্য তারা দুজন উদ্যোগ নিল। কারণ ছিল তারা দুজন একই রকম কৃপণ ছিল। তারা মনে করত তাদের মতো হলেই একমাত্র জীবনে সফলতা অর্জন করা সম্ভব।
কিন্তু জীবনে সফলতা পাওয়ার জন্য শুধু কৃপণতা করাই যথেষ্ট নয়। বরং নির্দিষ্ট জায়গায় নির্দিষ্ট পরিমাণ ব্যয় করা এবং প্রয়োজনের তুলনায় বেশি খরচ না করা।