বরাবরের মতোই দশটার দিকে ঘুম থেকে উঠি। শীতের প্রবাহ যেন দিন দিন ক্রমাগত বেড়েই চলছে। শীত পরছে তাতে কি মানুষের কর্ম কোন অংশে থেমে নেই সবাই যার যার কর্ম নিয়ে ব্যস্ত। যদিও বিভিন্ন জায়গায় রোদের দেখা মিলছে কিন্তু আমাদের উত্তরবঙ্গে বেশ কয়েকদিন হয় রোদের দেখা একেবারেই নেই।
যাই হোক গতকালকে বাসায় মেহমান এসেছিল মূলত আমার ভাবিকে নিতে। আপনারা হয়তো জানেন আমার ভাবির বাচ্চা হবে মূলত সে জন্যই নিতে এসেছে ।। আমাদের মধ্যে একটা জিনিস প্রচলিত আছে, যে একটা মেয়ের বাচ্চা হওয়ার সময় তার বাবার বাসায় যায় আর সেখানেই বাচ্চা হয়। আর বাচ্চা হওয়ার কিছুদিন পর তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন যেয়ে বাচ্চা সহ তাকে নিয়ে আসে।। আমি ছোট বেলা থেকে এটাই দেখে আসতেছি আর এখনো এই নিয়মই চলছে।
গতকালকে ছিল শুক্রবার, তাই নামাজ পড়তে যেতে হবে আমার ঘুম থেকে দেরি করে উঠেছি, তার ওপর মেহমান এসেছে। সময় কোন দিক দিয়ে পার হয়ে গেল বুঝতেই পারলাম না। পরে গোসল করে রেডি হয়ে মসজিদ চলে যায়। আর মসজিদে যেতে যেতে অনেক দেরি হয়ে গেছে প্রায় ১.২০ মিনিটে বেজে গেছে। আর যেয়ে ইমাম সাহেবের আলোচনা ও শুনতে পারি না, আমি যাওয়ার একটু পরেই নামাজ শুরু হয়ে যায়, পরে নামাজ আদায় করে বাসায় চলে আসি।
আর বাসায় আসার পর মেহমানদের সাথে কিছু সময় গল্প করি তারপরে তাদের খেতে দেই। আর তাদের খাওয়া শেষে আমিও খেয়ে নেই, এদিকে রেডি হচ্ছে ভাবি। আর হ্যাঁ বাচ্চা হতে খুব বেশি দেরি নেই হয়তো আগামী মাসেই হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ। খাবার খাওয়ার পর তারা সকলেই রেডি হয়ে নেয়।
আর হ্যাঁ তাদের সাথে একটা ছোট মেয়ে এসেছিল দেখতে অনেক কিউট আর এত দুষ্ট আর এত বেশি কথা বলে যে মনে হয় অনেক বড় একটা মেয়ে কথা বলছে। তার সাথে অনেক সময় দুষ্টুমি করি আমাকে আঙ্কেল আংকেল করে ডাকতে ছিল। পরে বিকাল মুহুর্তে তারা রেডি হয়ে চলে যায়। পরে আমি বাসায় কিছু কাজ ছিল সেগুলো করি তারপরেই রুমে যেয়ে শুয়ে থেকে মোবাইল দেখতে থাকি সেই সাথে একটা পোস্ট লেখি।
একটু পরেই সন্ধ্যা হয়ে আসে, তাই একটু বাইরে বের হয়ে বাসার কিছু কাজ ছিল সেগুলো করে নেই। আর হ্যাঁ বর্তমান সময়ে পড়াশোনার দিকে একটু ফোকাস করছি। প্রতিদিনই সন্ধ্যার পর পড়তে বসি, যদিও পড়তে খুব বেশি ইচ্ছে করে না। আসলে যত বড় হচ্ছি পড়াশোনা তত বিরক্তিকর মনে হচ্ছে কিন্তু কিছু করার নেই পড়াশোনা তো করতেই হবে। একটু পরেই বই নিয়ে পড়তে বসি পরে দেখি মা দুধ নিয়ে আসছে। গরম গরম দুধ খেতে আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। আর এভাবেই আমি আমার গতকালকের দিনটি অতিবাহিত করি।।