ছেলেদের তুলনায় মেয়েরা ছোটবেলা থেকেই অনেক সহজ সরল হয়ে থাকে। বাপ-মায়ের কথা সর্বদাই মেনে চলে। মেয়েদের খুব বেশি চাহিদা থাকে না তারা সব সময় চায় হাসিখুশি এবং সুন্দর জীবন যেন উপভোগ করতে পারে। বাংলাদেশের অধিকাংশ মেয়েরাই চিন্তা করে যে বিয়ের পর স্বামীর কথা মেনে চলবো আর বিয়ের আগে বাবা , মা যেটা বলবে সেটাই করব।
৯০% মেয়েরা এমন হয়ে থাকে তবে এর ব্যতিক্রম কিছুসংখ্যক মেয়েরা রয়েছে যারা নিজের পায়ে দাঁড়াতে চায় নিজে চাকরি করবে এবং গাড়ি-বাড়ি করার চিন্তা করে অনেকটাই ছেলেদের মত চিন্তা চেতনা নিয়েই বড় হয়ে ওঠে । তবে এদের ভিতরে আবার কিছু কিছু মেয়েরা প্রাপ্তবয়স্ক হয়ে উঠলে তাদের চিন্তা পরিবর্তন হয় ঠিক তেমনি এই গল্পটাও মত। দেখতে থাকুন শেষ পর্যন্ত গল্পের পরিণতি কি হয়।
model-1209985_1280.jpgsource
খুলনা ডুমুরিয়ায় মধ্যবর্তী ফ্যামিলি একটি মেয়ে ছোটবেলা থেকেই তার চিন্তা চেতনা ছিল যে ,সে পুলিশ অথবা সরকারি কোন চাকরি করবে । তবে বয়স বাড়ার সাথে সাথে তার চিন্তা পরিবর্তন হয় নাই। কিন্তু আশেপাশের মানুষেরা তার চিন্তা পরিবর্তন করতে বাধ্য করেছে।
অষ্টম শ্রেণীতে থাকতে একটা ছেলে তাকে পছন্দ করে কিন্তু সেই মেয়েটা তাকে পছন্দ করেনা ।একপর্যায়ে ছেলেটা প্রত্যেকদিন মেয়েটার বাড়ি পর্যন্ত আসতো একদিন তার বাবা কোন এক মাধ্যম দিয়ে জানতে পারে। অমুক ছেলেটা তার পিছু নিচ্ছে তার বাবা সিদ্ধান্ত নেয় যে তাকে বিয়ে দেবে এবং যে ছেলেটা মেয়েটার পিছে পিছে বাড়ি পর্যন্ত আসত সেই ছেলেটাকে তার ভাইয়েরা ধরে অনেক মারধর করে, এক পর্যায়ে গ্রামের অনেক মানুষ জেনে ফেলে।
তার কিছুদিন পরেই মেয়েটার বাবা ছেলে খুঁজতে শুরু করে একপর্যায়ে সৌদি আরব প্রবাসী একটি ছেলের সন্ধান পাই সেই ছেলেটি তিন মাস পর বাড়ি আসবে এবং এই মেয়েটিকে বিয়ে করবে । ছেলেপক্ষ এবং মেয়ের পক্ষ উভয় অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আংটি বদল করে।
woman-7012726_1280.jpgsource
তিন মাস শেষ হওয়ার পর ছেলেটা বাড়ির আসে না পরবর্তীতে শুধু তারিখ পরিবর্তন করে এভাবেই ছয় মাস কেটে যায়। মেয়েটাও পড়াশোনা ছেড়ে দিয়েছে ৮ মাসের মাথায় মেয়ের বাবার প্রচন্ড রাগ হয় এবং মেয়ের হাত থেকে আংটি খুলে নিয়ে তাদের বাড়িতে রেখে আসে। আশেপাশের অনেকেই জানে যে মেয়েটার বিয়ে হয়ে গিয়েছে অথচ বিয়ে হয় নাই শুধুমাত্র এংগেজমেন্ট হয়েছে।