অনেকদিন পর বন্ধুদের সাথে বেশ কিছুক্ষণ আড্ডা করলাম।। যদিও তারা আমার বাসায় এসেছিল কিন্তু আমি বাসায় না থাকায় তারা আমার সাথে দেখা করার জন্য বাজারে চলে আসে। আমি মূলত ইউনিয়ন পরিষদে ছিলাম একটি কাজের জন্য আর ওই সময় তারা আমার বাসায় হঠাৎ করে আসে. যদিও বাসায় বোন ছিল কিন্তু তারা না বসে আমাকে ফোন করে এবং আমার ওখানেই চলে আসে।
মূলত এসেছিল আমাকে নিয়ে যেতে অনেকদিন হয় বলে তাদের বাসায় যেতে কিন্তু আমি ব্যস্ত থাকার জন্য যেতে পারি না।। আর সেদিনও যেতে পারি না কারণ বাসায় বোন এসেছে সেই সাথে ধানের কাজ ছিল। সবকিছু মিলে যাওয়া সম্ভব হচ্ছিল না তাই আমি তাদের বলি অন্য কোনদিন যাব। পরে তারা বলল ঠিক আছে,, পরে আমরা সেখান থেকে বেরিয়ে একটা দোকানে যায় আর বসে থেকে গল্প করতে থাকি।
এই দুইটা বন্ধুর বাসা কুড়িগ্রাম আর আমার বাসা লালমনিরহাট অনেকটা দূর।। কিন্তু কলেজে যাওয়ার পর থেকে এমনভাবে বন্ধুত্ব গড়ে উঠেছে যে মনে হয় তারা আমার স্কুল জীবনের বন্ধু কিন্তু না কলেজে যাওয়ার পর তাদের সাথে বন্ধুত্ব হয়। আসলে বন্ধুত্ব কখনো জোর করে হয় না,, মন থেকে অটোমেটিক বন্ধুত্ব হয়ে যায় আর এই বন্ধুত্বের বাঁধন আজীবনই থাকে। আর আমাদের বন্ধুত্ব ইনশাআল্লাহ আজীবন থাকবে।
এই শীতের মধ্যে তারা আমার কাছে এসেছে সত্যি আমি অনেক কৃতজ্ঞ তাদের প্রতি। জীবনে এরকম বন্ধু দরকার যারা কিনা প্রয়োজন ছাড়াও খোঁজ রাখবে। বর্তমান সময়ের বেশিরভাগ বন্ধুরাই স্বার্থের জন্য টিকে থাকে,, কিছু বন্ধু ব্যতীত। আর যারা স্বার্থের জন্য বন্ধুত্ব টিকে রাখে সেই বন্ধুত্ব দীর্ঘস্থায়ী হয় না জীবনের কোন না কোন পর্যায়ে সেই বন্ধুত্ব হারিয়ে যায়।
যাইহোক অনেকদিন পর বন্ধুদের সাথে বসে গল্প করতে অনেক ভালো লাগতেছিল, যদিও কিছুটা ঠান্ডা লাগতেছিল। পরে আমরা সেখানে বসে গরম গরম পিঁয়াজু সিঙ্গারা ও সবজি চপস সেই সাথে চটপটি ও চা। শীতের মধ্যে এই খাবারগুলো আমার বেশ ভালই লাগে। বেশ কিছুক্ষণ গল্প করার পর তারা আমাকে বলে, আজকে এসে ফেরত গেলাম এরপরে আসলে কোন কথাই শুনবো না।
আসলে জীবনে এরকম বন্ধু থাকা কতটা প্রয়োজন সেটা বলে বোঝানোর মতো না। অনেকটা অভিভাবকের মতো কথা বলে তারা যেটা শুনে সত্যিই মন ভরে যায়। আমি মনে করি বন্ধুত্ব এমনই হওয়া উচিত যেখানে বন্ধুত্বের অধিকার থাকবে। আর এরকম বন্ধু জীবনে থাকলে চলার পথ অনেক সহজ হয়ে ওঠে, সেই সাথে জীবনের সকল সমস্যার সমাধান এবং জীবনের খারাপ মুহূর্ত গুলো খুব সহজেই তার সাথে শেয়ার করা যায়।