বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।
আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে আমি সুস্থ আছি। আশা করি আপনারা সবাই সুস্থ আছেন।
শৈশবের স্মৃতি বড় আনন্দ বড় মধুর। এখন এই কিশোর বয়সে ও মনে পড়ে আবছা আবছা কিছু ঘটনা। মনে পড়ে কি অবাক চোখে তাকিয়ে থাকতাম চাঁদের দিকে, তারাদের মেলার দিকে। আর ভাবতাম আল্লাহ কত ভালো! আমাদের জন্য কি সুন্দর চাঁদ বানিয়েছেন। তাই আল্লাহকে ভালবাসতে হবে এবং আল্লাহর এবাদত করতে হবে।
Sorsce
এক দিনের কথা মনে পড়ে, একটা করে বই স্কুলে নিয়ে যায়। দিনে একটা করে অক্ষর পড়ি আর একটা করে বই ছিঁড়ি। আমার মনে হতো, বইটা না ছিঁড়লে কিছু যে পড়া হয়েছে, তা সবাই বুঝতে পারবে না।
সেই সময়ের ঘটনা, কিছুটা মনে পড়ে, কিছুটা মনে পড়ে না।
কাদামাটি দিয়ে অনেক সময় নিয়ে, অনেক যত্ন করে একটা ঘর বানালাম। বড়রা বড় বড় ঘর বানিয়ে কেমন আনন্দ পাই তা জানা ছিলো না। কিন্তু আমাদের কাদা মাটির খেলনা ঘর যখন তৈরি হলো তখন যে কত খুশি লাগছে তা বলে বুঝানো যাবে না।
কিন্তু দুদিন পরেই ভেঙ্গে গেল দুদিনের খেলাঘর। কিভাবে ভেঙ্গেছিল আর আমার মনের অবস্থা কেমন ছিল তার কিছুই আজ মনে নেই।
হয়ত কেঁদেছিলাম হয়ত কাঁদিনি।
আশ্চর্য! আনন্দের কথাটুকু তো স্পষ্ট মনে পড়ছে, কিন্তু দুঃখের অংশটুকু মনের স্মৃতি থেকে একেবারে হারিয়ে গেছে।
মানুষ মনে হয় আনন্দ লোভী তাই আনন্দের স্মৃতি মনে ধরে রাখতে ভুলে না।
কিন্তু দুঃখ তার বড় ভয়, তাই দুঃখের কথা ভুলে থাকতে চায়।
এটা হয়তো শুধু আমার বেলা হয়েছে, অন্যদের অভিজ্ঞতা হয়তো অন্যরকম, মানব চরিত্র তো বড় বিচিত্র।
শৈশবের দিনগুলো পিছনে ফেলে অনেক দূরে চলে এসেছি। আমার চারপাশে কিশোর ও যৌবনের ভিন্ন এক জগত। এখনতো নিজেকে গড়ে তোলার সময়, যাতে অন্ধকারের ঘেরা এই সমাজ আমি দ্বীনের দাওয়াত নিয়ে দাঁড়াতে পারি এবং হকের আজকে বুলন্দ করতে পারি।
কিন্তু আমি কি পারব নদীর স্রোতে ভেসে যাওয়া থেকে নিজেকে রক্ষা করতে? চারো দিকে যেমন পাপের ছড়াছড়ি নীতি ও নৈতিকতার যেমন টানাটানি তাতে অনেক ভয় হয়। তখন ইচ্ছে করে আবার শৈশবে ফিরে যেতে। আবার যদি হতাম সবার আদরের সেই ছোট্ট শিশু।
আজকের শিশুদের যখন দেখি তখন বড় করুণা হয়। এখন শিশুদের মাঝে কোথায় যেন কি একটা পরিবর্তন এসেছে, যা অনুভব করা যায় কিন্তু বলে বোঝানো যায় না।
কিন্তু আবার ভাবি না শৈশবে ফিরে যাওয়ার কোন দরকার নেই সামনে এগিয়ে যাওয়াই তো জীবনের ধর্ম! আমি আমার কাজ করি আল্লাহ নিশ্চয় আমাকে রক্ষা করবেন।
আল্লাহ আমাদের সবাইকে বোঝার তৌফিক দান করুন আমিন।।