আমি জানি না, আমরা কেউ জানি না, ইসলামী উম্মাহ কত রক্ত ঝরবে আর! সুদূর অতীতের কথা আর বলবো না। দুশো বছর ইসলামী জাহানে ক্রুসেডার হিংস্রতা ও বর্বরতার যে তাণ্ডবলীলা বয়ে গেছে সে প্রসঙ্গ তুলে লাভ নেই।
Sorsce
আমি শুধু জানতে চাই দুর্ভাগা ফিলিস্তিনের কথা, আর কত রক্ত ঝরবে সেখানে ইহুদি হায়নাদের হাতে, আমি জানতে চাই প্রজ্বলিত কাশ্মীরের কথা, আর কত রক্ত ঝরবে সেখানে হিন্দু নরপশু দের হাতে, আমি জানতে চাই বিধ্বস্ত বলকানের কথা, আর কত রক্ত ঝরবে সেখানে খ্রিস্টান জল্লাদের হাতে।
আল্লাহকে এক বলে বিশ্বাস করেছি, আল্লাহর রাসূলকে সত্য বলে স্বীকার করেছি, এই অপরাধে আর কত রক্ত চাই পৃথিবী আমাদের কাছে, শতাব্দী রক্তস্রোত ও কি পারবে না হায়েনাদের রক্তপিপাসা মেটাতে, তাদের প্রতিহিংসার আগুন নেভাতে। পৃথিবীর আর কোন জাতির বুক থেকে এত রক্ত ঝরেছে? আর কোন জাতির ইজ্জত-আবরু কি এভাবে নষ্ট হয়েছে, এমন করে জ্বলে পুড়ে ছারখার হয়েছে আর কোন জাতির জনপদ?
এতদিনের রক্তের হিসাব চাইনা কারো কাছে অনুষ্ঠিত ইজ্জত-আবরুর নালিশে কারো বিরুদ্ধে হারানো আন্দালুস ফিরে পাওয়ার দাবি জাতিসংঘের দুয়ারে। শুধু জানতে চাই ইসলামী জাহানের ধ্বংসের রিতুপান কবে বন্ধ হবে? হিন্দু ইহুদী-নাসারাদের এই নরকীয় উল্লাস কবে শেষ হবে? দেশে দেশে আমার মুসলিম মা বোনের ইজ্জত আব্রু কবে নিরাপদ?
কোথায় আজাদী সংগ্রহ ও তা নিরাপত্তা পরিষদ? কেন আবার নব ক্রুসেডার হুংকার? কেন ধর্মযুদ্ধের এই উন্মাদনা? কেন কার বিরুদ্ধে কিসের অপরাধে?
আফগানিস্থান কি মস্কো আক্রমণ করেছিল? ভিয়েতনাম যখন করেছিল? হিরোশিমা নাগাসাকিতে আণবিক বোমা ফেলে লাখ লাখ বনি আদম কে হত্যা করেছিল? তাবু আফগানিস্তান হলো সন্ত্রাসী আর ওরা সব সাধু সন্ন্যাসী?
কে হিসাব দেবে ফিলিস্তিন কাশ্মীরের লাখ লাখ মুসলমানের শহীদি খুনের? কে জবাব দেবে চেচেনিয়া বলকানের অগণিত মা-বোনের ইজ্জতের? অপরাধ প্রমাণিত এবং অপরাধী সুঁশিনে তো তবু কেন বিশ্ববিবেককে এত নিরাসক্ত।
আমেরিকা তবু কেন চোখ থেকেও অন্ধ? কে আঘাত হেনেছে আমেরিকার হৃদপিণ্ড টুইন টাওয়ার, প্রতিরক্ষা কেন্দ্র পেন্টাগনে? পার্থ মেধা প্রযুক্তি এবং বিশ্বব্যাপী উন্নত নেটওয়ার্কের অধিকারী ইহুদী চক্রান্ত যুদ্ধবিধ্বস্ত দুর্ভিক্ষ পীড়িত ও আধুনিক প্রযুক্তির তালেবান? কি বলে তথ্য প্রমাণ ও দলিল বা বয়ান। পশ্চিমা আদালতের এই কেমন বিচার?
বিপর্যস্ত ও পর্যুদস্ত আফগানিস্তান যুদ্ধ চায়না, শান্তি চায়। তালেবান পর রাজ্যের দখল চায়না পিতৃভূমি নিরাপত্তা চাই, যেখানে তারা আল্লাহর শাসন কায়েম করবে এবং দিশেহারা মানবতাকে ইসলামের ইনশা প্রশান্তির নমুনা দেখাবে। আলহামদুলিল্লাহ তালেবান আল্লাহর রহমতে নিজেদের পিতৃভূমি ফিরে পেয়েছে এবং তারা শাসন ব্যবস্থা চালু করেছে।