চলছে ধান মাড়াইরের এর কাজ, প্রতিবছরে এই সময়ে আমাদের ধানের কাজ করতে হয় যদিও এ বছর কিছুটা দেরি হয়ে গেছে বিভিন্ন কারণে। আর এই ধানের কাজ দুই তিন দিন থাকবে এতগুলো ধান একদিনে শেষ করা সম্ভব না সেইসাথে ধান উড়ানোর জন্য সময়ের প্রয়োজন । তাই কিছু কিছু করে মাড়াই করার পর সেগুলো উড়ানোর পর আবারো নতুন ভাবে মাড়াই করছি।
যদিও আজ দুদিন হয় শীতের প্রবাহ বেড়ে গেছে, আর শীতের সময় ধানের কাজ করতে একটু অসুবিধায় হয় এমনিতে ছোট দিন সকালে উঠতেও দেরি হয় তাই খুব বেশি কাজ করা যায় না। আর কাজ করতে খুব বেশি ভালোও লাগে না তারপরও করতে হয়। লোক নিয়ে কাজ করতে গেলে সারাদিনই পরিশ্রম করতে হয় সেজন্য লোক না নিয়ে নিজেরাই অল্প করে মাড়াই করি এতে করে একটু সুবিধা হয়। যদিও লোক নিয়ে একদিনে শেষ করা ভালো কিন্তু সবকিছু মিলিয়ে একটু অসুবিধা হয় আবার খরগুলো রাখতে হবে তার প্রস্তুত করা হয়নি সেখানে প্রস্তুত করা হচ্ছে।
সৃষ্টিকর্তার রহমতে এ বছরের ধান অনেক ভালো হয়েছে আর ধানের মূল্য অনেক বেশি, বর্তমান সময়ে প্রতি মন ১৩০০ টাকার বেশি করে বিক্রি হচ্ছে। সব ধান মাড়াই করার পর কিছু ধান বিক্রি করতে হবে। প্রতিবছরই বেশ কিছু ধান বিক্রি করা হয়, আর এবছর বিক্রি করবো। আর ধানের দাম বেশি হওয়ায় প্রতিটি মানুষের অনেক ভালো হয়েছে। আর আমার দেখা সবচাইতে এই বার দাম বেশি ।
প্রতিবছরই দেখতাম ধান কাটার আগ মুহূর্তে অনেক রোগের কারণে ধান নষ্ট হয়ে যেত। অনেক ওষুধ ব্যবহার করার পরও কাজ হতো না। এর আগের বছরে এরকম সমস্যার জন্য প্রতিটি মানুষের ধান অনেক নষ্ট হয়েছিল কিন্তু এ বছর সৃষ্টিকর্তা রহমতে এরকম সমস্যা হয়নি যার ফলে প্রতিটি মানুষ অনেক বেশি খুশি। কিন্তু হ্যাঁ এ বছরে মানুষ যেমন ধান বেশি পেয়েছে ঠিক ধানের মূল্য পেয়েছে। প্রতিবছরে দেখতাম ধানের মূল্য এক হাজার টাকার মতো থাকতো আর এই বছর ১৩০০ টাকা বেশি হয়েছে, আশা করছি কিছুদিন পর আরো বেশি মূল্য হবে।
তাই আমরা ধানগুলো কিছুদিন রেখে দিব, কিছুদিন পর একবারে বিক্রি করে দিব এতে করে দামও বেশি পাবো। আর বর্তমান সময়ে বিদ্যুৎ থাকায় ধানের কাজ করতে প্রতিটি মানুষের সাহস হয়েছে। আগে দেখতাম বাতাসের অপেক্ষায় বসে থাকতো আর যখন বাতাস হত তখন মানুষ ধান উড়াতো। আর বর্তমান সময়ে বিদ্যুৎ থাকায় প্রতিটি মানুষ ফ্যানের সাহায্যের কম সময়ের মধ্যে অনেক বেশি ধান উড়াছে এতে করে প্রতিটি মানুষের অনেক বেশি উপকার হচ্ছে।