আমোদ-প্রমোদের ক্ষেত্রে টেলিভিশন ও ভিডিও বাংলাদেশের গ্রামাঞলেও পৌঁছে গেছে। ঘরে বসে আমরা এখন দেখছি এশিয়াড, বিশ্বকাপ ফুটবল, বিশ্বকাপ ক্রিকেট, অলিম্পিক গেমস, কুস্তি, হকি ইত্যাদি খেলা। রেডিওর প্রভাতী ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে ঘুম ভাঙে আমাদের।
Sorsce
বিজ্ঞানের কৌশলে ততক্ষণে কলে পানি এসে যায়। প্রয়োজনমত কখনো সে পানি উষ্ণ, কখনো শীতল। সৌরশক্তি চালিত পটে ক্যালকুলেটর করে দিচ্ছে দুরূহ হিসাব-নিকাশ। গৃহস্থালির কাজে কত রকম বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম যে আমরা ব্যবহার করছি, তার সঠিক হিসেব দেওয়া কঠিন। যেমন : রান্নার জন্য রয়েছে ঝুঁকিং রেঞ্জ, মশলা বাটার মেশিন, রয়েছে বাসন ও কাপড় ধোয়ার যন্ত্র। এছাড়া ঘর সাফাই মেশিন, শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র, বৈদ্যুতিক পাখা, টাইপ রাইটার থেকে শুরু করে ছোটদের জন্য রয়েছে ইলেকট্রিক খেলনা। প্রতিদিন বাজারে যাবারও প্রয়োজন হয় না। বিজ্ঞানের বদৌলতে ফ্রিজের মধ্যে কয়েকদিনের বাজার এনে রেখে দেওয়া যায়। রোটারি বা নানাপ্রকার অফসেট মেশিন তো বিজ্ঞানেরই অবদান। আছে টেলিফোন, মোবাইল ফোন। এর মাধ্যমে আমরা প্রতিদিন অফিস-আদালত, ব্যবসায় বাণিজ্য ইত্যাদি ক্ষেত্রে অনেক কাজ সেরে নিতে পারছি। খোঁজ-খবর নিতে পারছি আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবের। পোশাক-পরিচ্ছদ ইদ্ভি করতে পারছি ইঞ্জির সাহায্যে।
উকিৎসাবিজ্ঞানও আমাদের প্রতিদিনের জীবনকে নিরাময় রাখছে। রোগ-ব্যাদির প্রয়োজনে আবিষ্কৃত হয়েছে ওষুধ। নানা দুরারোগ্য ব্যাধির চিকিৎসা সম্ভবপর হয়েছে এই বিজ্ঞানের বদৌলতে। আল্ট্রাসনোগ্রাফি এবং এক্স-রে আবিষ্কার এক্ষেত্রে নবযুগের সূত্রপাত করেছে। কলেরা, নিউমোনিয়া, টাইফয়েড, কালাজ্বর, যক্ষ্মা এসব ব্যাধি নিরাময় করার ব্যাপারে বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার যুগান্তর এনেছে। পেনিসিলিন আবিষ্কৃত হবার কারণে মৃত্যুপথযাত্রী বহু রোগী বাঁচার আশ্বাস পেয়েছে। বিজ্ঞানের অবদানের জন্য স্বাভাবিক জীবনযাপন করছে অনেক পঙ্গু রোগী। কতজন অভিশপ্ত জীবনের দুঃখ-বেদনা থেকে মুক্তি লাভ করেছে। বিশ্বময় মানুষ আজ জ্ঞানচর্চা ও বিদ্যার্জনের নেশায় মেতেছে।