Older people are more likely to get the disease.

in r2cornell •  3 years ago 

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন, আশা করি সবাই ভাল আছেন, আমিও আল্লাহর রহমতে অনেক ভাল আছি।

images - 2022-01-05T135423.665.jpeg
Sorsce
আপনাদের সামনে আবারো হাজির হলাম আমি আমার নতুন আরেকটি লেখা নিয়ে। আশা করি আমার লিখাটি পড়ে সবার ভালো লাগবে।

আমি এবার লিখব বৃদ্ধ হলে রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। তাই আমাদেরকে এগুলো প্রতিরোধ করে এগিয়ে যেতে হবে।
কিছু কিছু রোগ রয়েছে যেসব তরুণদের তুলনায় বৃদ্ধদের মাঝে বেশি দেখা যায়। যেমন, ১) হৃদপিণ্ড ও রক্তনালির অপকর্ষিক পরিবর্তনের ফলে সৃষ্ট- অ্যাথেরোস্ক্লেরোসিস, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদপিন্ডের রক্তনালির রোগ ইত্যাদি। ২) ক্যান্সার: 40 বছর বয়সের পর ক্যান্সারের ঝুঁকি বেড়ে যায়। 65 বছর বয়সে প্রোষ্টেট ক্যান্সার দেখা দেয়। ৩) অস্থি সংক্রান্ত: অস্থিক্ষয়, অস্থিভঙ্গ প্রায়ই দেখা যায়। ৪) ডায়াবেটিস: শতকরা 75 ভাগ ডায়াবেটিস রোগীর বয়স 50 এর উপরে। ৫) সঞ্চালন তন্ত্রের বৈকল্য: বিভিন্ন ধরনের সন্ধি জনিত সমস্যা যেমন- রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস, অষ্টিও আর্থাইটিস, স্পন্ডালাইসিস, ডায়েট ইত্যাদি এবং অন্যান্য সমস্যা যেমন- ফাইব্রোসিস, মায়েসাইটিস, নিউরাইটিস ইত্যাদি।

বাধ্যক্যে এসব রোগ সমূহ অন্যান্য রোগের চেয়ে তুলনামূলকভাবে বেশি পীড়াদায়ক এবং কর্মক্ষমতা হ্রাস করে। ৬) শ্বাসতন্ত্রের রোগ সমূহ: জীবনের শেষদিকে বিভিন্ন ধরনের শ্বাসতন্ত্রের রোগ দেখা যায় এদের মধ্যে ক্রনিক ব্রংকাইটিস, এজমা, এমফাইসেমা গুরুত্বপূর্ণ।

৭) মূত্র জনন তন্ত্র: প্রোস্টেট গ্ল্যান্ড এর বৃদ্ধি, কষ্টকর প্রস্রাব, রাত্রিকালীন ঘন ঘন প্রস্রাব ইত্যাদি সচরাচর ভাবে দেখা যায়। ৮) সৌন্দর্য জনিত: ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা হ্রাস পায় ফলে ত্বক কুঁচকে যায়, চুল পড়ে যায় ইত্যাদি। জীবনধারণ পরিবর্তন করে, চিকিৎসার ও নিয়মিত ফলোআপ এর মাধ্যমে এসব শারীরিক সমস্যার সমাধান করা সম্ভব।

বৃদ্ধকালে স্বাস্থ্যকর জীবন যাত্রা:

স্বাস্থ্যকর জীবন যাত্রার মাধ্যমে বার্ধক্যজনিত রোগ প্রতিরোধ করা যায় এবং স্বাস্থ্য ভালো রাখা যায়। এর অন্তর্ভুক্ত রয়েছে- ১) খাদ্য ও পুষ্টি ব্যবস্থাপনা: সুষম খাদ্য যেখানে চর্বি ও শর্করার মাত্রা কম থাকবে এবং প্রচুর আজ জাতীয় খাবার থাকবে। ২) ব্যায়াম: মৃদু ধরনের ব্যায়াম দেহের রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে এবং সঞ্চালন তন্ত্রের সমস্যা, ডায়াবেটিস ইত্যাদি প্রতিরোধ করে।

৩) ওজন নিয়ন্ত্রণ: ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে যেন অধিক ওজন ও স্থূলতা দেখা না দেয়। ৪) ধূমপান ও তামাক ব্যবহার পরিহার: এসব পদার্থ ক্যান্সারের উত্তেজক হিসেবে কাজ করে। ৫) মদ্যপান পরিহার করা: মদ্যপানের ফলে মানসিক, পরিপাক তান্ত্রিক, সঞ্চালন তান্ত্রিক ও স্নায়ুতন্ত্রের সমস্যা দেখা দিতে পারে।

আমার লিখাটি কষ্ট করে পড়ার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE BLURT!