আশা করি সবাই ভাল আছেন, আমি আল্লাহর রহমতে অনেক ভাল আছি।
আমি এবার লিখব মিশরীয় সভ্যতা সম্পর্কে। আশা করি আমার লেখাটা পড়ে ভাল লাগবে।
Sorsce
সভ্যতার সংজ্ঞা:
ইসলাম একটি ধর্ম আর এই ধর্মের অনুসারীদের বলা হয় মুসলিম। জাতি হিসেবে মুসলমানদের উত্থান সভ্যতার সাথে জড়িত। তাই ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিষয়ে সম্যক ধারণা পেতে কতিপয় প্রাচীন সভ্যতা সম্পর্কে আলোকপাত না করলেই নয়।
তবে সাবধান থাকি সে সম্পর্কে সহজ-সরল ধারণা অবতারণা করে প্রাচীন সভ্যতা নিয়ে আলোচনা করা হবে। সভ্যতার ইংরেজি প্রতিশব্দ হলো সিভিলিজেশন ল্যাটিন শব্দ সিভিটাস থেকে যার উৎপত্তি। এর অর্থ নগর বা নাগরিক। তাই সাধারণভাবে বলা যায় কোন বিশেষ মানব গোষ্ঠী কোন বিশেষ সময়ে যেরূপ জীবনযাত্রা অতিবাহিত করতে সেরূপ জীবনযাত্রাকে ওই মানব গোষ্ঠীর ওই সময়ের সভ্যতা বলে। অর্থাৎ সময়ের পরিপ্রেক্ষিতে মানুষ উন্নত জীবন ধারণের জন্য যা উদ্ভাবন ও ব্যবহার করে তাই সভ্যতা। যেমন-মানুষ যোগাযোগের জন্য একসময় চিঠিপত্র ব্যবহার করত কিন্তু এখন মোবাইল যন্ত্র ব্যবহার করে। এখানে মোবাইল যন্ত্র টা হল অসভ্যতার ফল। কিন্তু মোবাইল যন্ত্রের মাধ্যমে আমরা বাংলাদেশীরা বাংলা ক্ষুদ্র বার্তা আদান প্রদান করি এটা হল সংস্কৃতি। অর্থাৎ সভ্যতা হলে মানুষ যা ব্যবহার করে এবং সাংস্কৃতি হল মানব সভ্যতার বস্তুকে কিভাবে ব্যবহার করে তাই। সর্বোপরি সভ্যতা ও সংস্কৃতি একে অন্যের পরিপূরক।
পৃথিবীর ইতিহাসে অন্যতম সভ্যতাগুলোর অন্যতম হচ্ছে মিশরীয় সভ্যতা। এসব ভোতার উন্মেষ হয় নীল নদের অববাহিকায়। প্রত্নতত্ত্ববিদদের মতে প্রাচীন মিসরের ইতিহাসের শুরু হয় 5000 খ্রিস্টপূর্বে নবোপলীয় যুগে। পরবর্তীতে সময়ে নগর সভ্যতার পতন ঘটে। কৃষি বাণিজ্য শিল্পকলার বিকাশ ঘটে ধর্মীয় সংস্কৃতি ও বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে প্রতিভা প্রতিফলন হয়। মিসরীয় সভ্যতাঃ ব্যাবিলনীয় সভ্যতা অপেক্ষা অধিক প্রাচীন। এসব সভ্যতাঃ মিসরীয় সভ্যতার কাছে ঋণী। গ্রেকো মিশরীয় সভ্যতা এমনকি আধুনিককালে পশ্চিমা সভ্যতা মিশরীয় সভ্যতার প্রভাব বিদ্যমান।
সৃষ্টির শুরু থেকে ক্রমবিকাশের পথ ধরে আধুনিক মানুষের উত্তরণ। মানব সভ্যতার ইতিহাস কখন থেকে শুরু হয়েছে তা নিশ্চিত করে বলা মুশকিল। তবে মানব সভ্যতার ইতিহাস ক্রমবিবর্তনের মাধ্যমে আত্মপ্রকাশ করেছে এবং উত্থান-পতনের মাধ্যমে বিকাশ লাভ করেছে। মানুষের ক্রমাগত প্রচেষ্টা ও কর্মধারার ফল হিসেবে এই বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে বিভিন্ন সভ্যতা গড়ে উঠেছে। প্রাকৃতিক পরিবেশ ও অবস্থানগত পার্থক্যের কারণে বিভিন্ন অঞ্চল বিভিন্নভাবে তার মতাদর্শ রাজনৈতিক সংগঠন সামাজিক প্রথা আচরণ ও অর্থনৈতিক কাঠামো। নদীর তীরবর্তী প্রথম সভ্যতার বিকাশ হয়েছিল। মিশরের নীলনদ, ভারতের সিন্ধু নদ এবং চীনের হোয়াংহো নদীর তাদের উপর তাকায় উর্বর ভূখণ্ড গড়ে তুলেছিল।
কষ্ট করে আমার লিখাটি পড়ার জন্য সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ।