আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ। বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি আল্লাহর রহমতে ভালোই আছেন? আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি।
Sorsce
আমি এবার লিখব ইসলাম সম্পর্কে। আসলে সত্যি কথা যে ইসলাম আমার ধর্ম এবং ইসলাম আমার জীবন। ইসলাম ব্যতীত কোন কিছুই চিন্তা করা ঠিক নয়।
আলহামদুলিল্লাহ, সর্বপ্রথম ওই মহান রব্বুল আলামীনের নিকট শুকরিয়া আদায় করি যে মহান রাব্বুল আলামীন আমাকে আপনাকে সৃষ্টি না করলে এই পৃথিবীতে আসার সৌভাগ্য হত না।
দ্বিতীয়ত এই মহান রব্বুল আলামীনের নিকট শুকরিয়া আদায় করি, তিনি আমাকে আপনাকে মুসলমানের ঘরে জন্ম দিয়েছেন, আলহামদুলিল্লাহ। আল্লাহ তাআলা ইচ্ছা করলে আমাকে আপনাকে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, ইহুদি, নাসারা আরো কত ধর্ম আছে ও সকল ধর্মের পরিবারের ঘরে পাঠাতে পারতেন।
আমাদের না চায়াতেও তিনি আমাকে আপনাকে মুসলমানের ঘরে পাঠিয়ে ছেন। একজন মুসলমান হওয়ার তৌফিক দান করেছেন। ইসলামই একমাত্র ধর্ম যে ধর্মে রয়েছে শান্তি ও কামিয়াবী। রয়েছে আদব-কায়দা, নিয়ম-শৃঙ্খলা, মা-বোনদের জন্য রয়েছে পর্দা, আর মুসলমানদের জন্য রয়েছে দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা।
আল্লাহতালা ইসলামকে পরিপূর্ণ দ্বীন হিসেবে মনোনীত করেছেন। আল্লাহ তাআলার একমাত্র ধর্ম হচ্ছে ইসলাম। ইসলাম ব্যতীত কেউ জান্নাতে যেতে পারবেনা।
আমাদেরকে মুসলমানের ঘরে জন্ম দিয়ে ইসলাম অর্জন করার তৌফিক দিয়েছেন । তার ইবাদত বন্দেগী করার জন্য আমাদের পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করার হুকুম দিয়েছেন।
এমন এক সময় ছিল, যখন আরব দেশের সবল লোকেরা দুর্বল লোকেদের উপর অত্যাচার করত। নারীকে ভোগের সামগ্রী হিসেবে ব্যবহার করা হতো। মেয়ে সন্তানকে জীবন্ত কবর দেয়া হতো। লোকেরা অজ্ঞতা, কুসংস্কার ও পাপাচারে লিপ্ত থাকতো।
মূর্তি পূজা করত, খুন-জখম, চুরি-ডাকাতি, লুটতারাজ, মারামারি করে বেড়াতো। এমন এক সময়ে আল্লাহতালা সকল মানুষের হেদায়েতের জন্য হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে শেষ নবী ও বিশ্বনবী হিসেবে প্রেরণ করেন।
মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাহু সালাম ছোটবেলা থেকেই তিনি সত্যের সন্ধানে গভীর চিন্তায় ডুবে থাকতেন। মাঝে মাঝে তিনি মক্কা মুকাররমা থেকে অনতিদূরে হেরা পর্বতের গুহায় চিন্তামগ্ন থাকতেন।
এভাবে হেরা পর্বতের গুহায় গভীর ধ্যানে মগ্ন থাকা অবস্থায় একদিন আল্লাহ তাআলার আদেশে ফেরেশতা হযরত জিবরাঈল আলাইহিস সাল্লাম তাকে নবুওয়াতের খোঁজখবর দিয়ে ওহী নাযিল করেন। তখন তার বয়স ছিল ৪০ বছর।
কিছুদিন পর হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহ তাআলার আদেশ পেয়ে ইসলাম প্রচার শুরু করেন। ইসলামের দাওয়াত পেয়ে হযরত খাদিজা হলেন প্রথম মুসলমান। তারপর থেকে একে একে সবাই মুসলমান হতে শুরু করে।
মরুভূমির পর মরুভূমি পায়ে হেঁটে মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইসলামের দাওয়াত নিয়ে বেড়িয়েছিলেন। কাফেরা তার উপর অনেক জুলুম নির্যাতন করেছিল।
আল্লাহর জমিনে আল্লাহর দ্বীন পরিপূর্ণ রূপে প্রতিষ্ঠা করে বিশ্বের আদর্শ মানব আল্লাহর নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ৬৩ বছর বয়সে,৬৩২ ঈসায়ী সনে,১১ হিজরির ১২ই রবিউল আউয়াল আল্লাহর দিদারে গমন করেন।
এই দীন ইসলাম প্রতিষ্ঠা করার জন্য হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অনেক কষ্ট সহ্য করেছেন। আমাদের জন্য নামাজ ৫০ ওয়াক্ত এর পরিবর্তে ৫ ওয়াক্ত নামাজ এনে দিয়েছে আল্লাহ তা'আলার কাছ থেকে। শুধু আমাদের ভালোর জন্য।
তাই আমাদের উচিত দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা এবং আল্লাহর কাছে দোয়া করা যাতে আমরা সবাই জান্নাতে প্রবেশ করতে পারি।